Showing posts with label স্বাস্থ্য. Show all posts

Why do women lose interest in sex
Why do women lose interest in sex

 নারীদের যৌন সমস্যা । নারীদের যৌন অনিহা । যৌন মিলনে নারীর সমস্যা

নারীদের যৌন আগ্রহ কমে যায় কেন । নারীদের যৌন সমস্যা । নারীদের যৌন অনিহা । যৌন মিলনে নারীর সমস্যা  মেয়েদের যৌন আগ্রহ কমে যাওয়ার কারণ | চিকিৎসাসহ জেনে নিন কেন নারীরা সহবাসে অনীহা দেখায় তা আলোচনা করা হল। অনেক ভাইও বোনেরা প্রশ্ন করেছেন ইনবক্সে, কি কারনে সেক্স এর ইচ্ছা কমে যায়,এই প্রশ্নগুলুর প্রেক্ষাপটে নিচে তুলে ধরা হলল।

নারীদের যৌন আগ্রহ কমে যায় কেন 

 ১. আপনার স্ত্রী কি গর্ভনিরোধের জন্য পিল (oral contraceptives) ব্যবহার করেন? গর্ভনিরোধোক বড়ির প্রভাবে শরীরে অনেক সময় টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে গিয়ে যৌনইচ্ছা কমে যেতে পারে। আপনারা পিল ছেড়ে অপর কোন গর্ভনিরোধ ব্যবহার করে দেখতে পারেন। মনে রাখবেন পিল খাওয়া ছেড়ে দিলেও শরীরে তার প্রভাব পড়তে কিছুটা সময় লাগতে পারে।

 ২. সঙ্গমের সময় কি আপনার স্ত্রীর ব্যাথা লাগছে, বা শারীরিক কোন কষ্ট হচ্ছে? অনেক সময় বিভিন্ন কারণে মহিলাদের যোনিপথ ঠিকমত লুব্রিকেটেড হয়না। এমতাবস্থায় সেক্স কষ্টদায়ক হতে পারে ও তার ফলস্বরূপ মনে সেক্সের ইচ্ছা জাগেনা। নিশ্চিন্ত হোন যে আপনার স্ত্রীর এমন কোন সমস্যা নেই। সমস্যা থাকলে স্ত্রী-রোগবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। 

৩. প্রেগন্যান্সি, সন্তানের জন্ম, সন্তান পালন, বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো ইত্যাদির সময়ও শরীরে হরমোনের মাত্রার তারতম্যের ফলে যৌনইচ্ছা কমে যেতে পারে। এছাড়া ওই সময় বাচ্চার দেখভাল করতে করতে শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তিও যৌনজীবনে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। গর্ভাবস্থা ও সন্তানের জন্মের পর অনেকের শরীরেই বিভিন্ন প্রকার পরিবর্তন হয় (যেমন মোটা বা রোগা হয়ে যাওয়া, যৌনাঙ্গের পরিবর্তন ইত্যাদি)। এর ফলে নিজের শরীর সম্মন্ধে আত্মবিশ্বাস কমে যায়। তার থেকেও যৌনইচ্ছা কমতে পারে

৪. মেনোপজের কিছু আগে থেকেই মহিলাদের শরীরে যৌন হরমোনের মাত্রা কমতে শুরু করে। এর ফলে যৌন চাহিদা কমে যেতে পারে, যোনিতে লুব্রিকেশন ঠিক না হবার দরুন সঙ্গমকালে ব্যাথা লাগতে পারে। দুটোই সুস্থ যৌনজীবন ব্যহত হবার কারণ। 

৫. বিভিন্ন মানসিক রোগ যেমন মানসিক অবসাদ, দুশ্চিন্তা, আত্মবিশ্বাসের অভাব, পূর্বের খারাপ যৌন অভিজ্ঞতা ইত্যাদির ফলেও মহিলাদের মন সেক্সের প্রতি বিরূপ হতে পারে। 

৬. আপনার স্ত্রীর সাথে আপনার সম্পর্কে সমস্যা থাকলেও যৌন জীবনে সমস্যা হওয়া খুবই সম্ভব। নিজেদের মধ্যে ঠিকমত কথাবার্তা না বলতে পারলে বা একের চাহিদা, সমস্যা অপরে বুঝতে না পারলে, কোন অমীমাংসিত ঝগড়া-ঝাটি থাকলে তার প্রভাব যৌন জীবনে পড়তে বাধ্য। আপনি যেভাবে সেক্স করতে চান হয়তো সেটা আপনার স্ত্রীর পছন্দ নয়। 

Benefits of intercourse husband wife?
What are the benefits of extra intercourse between husband and wife?
Table of Contents

Welcome DaudBD Blog

আজকে আলোচনার বিষয় স্বামী-স্ত্রীর অতিরিক্ত মিলনের উপকারিতা কী?

স্বামী-স্ত্রীর অতিরিক্ত মিলনের উপকারিতা কী?

আধুনিক বিজ্ঞান যৌন মিলনের অনেক উপকারিতা খুঁজে পেয়েছে যা মন দেহ এবং সুস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, যার মধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য হল:দেখা যাচ্ছে যে একজন মানুষ যখন প্রায়ই সহবাস করে তখন সে প্রোস্টেট ক্যান্সারের বিরুদ্ধে বেশি সুরক্ষিত থাকে; এর কারণ হল প্রোস্টেট গ্রন্থিতে নতুন তরল পদার্থের সাথে পুরনো তরল পদার্থ প্রতিস্থাপিত হয়, যা প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে অবদান রাখে।

সহবাসের স্বাস্থ্য উপকারিতা জেনে নিন:

  1. মিলনের দ্বারা ঈমান মজবুত হয়ে থাকে এবং ইবাদতের দিকে মন ঝুকে থাকে। অন্তরের ভিতর বাজে কোনাে কু-চিন্তা বা কু-কাজের ধারণা উদয় হয় না।
  2. নিয়মিতভাবে সহবাস করলে দেহ মন সুস্থ্য থাকে, সাংসারিক কাজ কর্মে আনন্দ এবং স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়।
  3. স্বামী- স্ত্রীর সহবাসের দ্বারা মন মস্তিষ্ক সদা সর্বদা প্রফুল্ল থাকে। ঈমানী শক্তি সুদৃঢ় হয় এবং অনাবিল আনন্দ লাভ করে।
  4.  স্বামী-স্ত্রীর রতিক্রিয়ায় মন মানসিকতা শান্ত ও সংযত থাকে। উশৃঙ্খলতা বা চরিত্রহীনতার নাগ পাশ হতে দুরে থেকে সৎকার্যের দিকে ধাবিত হয়।
  5. সহবাস স্বামী-স্ত্রী পরষ্পরের বিশ্বাস এবং ভালবাসা বৃদ্ধি করে।
  6.  ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী যদি স্বামী-স্ত্রী সহবাস করে, তবে তা আল্লাহ্ তাআলার দেয়া অফুরন্ত নেয়ামতের তুল্য হয়। এটা বেহেশতের ভিতরের অনাস্বাদিত নেয়ামতের তুল্য। পৃথিবীতে সহবাস একটি জান্নাতী উপহার একথা মনে করে সহবাস করলে উভয়ের অন্তর এক অনাকাঙ্খিত আনন্দে ভরে ওঠে।
  7. সহবাসের প্রধান উপকারিতা এই যে, আল্লাহর মহান উদ্দেশ্য মানব বংশ বৃদ্ধি হয়, আর এই নিয়তে স্বামী-স্ত্রী সহবাস করলে তাদের সমস্ত জিন্দেগীর যৌন মিলনকে ইবাদতের মধ্যে গণ্য করা হবে এবং কাল কিয়ামতে মুক্তির পথ প্রশস্ত হবে। হাদীসে রাসূলে পাক সা. বলেছেন তোমাদের স্ত্রী সহবাস ও একটি সদকার সমতুল্য। কুরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন: তোমাদের স্ত্রীরা তোমাদের কৃষিক্ষেত। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তোমাদের কৃষিক্ষেতে যাও’। স্বামী স্ত্রী তাদের উভয়ের মধ্যে জমি ও কৃষকের মতো একটা সম্পর্ক রয়েছে। জমিতে কৃষক নিছক বিচরণ ও ভ্রমণ করতে যায় না। জমি থেকে ফসল উৎপাদন করার জন্যই সে সেখানে যায়। মানব বংশধারার কৃষককেও মানবতার এই জমিতে সন্তান উৎপাদন ও বংশধারাকে সুমন্নত রাখার লক্ষ্যেই সহবাস করতে হবে।
  8.  সহবাসের দ্বারা শরীরের “ডোপামিন” নিঃসরণের ফলে তা চাপ এবং উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করে, যা স্ট্রেস হরমোন মোকাবেলায় কাজ করে। সহবাসের একটি সুফল হল এটি একটি শান্ত প্রভাব ফেলে এবং বেশিরভাগ মানুষ নিয়মমাফিক যৌন মিলনের পরে কম উত্তেজনা এবং বেশি আরাম অনুভব করে।
  9. সহবাসের উপকারিতাসমূহ থেকে উল্লেখযোগ্য একটি হলো, সহবাস মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমায়, মেজাজ ভালো রাখে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। সহবাস ক্লান্তি দূর করে এবং মানসিক শান্তি দেয়।
  10. যৌনমিলনের উপকারিতাসমূহ থেকে উল্লেখযোগ্য আরেকটি হল, যৌনমিলন পরবর্তী ঘুম অনেক আরাম ও শান্তির হয়ে থাকে, যা সার্বিকভাবে শারীরিক সুস্থতা বৃদ্ধি করে।সহবাস করুন আর উপভােগের শেষে বিছানায় শরীর এলিয়ে দিন। দেখবেন আপনার চোখে কখন ঘুম নেমে এসেছে।
  11. উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হার্ট ভালো থাকে। উচ্চরক্তচাপ দুশ্চিন্তা থেকে আসে, যা হৃৎপিণ্ডের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। দুশ্চিন্তা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা অনেক বাড়িয়ে তোলে। আর এই দুশ্চিন্তা কমাতে সেক্সের চেয়ে ভাল ওষুধ আর কিছু নেই।জৈবিক মনোবিজ্ঞান অধ্যয়নরত গবেষকরা দেখেছেন যে যারা নিয়মিত যৌনমিলন করে তাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই হৃদরোগের সম্ভাবনা অনেক কম। আমেরিকান জার্নাল অব কার্ডিওলজির দ্বারা প্রকাশিত একটি গবেষণা থেকে জানা যায়, যে দম্পতিরা সপ্তাহে কমপক্ষে দুইবার সহবাস করে তাদের হার্টের হার অনেক বেশি ভাল হয় তাদের তুলনায় যারা কখনও সেক্স করেনি। সপ্তাহে তিনবার সহবাস হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
  12. সহবাস হার্ট এবং ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং সাময়িকভাবে উচ্চ রক্তচাপ কমায়।
  13. যৌন মিলন স্ট্রোক এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে।
  14. সহবাস করলে শরীরে ক্ষতিকর জীবানু বাসা বাধতে পারে না। গবেষকরা গবেষণা করে জানিয়েছেন যে যারা সপ্তাহে অন্তত দুবার সহবাস করে তাদের শরীরে ক্ষতিকর জীবানু তুলনায় কম থাকে। তাই শরীরের জীবানু রুখতে হলে ক্রমাগত সহবাস করুন।
  15.  সহবাসের দ্বারা ব্যায়াম হয় এবং ক্যালোরি ক্ষয় হয়। সহবাসের মধ্যদিয়ে কিন্তু একপ্রকার ব্যায়ামও হয়ে যায়। সহবাসের সময় স্বামী স্ত্রীর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যেভাবে সঞ্চালিত হয় তার মাধ্যমে ব্যয়ামের কাজ হয়ে যায়।এর দ্বারা প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি খরচ হয়, ফলে কলেস্টেরলের মাত্রা কম হয় এবং ভালোভাবে রক্তপ্রবাহ হয়, সহবাস বা শারীরিক মিলনে আপনি যদি ৩০ মিনিট সময় ব্যয় করেন তাহলে আপনার ৮৫ ক্যালোরি খরচ হবে। সহবাস শারীরিক ক্রিয়াকলাপের একটি রূপ, এটি শ্বাস -প্রশ্বাসের হার বাড়াতে সাহায্য করে এবং প্রতি বছর ৭৫০০ ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে যখন সপ্তাহে তিনবার ১৫ মিনিট সেক্স করা হয়। সুতরাং জিমে যেমন সময় দেন ঠিক তদ্রূপ সহবাসেও সময় দিন।
  16. Related Posts
  17.  সহবাসের দ্বারা ওজন কমে। যৌন মিলনের ফলে প্রচুর পরিমান ক্যালোরি ক্ষয় হয়, তার ফলে ব্যক্তির ওজন কমে।
  18. প্রোস্টেট ক্যান্সার থেকে পুরুষদের প্রতিরোধ করা
  19.  জরায়ুর ক্যান্সার থেকে মহিলাদের প্রতিরোধ৷ করে। সম্প্রতি জানা গেছে, হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে জরায়ুর ক্যান্সার হতে পারে, কিন্তু যখন মহিলারা সহবাস উপভোগ করে, তখন পুরোনো সার্ভিকাল কোষের একটি বড় অংশ ঝরে পড়ে এবং তাদের পরিবর্তে নতুন এবং শক্তিশালী কোষ তৈরি হয়, যা অনেক বেশি পুরনো কোষের তুলনায় ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধী।

আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না

Benefits of drinking ginger water on an empty stomach
Benefits of drinking ginger water on an empty stomach

WelcomeTo DaudBD Blog !

আদা নামক ভেষজে আছে অনেক পুষ্টি। এতে আছে পর্যাপ্ত ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। নিয়মিত আদা খেলে অনেক রোগ থেকে দূরে থাকা সহজ হয়। আপনি যদি সকালে খালি পেটে আদা পানি খেতে পারেন তাহলে অনেক রোগ থেকে দূরে থাকাই সহজ হবে, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। উপকার পেতে চাইলে আপনিও এই অভ্যাস করতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক খালি পেটে আদা পানি খাওয়ার উপকারিতা

আদা পানি  তৈরি করবেন যেভাবে: 

ছোট এক খন্ড আদা ছুলে ধুয়ে নিন। এবার আদা কুচি কুচি করুন।  চার কাপ পানি ফুটতে দিন। পানি ফুটে উঠলে আদা কুচি পানিতে দিন। হালকা আঁচে  ১০ মিনিট ফোটান। এবার পানিটা ছেঁকে পান করুন। খেতে হবে প্রতিদিন একবার,  সকালে খালি পেটে। 

উপকারিতা: 

পেটের জন্য উপকারী : খালি পেটে আদা পানি খেলে হজমশক্তি বাড়ে। এই কারণে, এটি বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটের ফোলাভাব, বমি, ডায়রিয়া এবং বমি বমি ভাব দূর করতেও খুব কার্যকর। তাছাড়া এটি খারাপ কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে। এর কারণে এটি হৃদরোগ, স্ট্রোকের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এবং হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখে।

 প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়ক : শরীরের প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে আদা পানি। আদায় থাকা প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়ক। দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহের বিরুদ্ধেও লড়াই করতে আদার পানি খুবই উপকারী।

 ত্বকের জন্য উপকারী: আদা পানি শরীরে জমে থাকা ময়লা ও টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র‌্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে, যা ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগের কারণ হয়। ত্বকের ফুসকুড়ি, ব্রণ এবং বার্ধক্যের লক্ষণ কমাতে সাহায্য করে এই পানি। নিয়মিত আদা পানি পান রক্তকে স্বাভাবিকভাবে বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে, যার প্রভাব সরাসরি ত্বকে দেখা যায়।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী : আপনি যদি খালি পেটে আদা পানি খান তবে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্তে শর্করার বৃদ্ধি রোধ করে। এ কারণে আদা পানি খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। 

Related Posts

ওজন কমাতে সাহায্য করে : খালি পেটে আদা পানি খেলে বিপাকক্রিয়া বাড়ে। বিপাকক্রিয়া ঠিক থাকলে সারাদিন স্বাভাবিক কাজ করার সময়ও এটি ক্যালোরি পোড়ায়। যা দ্রুত চর্বি ঝরাতে সাহায্য করে। আদা পানি প্রাকৃতিকভাবে শরীরকে ডিটক্সিফাই করতেও সাহায্য করে।

বমি বমি ভাব দূর হবে :বমি কিংবা বমি বমি ভাব দূর করতে আদা বেশ কার্যকরী। এতে থাকা কিছু প্রাকৃতিক উপাদান দ্রুত এই সমস্যা দূর করবে। তাই যাদের বমি বমি ভাব বা বমির সমস্যা রয়েছে, তারা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আদা পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে দ্রুত উপকার পাবেন।

কোলেস্টেরল দূর করে:কোলেস্টেরল হলো রক্তে থাকা মোম জাতীয় পদার্থের নাম। এই উপাদান বেশি হলেই তা রক্তনালীর ভেতরে জমে যায়। যে কারণে রক্তের প্রবাহ স্বাভাবিকভাবে হতে পারে না। ফলে হার্টের অসুখ, পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ, স্ট্রোকসহ আরও অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাইকোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। একাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে আদা পানি। নিয়মিত আদা পানি খেলে দ্রুত কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে আসে।

গ্যাস ও অ্যাসিডিটি কমায়:আমাদের বেশিরভাগেরই গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যা লেগে থাকে। এক্ষেত্রে অনেকেই গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট খেয়ে থাকেন। তবে এ ধরনের ওষুধ নিয়মিত খেলে তার মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে লিভার, কিডনির মতো অঙ্গে। তাই গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ বাদ দিয়ে প্রাকৃতিকভাবে সমাধান করতে হবে। সেজন্য বেছে নিতে পারেন আদা পানি। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আদা পানি খেলে এ ধরনের সমস্যা দ্রুত কমে আসবে।

আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনার যদি উপকার হয় তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না

Dengue fever Home Treatmnet
Dengue fever Home Treatmnet

ডেঙ্গু রোগ:

ডেঙ্গু রোগ বর্তমানে প্রচলিত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা। পরিমিত খাবার খেয়ে,ঠিকমতো ঘুমিয়ে, সাস্থকর জীবনযাপন করেও আমরা হটাৎ ডেঙ্গু একারন্ত হয়ে পড়ি। এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা ডেঙ্গু রোগের কারণ, প্রতিরোধ এবং চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করব।

ডেঙ্গু রোগের কারণ:

ডেঙ্গু রোগের মূল কারণ হলো ডেঙ্গু ভাইরাসের সংক্রমণ। এই ভাইরাস মূলত জমেথাকা হালকা ময়লা পানি থেকে জন্ম দেয়া একপ্রকার ক্ষতিকারক বিশক্ত মশা। এই মশা গুলো যখন একজন মানুষ কে কমাওন দায় তখন তার ভিতরের বিশক্ত জিহ্বায় মানুষের দেহে খুব দ্রুত চলমান  হয়ে যায়,ডেঙ্গুর এমন অনেক সিমটম আছে যা মানুষকে জীবন শেষ করে ফেলার জন্য যথেষ্ঠ।

ডেঙ্গু রোগের প্রতিরোধ:

ডেঙ্গু রোগের প্রতিরোধে সাধারণভাবে একাধিক উপায় অনুসরণ করা উচিত:

  • বাসর আসে পাশে পড়ে থাকা পাত্র, ফুলের টবে টায়ারের ভিতরে ফ্রিজ এবং রেফ্রিজারেটরের থেকে বের হওয়া প্রয়োজনীয় পানি জমে থাকা বাথরুমে জমে থাকা পানি থেকে ডেঙ্গু জন্মগ্রহণ করতে পারো। তাই ডেঙ্গুর জন্ম হওয়ার উৎসগুলোকে নষ্ট করে ফেলতে হবে। আমাদের চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

  •  ডেঙ্গু মশা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সব সময় মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হবে।

  • একটা কথা মনে রাখবেন ডেঙ্গু মাসের সব সময় দিনের বেলা অর্থাৎ বিকেল সময় আমরা তাই দিনের বেলায় ডেঙ্গু থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য যথেষ্ট সচেতন থাকবেন।
  • ডেঙ্গু মশার রাতে কামড়ায় না তাই রাতের থেকে দিনকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে ডেঙ্গু রোগ থেকে মুক্ত থাকুন।
  • এবং ডক্টর পরামর্শ নিয়ে ডেঙ্গু টেস্ট করে রিপোর্ট দেখে শিওর হয়নি আপনার ডেঙ্গু হয়েছে কিনা এবং হলে আপনার সিমটম কিংবা কতটা গুরুতর।

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলি:

ডেঙ্গু জ্বরের প্রমুখ লক্ষণ মধ্যে ব্যক্তির কাঁধে ব্যথা, মাংসপেশীর প্রলম্ব ব্যথা, শরীরের প্রায় সব জায়গায় ব্যথা, মাঝে মাঝে বিশেষ করে পায়ের ব্যথা এবং চোখে লাল চাকা থাকতে পারে। অন্য লক্ষণগুলি হতে পারে:

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণগুলি নিম্নলিখিত:

  • বমি এবং পাতলা পায়খানা: ডেঙ্গু রোগে সাধারণভাবে বমি এবং পাতলা পায়খানা অনুভব করা হয়।
  • জ্বর: ডেঙ্গু রোগের প্রথম লক্ষণ হলো অনেকটা মৃদু জ্বর, যা অক্সিবিলিস করতে পারে। এটি তাপমাত্রা উচ্চ করতে পারে।
  • শরীরে মাসপেশির ব্যথা: ডেঙ্গু রোগে অনেক সময় শরীরে মাসপেশির ব্যথা অনুভব করা হয়, যা অক্সিবিলিস হতে পারে
  •  মুখের প্রান্তে লালচে: ডেঙ্গু রোগের একটি চিহ্ন হলো মুখের প্রান্তে লালচে। মুখোষ্ঠ সম্পৃক্ত এই লালচ চিহ্ন প্রবল হতে পারে
  • চোখের পুল্লিং: ডেঙ্গু রোগে চোখের পুল্লিং বা লালচে অনেকটা ধানসাগরের মতো দেখতে পারে

  • স্বাস্থ্যের অবস্থা দ্রুত অবশ্যই হালকা থেকে দুর্বল হয়ে যাবে এবং প্রস্রাব হলুদ হবে।
  •  আপনার ত্বকে বিভিন্ন জায়গায় লালচে আকার ধারণ করবে এবং বেশি গুরুতর অবস্থা হলে লালচে জায়গা থেকে রক্ত বের হবে।
  •  প্রচুর পেট ব্যথা প্রধানত পেটের নিচের অংশে প্রচুর পরিমাণে ব্যথার অনুভব করবেন।

  • প্রচুর পরিমাণে মাথাব্যথা এবং ক্লান্তি অনুভব করবেন যা সহ্য করার মতো শক্তি সবার থাকে না।

  • খাবারের রুচি হারিয়ে ফেলবেন কোন কিছুই আপনার মুখে ভালো লাগবে না।

যদি আপনি এই লক্ষণগুলি অনুভব করেন থাকলে আপনি দ্রুত অভিজ্ঞ ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী চেকআপ করুন,  তবে এই সিমটম গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি থাকলেই, দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ।  ডেঙ্গু রোগের সত্যিকারের পরিষ্কার বিচার জন্য ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে হতে পারে। সতর্ক থাকা এবং প্রতিরোধ করার জন্য উপযুক্ত পরামর্শ প্রয়োজন।

ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে:

  • সংক্রামক রোগ, যা সাধারণভাবে ৩-১৪ দিনের জন্য থাকতে পারে। অধিকাংশ মামুলীদের জন্য, জ্বর প্রথম সাত দিনের মধ্যে স্বয়ংস্ফূর্তভাবে গুড়িয়ে যায় এবং তিনতারিখের মধ্যে স্বয়ংস্ফূর্তভাবে কমে হয়ে যায়।
  • ডেঙ্গু জ্বর বেশি সময় ধরে থাকে না । হটাৎ ১০০  জ্বর আসলো আবার ১ ঘণ্টা পর কমে গেলো । কিন্তু প্রুচুর করিমানে মাথা ব্যাথা পেট ব্যাথা হবে ।
  • প্রথম সাত দিনে ডেঙ্গু জ্বর শক্তিশালী থাকতে পারে, তবে এরপর অবসান হয়ে যায়। 
  • ডেঙ্গু জ্বর হলে সবথেকে বেশি দরকার সেফটি হিসেবে মশারী ব্যাবহার করা।

ডেঙ্গু হলে করণীয়:

ডেঙ্গু রোগে আপনি নিম্নলিখিত করণীয় অনুসরণ করতে পারেন:

  •  চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করুন: যত দ্রুত সম্ভব একটি ডেঙ্গু জ্বরের সনাক্তকরণ করুন দ্রুত আপনার স্থানীয় চিকিৎসকে দেখানো উচিত। চিকিৎসক সম্পর্কে পূর্ণ তথ্য প্রদান করুন এবং   চিকিৎসা করুন।
  • প্রচুর পরিমাণে ফল এবং তরল জাতীয় খাবার খাবেন।
  • সবসময় মশারী টানিয়ে থাকবেন। যাতে মশা কামরতে না পারে।
  • প্রুচুর পরিমাণে পানি খবেন
  • ঔষধ নির্ধারণ করার জন্য চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন: আপনি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হলে, আপনার চিকিৎসক যেভাবে  ঔষধ নিয়ম বলবে তা মেনে ঔষধ সেবন করুন।

সতর্ক থাকার জন্য এই পরামর্শগুলি মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ডেঙ্গু রোগ গম্ভীর হতে পারে।

Related Posts

ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে:

ডেঙ্গু জ্বরে আপনার খাবারের খেতে কিছু সাবধানতা অনুসরণ করা উচিত, কারণ এই সময়ে শরীরে শক্তির অভাব হতে পারে এবং ডেহাইড্রেশনের ঝুঁকি থাকতে পারে। তাই, আপনি নিম্নলিখিত খাবার করার চেষ্টা করতে পারেন:

  •  পানি: ডেঙ্গু জ্বরে ব্যবধান দেখে সম্ভবত প্রস্রাবে কমিয়ে যাবেন। তাই, প্রতিদিন প্রয়োজনে প্রয়োজনে যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
  • জুস, তরল পানীয় 
  •  ফল, ফেলে আনারস,তরমুজ, ডাব 

সতর্তা অনুসরণ করা ডেঙ্গু জ্বরে শরীরের প্রয়োজন পূরণ করতে পারেন। আপনি যদি ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ অনুভব করেন, তবে তা দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।

ডেঙ্গু জ্বর হলে কি গোসল করা যাবে?

ডেঙ্গু জ্বরে গোসল করার সময় কিছু সতর্কতা অনুসরণ করা উচিত কারণ ডেঙ্গু রোগ ক্ষতিকর হতে পারে।

আপনি নিম্নলিখিত সতর্কতা অনুসরণ করে গোসল করতে পারেন:

  • একটি বাড়ির যেকোনো সময়: যখন আপনি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হবেন, তখন অন্তর্ভুক্ত অক্সিবিলিসের প্রস্তুতি অনুসরণ করার জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় সময়ে গোসল করু
  • আপনি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে, প্রস্তুতি সামগ্রী অনুসরণ করতে এবং সতর্কতা অনুসরণ করতে পারেন, যাতে এটি আপনার স্বাস্থ্য ও সমগ্র স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হয়। 

ডেঙ্গু মশা চেনার উপায়:

ডেঙ্গু মশা চেনার উপায় মসলা বিদারণ করার জন্য প্রয়োজনীয় একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম। ডেঙ্গু মশা সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্য আপনি নিম্নলিখিত কার্যক্রমগুলি মেনে চলতে পারেন:

  • পর্যাপ্ত বাসার পরিবেশ: ডেঙ্গু মশা সাধারণভাবে পানির সমীপে এবং উপকূলে থাকে। 
  • পানির স্থানে পরিস্কার করা: বাড়ির প্রায় প্রতিটি প্রান্তে অপ্রয়জনিওvপানি জমা হতে পারে, যা ডেঙ্গু মশা বেড়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে। প্রতিটি অপ্রয়জনিও পানির স্থান পরিস্কার করুন।
  • ফুলের টব এর মধ্যে জমে থাকা পানি পরিস্কার রাখুন।
  • বাথরুমে জমানো পানি পরিষ্কার করুন।

ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা:

ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা একটি সহজ প্রক্রিয়া, এবং এটি ভালোভাবে মোকাবিলা করতে পারলেই হবে। ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা সাধারণভাবে নিম্নলিখিত প্রক্রিয়াগুলি উল্লেখ করে:

  • প্রাথমিক চিকিৎসা: যখন কাউকে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ দেখা যায়, সরাসরি একটি চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
  • ডেঙ্গু পরীক্ষা: যখন ডেঙ্গু রোগের সনাক্তকরণ হয়, চিকিৎসক সাধারণভাবে একটি ডেঙ্গু পরীক্ষা করেন। এই পরীক্ষা ডেঙ্গু ভাইরাসের উপস্থিতি সনাক্ত করতে সাহায্য করে।
  • প্রতিরোধ: ডেঙ্গু প্রতিরোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হয়। মশারী টানিয়ে থাকতে হবে ইত্যাদি

ডেঙ্গু রোগ সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্য এই চিকিৎসা প্রক্রিয়াগুলি মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ অনুভব করেন, তাহলে নিয়ম গুলো মেনে চলা দরকার।


ডেঙ্গু রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা:

ডেঙ্গু রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা,এটি সাধারণভাবে ঘরে সেবা প্রদান করা কঠিন । ডেঙ্গু রোগের সনাক্তকরণ হলে সরাসরি চিকিৎসা কাছে হস্তান্তর করা দরকার।ডেঙ্গু সনাক্ত হলে যদি আইসিইউ তে রাখার প্রয়জন হয় তাইলে সেখানে রাখতে হবে নাইলেবাসায় যেতে পারবে। এবং উপরের উল্লেখিত খাবার গুলো খেতে হবে বেশি পরিমাণে এবং রেস্ট নিতে হবে।

ডেঙ্গু রোগের ক্ষেত্রে, বাড়িতে চিকিৎসা প্রয়োজনের ক্ষেত্রে সবসময় স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে যাওয়া প্রয়োজন। ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ অনুভব করলে, অতি দ্রুত চিকিৎসা প্রাপ্ত করার জন্য ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা সেন্টারে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

সমাপ্তিতে:

ডেঙ্গু জ্বর বা ডেঙ্গি ফিভার একটি সমস্যা যা তাৎক্ষণিক সাময়িক চিকিৎসা এবং যত্ন দ্বারা সহজে হ্যান্ডল করা যায়। সার্বিক যত্ন এবং সাময়িক চিকিৎসা সঙ্গে যোগ করে, ডেঙ্গু জ্বর সাম্প্তির উপায় বৃদ্ধি পায় এবং ব্যক্তি স্বাস্থ্যসেবার সাথে সংযোজিত থাকে।

How to Reduce Fever in a Baby Naturally
How to Reduce Fever in a Baby Naturally

Introduction

When your baby has a fever, it can be a worrisome and challenging experience. As a parent, your instinct is to provide the best care possible. While medical intervention may be necessary in certain situations, there are also natural and gentle ways to help reduce your baby's fever. In this article, we will explore some safe and effective methods to alleviate your baby's discomfort and promote a speedy recovery.

What is Baby Fever ?

Baby fever" is a colloquial term used to describe a strong desire or longing to have a baby. It is not a medical condition or a physical symptom but rather an emotional or psychological state. People experiencing baby fever may feel a strong, often overwhelming urge to become a parent and have a child of their own. This desire is typically driven by various factors, including societal influences, personal life goals, or a natural instinct to nurture and care for a child.

Baby fever can be experienced by individuals of all genders and can manifest at various stages of life. It's important to note that while many people experience baby fever and have a strong desire to become parents, the decision to have children should be carefully considered, as it involves significant responsibilities and life-changing commitments. It's essential for individuals and couples to assess their readiness for parenthood, both emotionally and practically, before making this significant life decision.

Keep Your Baby Hydrated

Ensuring your baby remains well-hydrated is crucial during a fever. A fever can cause increased fluid loss, so it's essential to offer plenty of fluids. Breast milk or formula is the best choice for infants, as they provide the necessary nutrients and hydration. You can also offer clear liquids, such as water or an oral rehydration solution (ORS), for older babies who have started solids.

Lukewarm Baths

A lukewarm bath can be a soothing and effective way to reduce your baby's fever. Avoid using cold water, as it can cause shivering and discomfort. Instead, fill the tub with lukewarm water and let your baby soak for 10-15 minutes. This can help cool their body temperature and provide relief.

Dress Lightly

Dress your baby in lightweight, breathable clothing to help regulate their body temperature. Avoid bundling them up in heavy layers or blankets, as this can trap heat and make the fever worse. Opt for loose-fitting clothes that allow for natural cooling.

Room Temperature

Maintain a comfortable room temperature for your baby. A slightly cooler room, around 70-72°F (21-22°C), is generally ideal. Avoid overdressing your baby or overusing heating devices, as they can make your baby feel more uncomfortable during a fever.

Use a Fan

A gentle fan or a ceiling fan can help with air circulation and cooling. Make sure the fan is not directly blowing on your baby, and use it at a low setting to create a comfortable environment.

Herbal Teas

For babies older than six months, certain herbal teas may help reduce fever. Chamomile and elderflower teas, when cooled to room temperature, can be offered in small quantities. These teas have natural soothing properties and may encourage sweating, which can help regulate body temperature.

Breastfeeding

If your baby is breastfeeding, continue to nurse as often as they want. Breast milk provides essential nutrients and antibodies that can help support their immune system during an illness. It's also a source of hydration, keeping them well-nourished.

Monitor Fever with a Thermometer

Keep a close eye on your baby's temperature with a reliable thermometer. A rectal thermometer is often recommended for infants for accurate readings. If your baby's temperature remains high or rises significantly, consult a healthcare professional for guidance.

Consult a Pediatrician

If your baby's fever persists for more than a couple of days, is accompanied by other severe symptoms, or is causing you significant concern, do not hesitate to seek professional medical advice. A pediatrician can provide guidance on when it's necessary to consider over-the-counter medications or other treatments.

Conclusion

Reducing a fever in a baby naturally involves creating a comfortable and nurturing environment, offering proper hydration, and monitoring their temperature. While these natural remedies can provide relief, it's essential to consult with a healthcare professional if you have concerns about your baby's fever, as it may be an indicator of an underlying condition that requires medical attention. Your baby's health and well-being are of paramount importance, and with the right care, they will be on their way to a swift recovery.

Table of Contents
Fostering Mental Health Awareness: Constructing a More Resilient Society
Fostering Mental Health Awareness: Constructing a More Resilient Society

Introduction

Mental health is an integral part of our overall well-being, influencing our emotions, thoughts, and behaviors. In recent years, the importance of mental health awareness has gained much-deserved recognition. In this article, we will explore the significance of mental health awareness, why it matters, and how it can contribute to a healthier and more compassionate world.

Understanding Mental Health

Mental health encompasses our emotional, psychological, and social well-being. It affects how we handle stress, relate to others, make choices, and navigate life's ups and downs. A strong foundation of mental well-being is essential for living a fulfilling life and for maintaining healthy relationships with others.

Why Mental Health Awareness Matters

Reducing Stigma: One of the primary reasons to promote mental health awareness is to reduce the stigma surrounding mental health issues. In many societies, there is a long-standing stigma associated with seeking help for mental health problems. By raising awareness, we can create a more open and accepting environment where individuals feel safe seeking support.

Early Intervention: Mental health awareness encourages early intervention. When people recognize the signs of mental health challenges in themselves or others, they are more likely to seek help promptly. This can prevent minor concerns from developing into more serious conditions.

Promoting Self-Care: Awareness campaigns emphasize the importance of self-care and emotional well-being. By acknowledging the significance of mental health, individuals are more likely to prioritize practices that promote mental well-being, such as mindfulness, exercise, and seeking professional help when needed.

Encouraging Support: Communities that emphasize mental health awareness create a support system for individuals in need. The availability of mental health resources, crisis hotlines, and community programs can make a significant difference in the lives of those facing mental health challenges.

How to Promote Mental Health Awareness

Start Conversations: Open and honest conversations about mental health can help break the silence and stigma surrounding the topic. Encourage discussions among friends, family, and colleagues, creating an environment where people feel safe sharing their experiences.

Educate Yourself: Take the time to learn about mental health conditions, their signs, and the available treatment options. Education empowers individuals to recognize when they or someone they know might need help.

Support Mental Health Organizations: Support local and national mental health organizations that are working tirelessly to promote awareness, provide resources, and support those in need.

Practice Self-Care: Prioritize your own mental health and well-being. Self-care practices such as regular exercise, meditation, and maintaining a work-life balance can go a long way in promoting mental health.

Social Comparison: Social media can promote unrealistic comparisons, leading to feelings of inadequacy and low self-esteem.

Cyberbullying: Online harassment and cyberbullying can lead to anxiety, depression, and other mental health issues.

Fear of Missing Out (FOMO): Constant exposure to the curated lives of others can contribute to FOMO, which can lead to feelings of loneliness and isolation.

Addiction: The addictive nature of social media can detract from face-to-face interactions, leading to feelings of loneliness and depression.

Self-Esteem: Constant feedback and likes on social media can affect self-esteem, with individuals seeking validation through online interactions.

Men's Mental Health Month

Men's Mental Health Month is observed in June each year, with the primary aim of raising awareness about men's mental health issues. This initiative seeks to encourage men to be open about their emotions, seek help when needed, and reduce the stigma around discussing mental health. It also highlights the unique challenges men may face in their mental health journey.

Conclusion

Mental health awareness is not just a trend; it's a fundamental aspect of our well-being. By fostering awareness, we can reduce stigma, encourage early intervention, promote self-care, and provide a supportive community for individuals facing mental health challenges. It's a shared responsibility that can lead to a healthier, more compassionate world where individuals can thrive, unburdened by the weight of mental health stigma. Together, we can build a society where seeking help for mental health issues is not only accepted but encouraged, ultimately leading to happier, healthier lives for all.

Table of Contents
Why is mental health important
Why is mental health important

Introduction:

Mental health is a topic that, in recent years, has gained increasing recognition and significance. It refers to our emotional, psychological, and social well-being, influencing how we think, feel, and act in our daily lives. In this article, we will delve into the importance of mental health and why it should be a priority for every individual.

Mental Health and Well-Being

Emotional Resilience: Mental health plays a pivotal role in helping individuals build emotional resilience. When our mental health is in good shape, we can better cope with the inevitable challenges life presents, such as stress, loss, and uncertainty.

Positive Relationships: Good mental health is essential for establishing and maintaining healthy relationships. It enables us to communicate effectively, empathize with others, and manage conflicts constructively.

Performance and Productivity: A balanced mental state has a direct impact on our ability to concentrate, make decisions, and achieve our goals. In contrast, poor mental health can lead to decreased productivity, absenteeism, and difficulties in performing daily tasks.

Physical Health: Mental health is closely intertwined with physical health. Stress and negative emotions can contribute to various physical ailments, including heart disease, obesity, and weakened immune function. Nurturing mental health can help prevent or mitigate these health issues.

Quality of Life: Ultimately, mental health significantly contributes to our overall quality of life. It affects our sense of happiness, satisfaction, and fulfillment, influencing how we experience life's joys and challenges.

The Importance of Mental Health Awareness

Reducing Stigma: Raising awareness about mental health helps reduce the stigma associated with seeking help for mental health issues. This allows individuals to feel more comfortable talking about their struggles and seeking support.

Related Posts

Early Intervention: Mental health awareness encourages early intervention. Recognizing signs of mental health issues and addressing them promptly can prevent conditions from worsening, leading to better outcomes for individuals.

Promoting Self-Care: Mental health awareness emphasizes the importance of self-care and emotional well-being. It encourages individuals to prioritize self-care practices that promote mental health, such as meditation, exercise, and seeking professional help when needed.

Community Support: Communities that prioritize mental health create a support system for those in need. The availability of mental health resources, hotlines, and community programs can make a significant difference in the lives of individuals struggling with mental health challenges.

Conclusion

Mental health is a fundamental aspect of our lives, impacting our relationships, work, physical health, and overall well-being. It's crucial to recognize the importance of mental health and prioritize it in our daily lives. By fostering awareness and understanding, we can help individuals struggling with mental health issues and contribute to a more compassionate and supportive society.

In the fast-paced and often stressful world we live in, taking care of our mental health should be a priority. Whether it's through self-care practices, seeking professional help, or simply being mindful of our emotional well-being, nurturing our mental health can lead to a more fulfilling and balanced life.

Symptoms of Piles
অর্শ বা পাইলস কি, কেন হয় লক্ষণ সমূহ, হোমিওপ্যাথি ও ঘরোয়া চিকিৎসা

পাইলস

পাইলস বা হেমরয়েড্স হলো একটি আমুদ্রের সমস্যা, যা সমাজে একটি মন্দগতি প্রদর্শন করে এবং কমলে আপনার জীবনে অসুখের কারণ হতে পারে। পাইলস বা হেমরোইডস হলো একটি মলাশয়ের একটি রোগ যার ফলে বায়ু, মল এবং প্রজালে প্রদাহে সমস্যা সৃষ্টি হয়। এই সমস্যার ফলে প্রাথমিকভাবে ব্যথা, জ্বর, অস্বস্তি এবং রক্তস্রাব হয়ে থাকে।

পাইলসের দুই প্রকার :

  • বাহ্যিক পাইলস
  • অভ্যন্তরীণ পাইলস।

বাহ্যিক পাইলস হলো মলাশয়ের বাইরের পাইলস, যেগুলো মলাশয়ের বাইরে বেরহয়ে যায়।

অভ্যন্তরীণ পাইলস হলো মলাশয়ের ভেতরে গুলি, যা প্রকারে ক্ষেত্রে বায়ুর সাথে মিশে থাকে।

পাইলস এর উপায়ে চিকিৎসা সম্পন্ন করার জন্য ব্যাপক প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতির পাশাপাশি ঔষধ এবং স্থায়ী চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে। সেইসাথে সমস্যা এবং উপকারী ঔষধ খাওয়া নিয়ম মেনে চলা চিকিৎসকের থেকে পরামর্শ নেওয়া উচিত। আপনার যদি পাইলসের লক্ষণ দেখা যায়, তা ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসা প্রদান করার জন্য ভালো জানে এমন ডাক্তারের সাথে পরামর্শের করুন।

এই নিবন্ধে, আমরা পাইলসের লক্ষণ, সমস্যা, চিকিৎসা এবং এই সমস্যার সাথে যোগাযোগ করার সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করব।

পাইলস কেন হয়?

কিছু কিছু জিনিস পাইলস এর ঝুঁকি বাড়ায়, সেই সাথে ইতোমধ্যে কারো পাইলস রোগ হয়ে থাকলে তার তীব্রতাও বাড়িয়ে দেয়, যেমন—

  • শক্ত বা কষা পায়খানা
  • মলত্যাগের সময় জোরে চাপ দেয়া
  • অনেক সময় ধরে মলত্যাগের কসরত করা
  • পায়খানার বেগ আটকে রাখা
  • শারীরিক পরিশ্রম না করা 
  • অতিরিক্ত ওজন

এছাড়া গর্ভাবস্থায় নানান শারীরিক পরিবর্তনের কারণেও কারও কারও ক্ষেত্রে পাইলস এর ঝুঁকি বেড়ে যায়।

স্বাভাবিক অবস্থায় পায়খানার রাস্তা বা পায়ুপথের মুখ সাধারণত বন্ধ থাকে। যখন প্রয়োজন হয়, তখন চাপ দিয়ে পায়ুপথের মুখ খুলে শরীর থেকে পায়খানা বা মল বের করে দেওয়া হয়।

পায়ুপথের মুখ বন্ধ রাখতে সেখানে বেশ কিছু জিনিস একসাথে কাজ করে। তার মধ্যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হল অ্যানাল কুশন। এই কুশনগুলো ৩ দিক থেকে চাপ দিয়ে পায়ুপথের মুখ বন্ধ রাখতে সাহায্য করে।

যদি কোনো কারণে তিন দিকের এই কুশনগুলো ফুলে যায়, সেগুলো থেকে রক্তক্ষরণ হয়, সেগুলো নিচের দিকে নেমে যায়, অথবা পায়ুপথের চারপাশে গোটার মত দেখা যায়, তখন তাকে পাইলস বা অর্শ রোগ বলা হয়ে থাকে।

পাইলসের লক্ষণ:

রক্তের বৃদ্ধি: পাইলসের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হলো বৃদ্ধি বা গোলকেয় সুজ যা গুদের বাইরে বা ভেতরে দেখা যায়।

ব্যাথা এবং অস্বস্তি: পাইলসের সাথে সাথে ব্যাথা এবং অস্বস্তি অনুভব করা হয়, সাধারণভাবে বৃদ্ধির জোরে বা প্রশ্রয়নে এটি বেশি হতে পারে।

রক্তস্রাব: পাইলসের কারণে কিছু সময় গুদে রক্তস্রাব হতে পারে, যা লোহিত ক্যালারে হতে পারে এবং এটি পায়ে অসুখের অভিনয় হতে পারে।

প্রস্রাবন অনুভব করা: পাইলসের কারণে প্রস্রাবনের সময় বা পরবর্তীতে প্রস্রাবনের সময় ব্যথা অনুভব করা সাধারণ হতে পারে।

মলদ্বার এলাকায় বায়ুত্ব: পাইলসের সাথে মলদ্বার এলাকায় বায়ুত্ব অনুভব করাও ।

পাইলসের সমস্যা:

ব্যক্তিগত সমস্যা: পাইলস সাধারণভাবে ব্যক্তিগত সমস্যা, যা ব্যক্তিগত জীবনে অসুখের কারণ হতে পারে। এটি ব্যক্তিগত জীবনের সাথে ব্যক্তিগত সমস্যা এবং আত্মবিশ্বাস হ্রাস করতে পারে।

প্রাকৃতিক সমস্যা: পাইলসের কারণে ব্যক্তির প্রাকৃতিক সমস্যাও হতে পারে, যেমন স্থলানুসারী স্থানে স্যানিটেশন প্রশ্ন, স্থূলবাদ, এবং অন্যান্য সমস্যার সাথে অধিক মানসিক আপত্তি সহিত থাকতে পারে।

পাইলসের চিকিৎসা এবং ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ:

যখন আপনি পাইলসের সাথে সমস্যা অনুভব করেন, তখন অবশ্যই একজন চিকিৎসকে দেখাবেন। একজন প্রশাসনিক ডাক্তার বা প্রোক্টলজিস্ট আপনার সমস্যার সঠিক নিরীক্ষণ করে এবং চিকিৎসা প্রদান করবেন। চিকিৎসক আপনাকে চিকিৎসার প্রয়োজন হলে নির্দেশ করবেন এবং আপনাকে প্রয়োজনীয় ঔষধ বা অপারেশনের সাথে যোগাযোগ করতে বলবেন।

চিকিৎসা সাধারণভাবে আমুদ্রে হয় এবং কোনও গম্বুজ বা স্থলানুসারী স্থানে প্রয়োজন হতে পারে। সাধারণভাবে, ঔষধ এবং স্থানীয় চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে, কিন্তু গতিশীল পাইলস বা সমস্যার জন্য অপারেশন সাধারণভাবে প্রয়োজন হয় না।

পাইলস এর চিকিৎসা কোথায় ভালো হয়

পাইলস বা হেমরোইডস রোগের চিকিৎসা ভালো করার জন্য নিম্নলিখিত কিছু মৌলিক উপায় রয়েছে:

1. বৃদ্ধি প্রতিরোধ ও প্রতিরক্ষা: প্রাথমিক উপায় হিসেবে, পর্যাপ্ত পানি পান করা, প্রাকৃতিক খাবার খেতে সাবধান থাকা, সক্রিয় জীবনযাপন এবং বয়স করা খোলামেলা সম্পর্কিত প্রমোশন করা গুরুত্বপূর্ণ।

2. দক্ষ চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ ও চিকিৎসা: যদি পাইলসের লক্ষণ প্রসারিত হয়, তবে দক্ষ চিকিৎসকের সাথে পরামর্শের জন্য দ্রুত যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর পরামর্শ মেনে চলে সঠিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়ে যেতে পারে।

3. ঔষধ প্রয়োগ: কিছু পাইলস এর উপকারী ক্রিম, গোলাপী তেল, এবং পিলস জনিত ব্যথা মোক্ষণ এর জন্য ঔষধ প্রয়োগ করা হতে পারে।

4. লেজার থেরাপি: সেভ অপারেশন পাইলস এর জন্য লেজার থেরাপি অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে, যা আপনার পাইলস সমস্যার সাথে সাথে ব্যাপকভাবে সম্প্রদায়গত চেয়ার ভাগের ক্ষেত্রে সক্ষম হয়।

5. স্থায়ী সমাধান: প্রাথমিক চিকিৎসা থেকে উপকার না পাওয়া গেলে পাইলসের জন্য স্থায়ী সমাধান যেমন স্ক্লেরোথেরাপি, ব্যাণ্ডিং বা পুল্লিঙ প্রক্রিয়ার মতো প্রক্রিয়াগুলি ভালো হতে পারে।

উপরে উল্লিখিত চিকিৎসা পদ্ধতি ও প্রয়োগের মধ্যে সম্মিলিত সামগ্রী যেমন আপনার অবস্থার উপর নির্ভর করে। সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিষ্ঠিত ও অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শের প্রয়োজন থাকতে পারে।

পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা

পাইলস রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা কিছু উপায়ে সাহায্য করতে পারে, কিন্তু এই প্রক্রিয়াগুলি সেবন করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃতপক্ষে ঘরোয়া চিকিৎসা প্রয়োজনে ব্যবহার করা যেতে পারে:

1. সিটজ বাথ: গরম পানিতে অস্থির থাকা এবং প্রস্তুতির ব্যথা কমাতে সিটজ বাথ ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি প্রকারে পাইলস থেকে বুদ্ধির জন্য ব্যবহৃত হয়।

2. শুকনো পানির বাথ: পাইলস স্থানে শুকনো পানির বাথ করা হতে পারে, যা প্রস্তুতির ব্যথা ও সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

3. ধূপস্নান: পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা গুলির একটি হতে পারে ধূপস্নান এর ব্যবহার, যা প্রস্তুতির ব্যথা ও সমস্যা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

4. সুশ্রাব: এটি সাধারণভাবে পাইলস থেকে বুদ্ধির জন্য ব্যবহৃত হয়, যা ব্যথা এবং অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

5. পাইলস বাম বা প্রস্তুতি মলাশয়ের উপর দাবি: কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা হল পাইলস বাম বা প্রস্তুতি মলাশয়ের উপর দাবি প্রয়োজনে ব্যবহৃত হতে পারে।

এই ঘরোয়া চিকিৎসা প্রয়োজনে এই উপায়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে, কিন্তু যেকোনো প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজনে সঠিক চিকিৎসা প্রদানের জন্য ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন এবং উপযুক্ত প্রেসক্রিপশন অনুসরণ করুন।

কখন দ্রুত হাসপাতালে যাবেন?

পাইলসহলে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি। যেমন—

  • টানা ৭ দিন বাসায় চিকিৎসা নেয়ার পরেও অবস্থার উন্নতি না হলে
  • বারবার পাইলস এর সমস্যা হলে
  • ৫৫ বছরের বেশি বয়সী কারও প্রথমবারের মত পাইলস এর লক্ষণ দেখা দিলে
  • পাইলস থেকে পুঁজ বের হলে
  • জ্বর বা কাঁপুনি হলে, অথবা খুব অসুস্থ বোধ হলে
  • অনবরত রক্তক্ষরণ হলে
  • অত্যধিক রক্তপাত হলে (উদাহরণস্বরূপ, যদি কমোডের পানি লাল হয়ে যায় বা পায়ুপথ দিয়ে  রক্তের বড় বড় চাকা যায়)
  • তীব্র, অসহনীয় ব্যথা হলে
  • পায়খানার রঙ কালচে বা আলকাতরার মত কালো মনে হলে

পাইলস এর অপারেশন

ঘরোয়া চিকিৎসার উপদেশ এবং ডাক্তারের ঔষধ সেবনের পরামর্শগুলো সঠিকভাবে মেনে চলার পরেও যদি অর্শ রোগের এর সমাধান না হয়, সেক্ষেত্রে অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে। এ ব্যাপারে আপনার চিকিৎসক আপনাকে পরামর্শ দিবেন। সাধারণত ৩ ধরনের অপারেশন করা হয়ে থাকে—

১. হেমোরয়েডেকটোমি: এই অপারেশনের মাধ্যমে পাইলস এর গোটাগুলো কেটে অপসারণ করা হয়। 
২. স্টেপলড হেমোরয়েডোপেক্সি: এই পদ্ধতিতে সার্জারির মাধ্যমে পাইলস এর গোটাগুলো পুনরায় পায়ুপথের ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়া হয়।

৩. হেমোরয়েডাল আর্টারি লাইগেশন: এক্ষেত্রে পাইলস এর গোটাগুলোর রক্ত সরবরাহ অপারেশনের মাধ্যমে বন্ধ করে দেয়া হয়, যাতে গোটাগুলো শুকিয়ে যায়।

এসব অপারেশনের জন্য সাধারণত এনেসথেসিয়া বা চেতনানাশক ব্যবহার করে রোগীকে অজ্ঞান করা হয় এবং সার্জারির পর দুই-একদিন হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন হতে পারে।

এলোপ্যাথিক চিকিৎসা : অর্শের কোনো সুচিকিৎসা হয় না। অস্ত্রোপচার ছাড়া কোনো গতি নেই। কিন্তু তাতেও রোগ নির্মূল হতে পারে না। অতএব প্রথম থেকেই অর্গানন অনুসরনকারী হোমিওপ্যাথিতে চিকিৎসা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। যে পুরাতন রোগ বীজ রোগীর দেহে বর্তমান রোগের সৃষ্টি করেছে সেই ধাতুগত দোষ দূরিকরণার্থে উপযুক্ত ওষুধ সেবন না করলে শুধু অস্ত্রোপচার বা এলোপ্যাথি ওষুধ খেলে কোনো লাভ হবে না।

শেষ কথা:

পাইলস একটি প্রচলিত স্বাস্থ্য সমস্যা যা সঠিক চিকিৎসা এবং যত্নের সাথে সমাধান করা যেতে পারে। যদি আপনি পাইলসের লক্ষণ অনুভব করেন, তবে দ্রুত একজন চিকিৎসকে দেখানো গুরুত্বপূর্ণ এবং সমস্যার সঠিক চিকিৎসা প্রদান করা হবে। প্রচেষ্টা করতে ভুলবেন না এবং আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কে সাবধান থাকতে হবে যেন পাইলসের সমস্যার জন্য আপনি সার্থক চিকিৎসা এবং যত্ন পেতে পারেন।

Symptoms of Depression
ডিপ্রেশন বা বিষন্নতা রোগের উপসর্গ

ডিপ্রেশন কি

ডিপ্রেশন হলো ইমোশনাল ইলনেস এবং এ রোগে ব্যক্তির মন-মেজাজ বা মুডের অবনতি ঘটে দারুণভাবে। মানসিক রোগের মধ্যে সর্বাধিক কমন রোগ ডিপ্রেশন। এটি এমন এক রোগ যার সাথে জড়িয়ে থাকতে পারে উদ্বিগ্নতা এবং বাধ্যতাধর্মী গোলযোগ। তবে উদ্বিগ্নতা এবং বাধ্যতাধর্মী গোলযোগ আলাদাভাবেও রোগের মাধ্যমে প্রকাশ পেতে পারে। যারা উদ্বিগ্নতায় সচরাচরভাবে ভুগতে থাকে তাদের মাঝেও ডিপ্রেশন অনেক সময় দেখা দেয়। ডিপ্রেশন দেখা দিতে পারে বিভিন্ন মাত্রায়, গভীরতায় ও পরিসরে। এ রোগটি প্রায়ই দীর্ঘমেয়াদি হয়ে থাকে এবং আক্রান্ত ব্যক্তির জীবন দুর্বিষহ ও অর্থহীন করে ফেলে। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ভেঙে পড়েন, অলস হয়ে যান, হয়ে যান অকর্মঠ, নিস্তেজ, শক্তিহীন ও অ্যানার্জিহীন

ডিপ্রেশন বা বিষন্নতা:

বিষন্নতা বোধ ও বিষণ্নতা রোগ দুটি আলাদা জিনিস। ছোটখাটো কারণে মন খারাপ হলে আমরা বিষণ্নতা বোধ করি। কিন্তু এটি রোগ নয়, সাময়িক ব্যাপার মাত্র। এটির কোন চিকিৎসা দরকার নেই।

অপরপক্ষে বিষন্নতা রোগটি আরেকটু ব্যাপক। জনসংখ্যার শতকরা 10 থেকে 15 ভাগ বিষণ্ণতা রোগে ভুগে থাকে এবং এর জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। মহিলাদের মধ্যে এ রোগে ভোগার প্রবণতা পুরুষদের চেয়ে তিন গুণ বেশি। বিষণ্নতা রোগ নানা আকারে আসতে পারে। কিন্তু উপসর্গগুলো মোটামুটি এক।

বিষন্নতা রোগের উপসর্গ:

  • দীর্ঘমেয়াদী অশান্তিবোধ
  • মন খালি খালি লাগা
  • আশাহত অনুভূতি ও নেতিবাচক মনোভাব
  • কোন কাজে উৎসাহ না লাগা
  • আনন্দদায়ক কাজে আনন্দ না পাওয়া
  • নিজেকে অপরাধী ভাবা
  • ঘুমের সমস্যা
  • খাদ্যে অরুচি
  • সেক্স বা যৌনতা সম্পর্কে উৎসাহ কমে যাওয়া ।
  • উৎসাহের অভাব বা ক্লান্তিবোধ
  • কাজকর্মে অলস হয়ে যাওয়া
  • মৃত্যুর চিন্তা ভাবনা
  • আত্মহত্যার চিন্তা আসা
  • মনোযোগের অভাব
  • অস্থিরতা
  • বিরক্তি ভাব
  • আত্মবিশ্বাসের অভাব
  • স্মরণশক্তির সমস্যা
  • সিদ্ধান্ত নিতে না পারা
  • প্রতিটি জিনিস নেগেটিভ ভাবে দেখা
  • শরীরের দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা
  • মাথা ব্যথা
  • যৌন দুর্বলতা

বিষন্নতা একটি সমগ্র শরীরের রোগ ।এই রোগটি মাথা থেকে পা পর্যন্ত শরীরের যেকোনো ধরনের কার্যক্রমের ব্যাঘাত ঘটায়, শ্লথ করে দেয় । রোগীর অর্থনৈতিক ক্ষতি হয় শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির পাশাপাশি।

Related Posts

বিষন্নতা রোগের চিকিৎসা:

প্রথমেই বিষন্নতাবিরোধী ওষুধ একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় নির্দিষ্ট সময় ধরে খেতে হবে । ওষুধ সেবনের 15 দিন থেকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাত দিন থেকেই রোগের উন্নতি লক্ষ্য করা যায়।সামগ্রিক উন্নতি লাভের রোগীকে কমপক্ষে দুই থেকে তিন মাস একটানা ওষুধ খেতে হয় ।

এ রোগের চিকিৎসায় ওষুধের কোন কোর্স নেই । চিকিৎসক রোগীর উন্নতি পর্যবেক্ষণ করে ওষুধের ধীরে ধীরে কমাবেন এবং পরে তা বন্ধ করবেন । তবে , মোটামুটি ভাবে বলা যায় রোগীকে 6 মাস থেকে 9 মাস কোন কোন ক্ষেত্রে এক বছর ওষুধ সেবন করতে হতে পারে।

ডিপ্রেশনের জন্য ওষুধের পাশাপাশি নানা ধরনের থেরাপি প্রয়োগ করা হয় এর মধ্যে কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি বা সি বি টি /CBT উল্লেখযোগ্য।

Source:
ডা: মোঃ ফাইজুল হক

মেক্সিকো সিটির একটি নার্সিং হোমে কোভিড-১৯–এর টিকা নিচ্ছেন এক নারী
মেক্সিকো সিটির একটি নার্সিং হোমে কোভিড-১৯–এর টিকা নিচ্ছেন এক নারীছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

নারীরা পুরুষদের চেয়ে অপেক্ষাকৃত বেশি সময় বাঁচে, তবে তাদের পুরুষদের তুলনায় বেশি বছর অসুস্থ থাকতে হয়। জনস্বাস্থ্যবিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন থেকে এমন তথ্য জানা গেছে। স্বাস্থ্যগত অবস্থার দিক থেকে নারী ও পুরুষের মধ্যে ব্যবধান বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা নারীর স্বাস্থ্যের উন্নয়নে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

বিশ্বে রোগবালাইয়ের ২০টি শীর্ষস্থানীয় কারণ পরীক্ষার ভিত্তিতে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ হয়েছে। এতে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যগত দিক থেকে নারী ও পুরুষের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যবধান দেখা যায়। গত তিন দশকে নারী ও পুরুষের স্বাস্থ্যগত অবস্থার ব্যবধানগুলো পূরণে সীমিত অগ্রগতি হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, পেশির সমস্যা, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং মাথাব্যথার মতো রোগগুলো বিশেষ করে নারীর শরীরের ওপর প্রভাব ফেলে। এগুলো প্রাণঘাতী না হলেও তা অসুস্থতা ও শারীরিক অক্ষমতা তৈরি করে।

অন্যদিকে পুরুষেরা অনানুপাতিক হারে এমন সব পরিস্থিতির মুখোমুখি হন, যা তাদের অকাল মৃত্যু ঘটায়। যেমন- হৃদ্‌রোগ, শ্বাসযন্ত্র, যকৃতের রোগ, কোভিড-১৯–এর মতো রোগে আক্রান্ত হওয়া এবং সড়ক দুর্ঘটনা।

নারী ও পুরুষের মধ্যে স্বাস্থ্যগত অবস্থার যে ভিন্নতা আছে, তা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায়। এতে নারীরা জীবনভর অপেক্ষাকৃত উচ্চ মাত্রার অসুস্থতা ও শারীরিক অক্ষমতায় ভোগেন। আর এ অবস্থা নিয়েই তারা পুরুষদের চেয়ে বেশি বছর বাঁচেন।

ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড ইভালুয়েশন (আইএইচএমই)-এর গবেষক ড. লুইসা সোরিও ফ্লর এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিবেদনটি স্পষ্ট করে দেখিয়ে দিয়েছে যে গত ৩০ বছরে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত ইস্যুতে বৈশ্বিকভাবে যে অগ্রগতি হয়েছে, তা অসম। নারীরা দীর্ঘ আয়ু পেলেও তারা অপেক্ষাকৃত বেশি বছর অসুস্থ থাকে। যেসব পরিস্থিতির কারণে তাদের অসুস্থতা ও অক্ষমতা তৈরি হয়, তা সামাল দিতে সীমিত অগ্রগতি হয়েছে। যেসব পরিস্থিতির (প্রাণঘাতী নয়) কারণে নারীদের বিশেষ করে বয়স্ক অবস্থায় তাদের যে শারীরিক ও মানসিক কার্যক্ষমতা সীমিত হয়ে পড়ে, তার দিকে নজর দেওয়াটা এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। একইভাবে পুরুষেরা অপেক্ষাকৃত উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন এবং প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হন।’

গবেষণার অংশ হিসেবে পুরুষ ও নারীদের অসুস্থতা ও মৃত্যুর ২০টি কারণ নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বয়স ও অঞ্চল ভেদে নারী ও পুরুষের মধ্যে পার্থক্যগুলো যাচাই করা হয়েছে।

এ গবেষণার জন্য ২০২১ সালে হওয়া গ্লোবাল বারডেন অব ডিজিজ স্টাডির তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এ ক্ষেত্রে স্ত্রীরোগ ও প্রোস্টেট ক্যানসারের মতো লিঙ্গভিত্তিক স্বাস্থ্য অবস্থার তথ্যগুলো নেওয়া হয়নি।  

গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২১ সালে অসুস্থতা ও মৃত্যুর শীর্ষ ২০টি কারণের মধ্যে ১৩টি কারণই পুরুষের মধ্যে বেশি দেখা গেছে। যেমন- কোভিড-১৯, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়া, হৃদ্‌রোগ, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, যকৃতের রোগের মতো সমস্যাগুলো নারীর চেয়ে পুরুষের মধ্যে বেশি দেখা গেছে।

নারীরা যেসব সমস্যায় বেশি ভোগেন, তা হলো—মেরুদণ্ডের নিচের দিকে ব্যথা, বিষণ্নতা, মাথাব্যথা, উদ্বেগ, হাড় ও পেশির সমস্যা, স্মৃতিভ্রম, এইচআইভি। তবে গবেষণা বলছে, এসব কারণে নারীরা অসুস্থতা ও অক্ষমতায় ভুগলেও এতে তাদের অকাল মৃত্যু হয় না।


দক্ষিণ কোরিয়ার নারীরা  নানা কারণে সন্তান জন্ম দিতে চান না
দক্ষিণ কোরিয়ার নারীরা নানা কারণে সন্তান জন্ম দিতে চান নাছবি: এএফপি

বৃষ্টিস্নাত কোনো এক মঙ্গলবার ইয়েজিন তাঁর অ্যাপার্টমেন্টে বন্ধুদের জন্য দুপুরের খাবার তৈরি করছিলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের উপকণ্ঠে এ বাড়িতে একাই থাকেন ‘সুখি’ মানুষটি।

বন্ধুরা মিলে যখন খাওয়া–দাওয়া শুরু করেন, তখন তাঁদের একজন কার্টুন ডায়নোসরের একটি সুপরিচিত মিম মুঠোফোনে বের করে দেখান। সেখানে ডায়নোসরটি বলছিল, ‘‘‘সাবধান’’। আমাদের মতো তোমরা নিজেদের বিলুপ্ত করে ফেল না।’

মিমটি দেখে হেসে দিলেন উপস্থিত সব নারীরা।

বিশ্বে সবচেয়ে কম জন্মহারের দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। এ পতন চলছেই। এ ক্ষেত্রে বছরের পর বছর নিজের রেকর্ড পেছনে ফেলছে দেশটি। জন্মহারের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে ২১০০ সাল নাগাদ দেশটির জনসংখ্যা আনুমানিক অর্ধেকে নেমে আসবে।

ইয়েজিন ৩০ বছর বয়সী একজন টেলিভিশন প্রযোজক। মিমটির বিষয়ে তিনি বলছিলেন, ‘এটি মজার, কিন্তু অন্ধকারও। কেননা, আমরা জানি, আমরা নিজেরাই নিজেদের বিলুপ্তির কারণ হয়ে উঠতে পারি।’    

ইয়েজিন বা তাঁর বন্ধুদের কারও সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা নেই। দক্ষিণ কোরিয়ায় যেসব নারী সন্তানবিহীন জীবন বেছে নিচ্ছেন, ইয়েজিন ও তাঁর বন্ধুরা ক্রমবর্ধমান সেই সমাজের অংশ।

বিশ্বে সবচেয়ে কম জন্মহারের দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। এ পতন চলছেই। এ ক্ষেত্রে বছরের পর বছর নিজের রেকর্ড পেছনে ফেলছে দেশটি।  

গত বুধবার প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় গত বছর জন্মহার আরও ৮ শতাংশ কমে শূন্য দশমিক ৭২ এ দাঁড়িয়েছে।

একজন নারী তাঁর জীবনে কত সংখ্যক সন্তান নিতে চান, জন্মহার সেই বিষয়টি নির্দেশ করে। কোনো দেশের জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখতে এ হার ২ দশমিক ১ হওয়া উচিৎ।

দক্ষিণ কোরিয়ায় জন্মহারের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে ২১০০ সাল নাগাদ দেশটির জনসংখ্যা আনুমানিক অর্ধেকে নেমে আসবে।

‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’

বিশ্বজুড়ে উন্নত দেশগুলোতে জন্মহারের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তবে কোনো দেশের অবস্থা দক্ষিণ কোরিয়ার মতো নয়। দেশটির ভবিষ্যৎ অনুমিত পরিস্থিতি ভয়ানক।

আগামী ৫০ বছরে দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা অর্ধেকে নেমে আসবে, সামরিক বাহিনীতে বাধ্যতামূলকভাবে অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য জনগোষ্ঠী ৫৮ শতাংশ সংকুচিত হবে এবং জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক মানুষের বয়স হবে ৬৫ বছরের বেশি।

এটি দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতি, পেনশনগ্রহীতা ও দেশের নিরাপত্তা নিয়ে এতটাই খারাপ পূর্বাভাস দেয় যে, রাজনীতিবিদেরা এ অবস্থাকে ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ বলে ঘোষণা করেছেন।


এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যেসব দম্পতির সন্তান রয়েছে, তাদের মাসে মাসে ভর্তুকি মূল্যে আবাসন ও বিনা মূল্যে ট্যাক্সিতে যাতায়াতের সুবিধা থেকে শুরু করে নগদ অর্থ পর্যন্ত দেওয়া হয়ে থাকে। শুধু বিবাহিতদের জন্য হলেও দেওয়া হয় হাসপাতালের বিল পরিশোধসহ অন্যান্য চিকিৎসা সুবিধা।

কিন্তু এমন আর্থিক সুবিধা দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলোতে জন্মহার বৃদ্ধিতে কাজে আসছে না। এ অবস্থায়  রাজনীতিবিদেরা ‘জরুরি অবস্থা’ মোকাবিলায় আরও ‘সৃজনশীল’ সমাধানের পথ খুঁজছেন। যেমন: দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো থেকে নার্সদের ধার করা, তাঁদের ন্যূনতম মজুরির চেয়েও কম অর্থ পরিশোধ করা এবং ৩০ বছর বয়সের আগে তিন সন্তানের বাবা হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া।  

কোরিয়ায় মনের মতো মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। যে গৃহস্থালির কাজ করবে ও সমানভাবে সন্তানের যত্নও নেবে।
ইয়েজিন, দক্ষিণ কোরিয়ার নারী

সমস্যা সমাধানে নীতি নির্ধারকেরা এত সব পথ খুঁজলেও তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা তরুণ জনগোষ্ঠী বিশেষত নারীদের চাহিদার বিষয়ে শুনছেন না। তাই গত বছর দক্ষিণ কোরিয়া ঘুরে বিবিসির সাংবাদিক নারীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সন্তান গ্রহণ না করার সিদ্ধান্তের কারণ জানার চেষ্টা করেছেন।

ইয়েজিন তাঁর বয়স যখন কুড়ির কোঠায় তখনই একা থাকার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার সামাজিক রীতিনীতি উপেক্ষা করা শুরু করেন। সেখানে একা থাকার বিষয়টিকে কারও জীবনের প্রাথমিক পর্যায়ের একটি সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।

এরপর, পাঁচ বছর আগে ইয়েজিন বিয়ে না করার ও সন্তান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বলেন, ‘কোরিয়ায় মনের মতো মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। যে গৃহস্থালির কাজ করবে ও সমানভাবে সন্তানের যত্নও নেবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আর যে নারীদের শুধু সন্তানই আছে (উপার্জনমূলক কাজে যুক্ত নন) তাঁদের প্রতি সদয় আচরণ করা হয় না।’

‘কাজের বিরতিহীন চক্রে বাঁধা জীবন’

বিয়ে, সন্তানগ্রহণ—এসবের চেয়ে টেলিভিশন চ্যানেলে পেশাজীবন গড়াতেই মনোযোগ দিয়েছেন ইয়েজিন। তাঁর যুক্তি, চাকরি করতে গিয়ে তাঁর হাতে এমন সময় নেই যে, তিনি সন্তান নেবেন বা সন্তান লালন–পালনের কাজ করবেন।

ইয়েজিন তাঁর অফিসে ৯টা–৬টা কাজ করেন। তবে বলেন, সাধারণত রাত ৮টার আগে বের হতে পারেন না। এর বাইরে আছে অতিরিক্ত সময়ের কাজ। যখন বাড়িতে ফেরেন, তখন ঘরদোর পরিষ্কার ও ঘুমানোর আগে কিছু শরীরচর্চা করার সময় পান।

‘আমি আমার কাজকে পছন্দ করি। এটি আমাকে দারুণ পূর্ণতা এনে দেয়। তবে কোরিয়ায় কাজ করাটা কঠিন। আপনি কাজের এক বিরতিহীন চক্রে বাঁধা পড়বেন’, বলেন ইয়েজিন।


যেভাবে ভারতে শাড়ি থেকে দ্রুত ছড়াচ্ছে ক্যান্সা*র! - YouTube

[২] শাড়ি ক্যান্সার শুধুমাত্র ভারতে দেখা যায়, কারণ ভারতে নারীরা সবচেয়ে বেশি শাড়ি পরেন। শুধু শাড়ি নয়, আরও অনেক ধরনের জামাকাপড় আছে যা ভুলভাবে পরলে ক্যান্সার হতে পারে, ডাক্তারি ভাষায় একে বলে স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা।

[৩] দিল্লির পিএসআরআই হাসপাতালের ক্যান্সার সার্জন ডাঃ বিবেক গুপ্তা বলেছেন, গবেষণায় বিষয়টি উঠে এসেছে যে, দীর্ঘ সময় ধরে পেটিকোটের দড়ি বাঁধা থাকে বলে ওই অংশে কালশিটে পড়ে যায় কারও কারও। দীর্ঘ দিন ধরে এমনটা হতে থাকলে ঘা পর্যন্ত হতে পারে আর সেখান থেকেই এই ক্যনসারের সূত্রপাত হয়।

[৪] গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় নারীদের মধ্যে পাওয়া মোট ক্যান্সারের মধ্যে ১ শতাংশ ক্ষেত্রেই শাড়ির ক্যান্সার। মুম্বাইয়ের আরএন কুপার হাসপাতালেও এ নিয়ে গবেষণা হয়েছে। শাড়ি ছাড়াও ধুতিও ছিল এই গবেষণায়। এই শাড়ি ক্যান্সারের নামটি মুম্বই হাসপাতালের ডাক্তাররা দিয়েছিলেন যখন এরকম কেস প্রথম সেখানে দেখা যায়। সেসময় এই ধরণের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন ৬৮ বছর বয়সী এক নারী, যিনি ১৩ বছর বয়স থেকে শাড়ি পরেছিলেন।

Advertisement: 1:58

[৫] গবেষণা থেকে বলা হচ্ছে, যদি কাপড় থেকে ত্বকে দাগ সৃষ্টি করে তাহলে তা পরা এড়িয়ে চলতে হবে। যদি ত্বক কোনও পোশাক পরার কারণে লাল হয়ে যায় তবে এটি পরা যাবে না। যদি শ্বাসকষ্ট হতে শুরু করে এবং ত্বক ঘষা খেতে শুরু করে তাহলে, এই ধরনের পোশাক পরা এড়িয়ে চলতে হবে।


[random][fbig2][#e74c3c]
Powered by Blogger.