Showing posts with label বিশ্ব. Show all posts

Image not found

ছবি: সংগৃহীত  

সাগর থেকে মাছ ধরে ফেরার পথে মিয়ানমারের নৌ বাহিনীর ছোঁড়া গুলিতে কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের ২ জেলে আহত হয়েছেন। আহতদের একজনকে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হলেও অপরজনকে গুরুতর অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বঙ্গোপসাগর ও নাফনদীর মোহনাস্থ নাইকংদিয়া এলাকায় এই গুলি বষর্ণের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি।

আহত জেলেরা হলেন, টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপের উত্তর পাড়ার আলী আহমদের ছেলে মোহাম্মদ ইসমাইল (২০) ও দক্ষিণ পাড়ার সিদ্দিক আহমদের ছেলে মোহাম্মদ ফারুক (২৫)।

টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি জানিয়েছেন, এফবি মায়ের দোয়া নামের একটি ফিশিং ট্রলার সাগর থেকে মাছ ধরে কূলে ফেরার সময় মিয়ানমারের একটি জাহাজ থেকে ছোঁড়া গুলিতে ২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের প্রথমে টেকনাফ হাসপাতালে আনা হলে একজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

টেকনাফ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রনয় রুদ্র জানান, আহতদের মধ্যে ইসমাইল সামান্য আহত। তাকে টেকনাফে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। অপরজন ফারুকের ৩টি গুলি লেগেছে। হাত ও পায়ে লাগা গুলিতে গুরুতর হওয়ায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হচ্ছে।

ট্রলারের মাঝি মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, সেন্ট মার্টিন সংলগ্ন সাগরে মাছ ধরা শেষে শাহপরীর দ্বীপ ঘাটে ফিরছিলাম। এসময় নাইক্ষ্যংদিয়া সংলগ্ন অংশে মিয়ানমার নৌবাহিনীর একটি জাহাজ আমাদের অতিক্রম করছিল। ওই জাহাজ থেকে হঠাৎ আমাদের ট্রলার লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে আমাদের দুইজন জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

মাঝি ইউসুফ আরও বলেন, ‘আমরা নাফনদের বাংলাদেশের জলসীমায় ছিলাম এবং হাত উঁচু করে, বাংলাদেশী পতাকা দেখিয়ে তাদের গুলি না করতে ইশারা করছিলাম। এরপরও তারা মানেনি।’

টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. সুরাইয়া ইয়াছমিন জানান, আহতদের মধ্যে ইসমাইল সামান্য আহত। তাকে টেকনাফে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। অপর জন ফারুকের ৩টি গুলি লেগেছে। হাত ও পায়ে লাগা গুলিতে গুরুতর হওয়ায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হচ্ছে।

[img featured="1" src="https://dainikamadershomoy.com/_cdn/images/large/2024/04/06/news_1712404588647.webp"/]
[img featured="1" src="https://dainikamadershomoy.com/_cdn/images/large/2024/04/21/news_1713689259288.webp"/]
[img featured="1" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEglBfrxpHD-D0expKFN6N_BsMrfqLP-u2Nh_kMCepmf2uweTyFRJRabODdVyjvfVVLFP87zJ1ho-vMaSVv-qLuznr2TQnvgSUTCgsr_kIyfxibgGBzQRUXcRynMzpb2YANDntwBzlaOFUP-/s1600-rw/google-glass-700x357.jpg"/]

ছয়জন প্রার্থী বাম থেকে খগেন মুর্মু, মহম্মদ সেলিম, ঈশা খান চৌধুরী, খলিলুর রহমান, আবু তাহের ও শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী
ছয়জন প্রার্থী বাম থেকে খগেন মুর্মু, মহম্মদ সেলিম, ঈশা খান চৌধুরী, খলিলুর রহমান, আবু তাহের ও শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী
ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

তৃতীয় দফা লোকসভা নির্বাচন হবে ৭ মে। প্রথম দুটি পর্বে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল দ্বিমুখী। আর এবার হচ্ছে ত্রিমুখী লড়াই।

তৃতীয় পর্বে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে ৪টিতে নির্বাচন হবে। এই চার আসনকে কংগ্রেসের ঘাঁটি হিসেবে ধরা হয়। তবে এখন এসব আসনে কংগ্রেসের প্রভাব অনেকটা কমে এসেছে। কংগ্রেসের ঘাঁটিতে লড়াই হচ্ছে ত্রিমুখী। প্রার্থী চার দল ও অন্যান্য দল এবং স্বতন্ত্র মিলিয়ে ৫৭ জন। লড়াই হবে তিন দল ও জোটের। একদিকে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি, অন্যদিকে কংগ্রেস-বাম দলের জোট।

লড়াইয়ের ক্ষেত্র তিনটি হলো উত্তর মালদা, দক্ষিণ মালদা, মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর আসন। এ চার আসনের এলাকা মূলত একসময়ের কংগ্রেস–প্রভাবিত। মালদহের কংগ্রেস নেতা গণি খান চৌধুরী ছিলেন এখানকার এক নামী নেতা ও কিংবদন্তি। রেলমন্ত্রী থাকাকালে তিনিই কলকাতায় এনেছিলেন পাতালরেল। দিয়েছিলেন বহু বেকারের চাকরি।

অন্যদিকে আরেকটি ইতিহাসখ্যাত আসন হলো মুর্শিদাবাদ। বাংলার এককালের রাজধানী। নবাব সিরাজের স্মৃতিবাহী। সেই আসনেও এবার লড়াই জোরদার হবে। তৃণমূল বিজেপি ছাড়া এ আসনে এবার লড়ছেন সিপিএম নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য ও সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি লড়ছেন কংগ্রেস-বাম দলের জোটের প্রার্থী হয়ে।

এই কংগ্রেস গড়ের উত্তর মালদা আসনে এবার লড়ছেন তৃণমূলের প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নবাগত। সাবেক আইপিএস পুলিশ কর্মকর্তা। কংগ্রেসের হয়ে লড়ছেন মোস্তাক আলম, আর বিজেপির প্রার্থী হয়ে লড়ছেন বিদায়ী সংসদ সদস্য খগেন মুর্মু।
দক্ষিণ মালদায় লড়ছেন তৃণমূলের শাহনেওয়াজ আলী রায়হান, কংগ্রেসের ঈশা খান চৌধুরী। গণি খান চৌধুরীর বংশধর ঈশা খান। এই আসনের বিদায়ী সংসদ সদস্য হলেন ঈশা খানের বাবা আবু হাসেম খান চৌধুরী। বিজেপির প্রার্থী হয়ে লড়ছেন শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী।

মুর্শিদাবাদে লড়ছেন তৃণমূলের আবু তাহের খান, বিজেপির গৌরী শঙ্কর ঘোষ এবং সিপিএমের মহম্মদ সেলিম। সেলিম লড়ছেন কংগ্রেস-বাম দলের জোট প্রার্থী হিসেবে। আর জঙ্গিপুর আসনে লড়ছেন তৃণমূলের বিদায়ী সংসদ সদস্য খলিলুর রহমান, বিজেপির ধনঞ্জয় ঘোষ আর কংগ্রেসের মুর্তজা হোসেন। ফলে এই চার আসনে লড়াই হচ্ছে মূলত ত্রিমুখী। তৃণমূল, বিজেপি ও কংগ্রেস-বাম জোট প্রার্থীদের মধ্যে। গত নির্বাচনে এই চার আসনের মধ্যে দুই আসনে জিতেছিল তৃণমূল, একটি করে আসনে জিতেছিল কংগ্রেস ও বিজেপি।

২০১৯ সালের নির্বাচনে এই চার আসনে জিতেছিলেন যথাক্রমে মালদহ উত্তর আসনে বিজেপির খগেন মুর্মু। পেয়েছিলেন ৫ লাখ ৯ হাজার ৫২৪ ভোট। হারিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মৌসম বেনজীর নূরকে। দক্ষিণ মালদহ আসনে জিতেছিলেন কংগ্রেসের আবু হাসেম খান চৌধুরী। পেয়েছিলেন ৪ লাখ ৪৪ হাজার ২৭০ ভোট। হারিয়ে দিয়েছিলেন বিজেপির প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীকে। মুর্শিদাবাদ আসনে জিতেছিলেন তৃণমূলের আবু তাহের খান। পেয়েছিলেন ৬ লাখ ৪ হাজার ৩৪৬ ভোট। পরাজিত করেছিলেন কংগ্রেসের আবু হেনাকে। আর জঙ্গিপুর আসনে জিতেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান। পেয়েছিলেন ৫ লাখ ৬২ হাজার ৮৩৮ ভোট। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিজেপির নারী প্রার্থী মাহফুজা খাতুন ।

এবার এই চার আসনে মূলত লড়াই হবে ত্রিমুখী। তৃণমূল, বিজেপি এবং কংগ্রেস-বাম জোট প্রার্থীদের মধ্যে। তবে এবার মুর্শিদাবাদ আসনে কংগ্রেস-বাম জোটের প্রার্থী মহম্মদ সেলিম জোর লড়াইয়ে থাকছেন। যদিও এই ৪ আসনের ওপর এবিপি আনন্দ ও সি-ভোটার সাম্প্রতিক এক জনমত সমীক্ষায় বলেছে, মালদহ উত্তরে খগেন মুর্মু, মালদহ দক্ষিণে ঈশা খান চৌধুরী, মুর্শিদাবাদে আবু তাহের এবং জঙ্গিপুরে খলিলুর রহমানের জয়ের সম্ভাবনা। অর্থাৎ ২০১৯ সালের ফলাফলই পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলে ওই সমীক্ষায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার নারীরা  নানা কারণে সন্তান জন্ম দিতে চান না
দক্ষিণ কোরিয়ার নারীরা নানা কারণে সন্তান জন্ম দিতে চান নাছবি: এএফপি

বৃষ্টিস্নাত কোনো এক মঙ্গলবার ইয়েজিন তাঁর অ্যাপার্টমেন্টে বন্ধুদের জন্য দুপুরের খাবার তৈরি করছিলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের উপকণ্ঠে এ বাড়িতে একাই থাকেন ‘সুখি’ মানুষটি।

বন্ধুরা মিলে যখন খাওয়া–দাওয়া শুরু করেন, তখন তাঁদের একজন কার্টুন ডায়নোসরের একটি সুপরিচিত মিম মুঠোফোনে বের করে দেখান। সেখানে ডায়নোসরটি বলছিল, ‘‘‘সাবধান’’। আমাদের মতো তোমরা নিজেদের বিলুপ্ত করে ফেল না।’

মিমটি দেখে হেসে দিলেন উপস্থিত সব নারীরা।

বিশ্বে সবচেয়ে কম জন্মহারের দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। এ পতন চলছেই। এ ক্ষেত্রে বছরের পর বছর নিজের রেকর্ড পেছনে ফেলছে দেশটি। জন্মহারের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে ২১০০ সাল নাগাদ দেশটির জনসংখ্যা আনুমানিক অর্ধেকে নেমে আসবে।

ইয়েজিন ৩০ বছর বয়সী একজন টেলিভিশন প্রযোজক। মিমটির বিষয়ে তিনি বলছিলেন, ‘এটি মজার, কিন্তু অন্ধকারও। কেননা, আমরা জানি, আমরা নিজেরাই নিজেদের বিলুপ্তির কারণ হয়ে উঠতে পারি।’    

ইয়েজিন বা তাঁর বন্ধুদের কারও সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা নেই। দক্ষিণ কোরিয়ায় যেসব নারী সন্তানবিহীন জীবন বেছে নিচ্ছেন, ইয়েজিন ও তাঁর বন্ধুরা ক্রমবর্ধমান সেই সমাজের অংশ।

বিশ্বে সবচেয়ে কম জন্মহারের দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। এ পতন চলছেই। এ ক্ষেত্রে বছরের পর বছর নিজের রেকর্ড পেছনে ফেলছে দেশটি।  

গত বুধবার প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় গত বছর জন্মহার আরও ৮ শতাংশ কমে শূন্য দশমিক ৭২ এ দাঁড়িয়েছে।

একজন নারী তাঁর জীবনে কত সংখ্যক সন্তান নিতে চান, জন্মহার সেই বিষয়টি নির্দেশ করে। কোনো দেশের জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখতে এ হার ২ দশমিক ১ হওয়া উচিৎ।

দক্ষিণ কোরিয়ায় জন্মহারের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে ২১০০ সাল নাগাদ দেশটির জনসংখ্যা আনুমানিক অর্ধেকে নেমে আসবে।

‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’

বিশ্বজুড়ে উন্নত দেশগুলোতে জন্মহারের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তবে কোনো দেশের অবস্থা দক্ষিণ কোরিয়ার মতো নয়। দেশটির ভবিষ্যৎ অনুমিত পরিস্থিতি ভয়ানক।

আগামী ৫০ বছরে দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা অর্ধেকে নেমে আসবে, সামরিক বাহিনীতে বাধ্যতামূলকভাবে অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য জনগোষ্ঠী ৫৮ শতাংশ সংকুচিত হবে এবং জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক মানুষের বয়স হবে ৬৫ বছরের বেশি।

এটি দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতি, পেনশনগ্রহীতা ও দেশের নিরাপত্তা নিয়ে এতটাই খারাপ পূর্বাভাস দেয় যে, রাজনীতিবিদেরা এ অবস্থাকে ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ বলে ঘোষণা করেছেন।


এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যেসব দম্পতির সন্তান রয়েছে, তাদের মাসে মাসে ভর্তুকি মূল্যে আবাসন ও বিনা মূল্যে ট্যাক্সিতে যাতায়াতের সুবিধা থেকে শুরু করে নগদ অর্থ পর্যন্ত দেওয়া হয়ে থাকে। শুধু বিবাহিতদের জন্য হলেও দেওয়া হয় হাসপাতালের বিল পরিশোধসহ অন্যান্য চিকিৎসা সুবিধা।

কিন্তু এমন আর্থিক সুবিধা দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলোতে জন্মহার বৃদ্ধিতে কাজে আসছে না। এ অবস্থায়  রাজনীতিবিদেরা ‘জরুরি অবস্থা’ মোকাবিলায় আরও ‘সৃজনশীল’ সমাধানের পথ খুঁজছেন। যেমন: দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো থেকে নার্সদের ধার করা, তাঁদের ন্যূনতম মজুরির চেয়েও কম অর্থ পরিশোধ করা এবং ৩০ বছর বয়সের আগে তিন সন্তানের বাবা হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া।  

কোরিয়ায় মনের মতো মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। যে গৃহস্থালির কাজ করবে ও সমানভাবে সন্তানের যত্নও নেবে।
ইয়েজিন, দক্ষিণ কোরিয়ার নারী

সমস্যা সমাধানে নীতি নির্ধারকেরা এত সব পথ খুঁজলেও তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা তরুণ জনগোষ্ঠী বিশেষত নারীদের চাহিদার বিষয়ে শুনছেন না। তাই গত বছর দক্ষিণ কোরিয়া ঘুরে বিবিসির সাংবাদিক নারীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সন্তান গ্রহণ না করার সিদ্ধান্তের কারণ জানার চেষ্টা করেছেন।

ইয়েজিন তাঁর বয়স যখন কুড়ির কোঠায় তখনই একা থাকার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার সামাজিক রীতিনীতি উপেক্ষা করা শুরু করেন। সেখানে একা থাকার বিষয়টিকে কারও জীবনের প্রাথমিক পর্যায়ের একটি সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।

এরপর, পাঁচ বছর আগে ইয়েজিন বিয়ে না করার ও সন্তান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বলেন, ‘কোরিয়ায় মনের মতো মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। যে গৃহস্থালির কাজ করবে ও সমানভাবে সন্তানের যত্নও নেবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আর যে নারীদের শুধু সন্তানই আছে (উপার্জনমূলক কাজে যুক্ত নন) তাঁদের প্রতি সদয় আচরণ করা হয় না।’

‘কাজের বিরতিহীন চক্রে বাঁধা জীবন’

বিয়ে, সন্তানগ্রহণ—এসবের চেয়ে টেলিভিশন চ্যানেলে পেশাজীবন গড়াতেই মনোযোগ দিয়েছেন ইয়েজিন। তাঁর যুক্তি, চাকরি করতে গিয়ে তাঁর হাতে এমন সময় নেই যে, তিনি সন্তান নেবেন বা সন্তান লালন–পালনের কাজ করবেন।

ইয়েজিন তাঁর অফিসে ৯টা–৬টা কাজ করেন। তবে বলেন, সাধারণত রাত ৮টার আগে বের হতে পারেন না। এর বাইরে আছে অতিরিক্ত সময়ের কাজ। যখন বাড়িতে ফেরেন, তখন ঘরদোর পরিষ্কার ও ঘুমানোর আগে কিছু শরীরচর্চা করার সময় পান।

‘আমি আমার কাজকে পছন্দ করি। এটি আমাকে দারুণ পূর্ণতা এনে দেয়। তবে কোরিয়ায় কাজ করাটা কঠিন। আপনি কাজের এক বিরতিহীন চক্রে বাঁধা পড়বেন’, বলেন ইয়েজিন।


যেভাবে ভারতে শাড়ি থেকে দ্রুত ছড়াচ্ছে ক্যান্সা*র! - YouTube

[২] শাড়ি ক্যান্সার শুধুমাত্র ভারতে দেখা যায়, কারণ ভারতে নারীরা সবচেয়ে বেশি শাড়ি পরেন। শুধু শাড়ি নয়, আরও অনেক ধরনের জামাকাপড় আছে যা ভুলভাবে পরলে ক্যান্সার হতে পারে, ডাক্তারি ভাষায় একে বলে স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা।

[৩] দিল্লির পিএসআরআই হাসপাতালের ক্যান্সার সার্জন ডাঃ বিবেক গুপ্তা বলেছেন, গবেষণায় বিষয়টি উঠে এসেছে যে, দীর্ঘ সময় ধরে পেটিকোটের দড়ি বাঁধা থাকে বলে ওই অংশে কালশিটে পড়ে যায় কারও কারও। দীর্ঘ দিন ধরে এমনটা হতে থাকলে ঘা পর্যন্ত হতে পারে আর সেখান থেকেই এই ক্যনসারের সূত্রপাত হয়।

[৪] গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় নারীদের মধ্যে পাওয়া মোট ক্যান্সারের মধ্যে ১ শতাংশ ক্ষেত্রেই শাড়ির ক্যান্সার। মুম্বাইয়ের আরএন কুপার হাসপাতালেও এ নিয়ে গবেষণা হয়েছে। শাড়ি ছাড়াও ধুতিও ছিল এই গবেষণায়। এই শাড়ি ক্যান্সারের নামটি মুম্বই হাসপাতালের ডাক্তাররা দিয়েছিলেন যখন এরকম কেস প্রথম সেখানে দেখা যায়। সেসময় এই ধরণের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন ৬৮ বছর বয়সী এক নারী, যিনি ১৩ বছর বয়স থেকে শাড়ি পরেছিলেন।

Advertisement: 1:58

[৫] গবেষণা থেকে বলা হচ্ছে, যদি কাপড় থেকে ত্বকে দাগ সৃষ্টি করে তাহলে তা পরা এড়িয়ে চলতে হবে। যদি ত্বক কোনও পোশাক পরার কারণে লাল হয়ে যায় তবে এটি পরা যাবে না। যদি শ্বাসকষ্ট হতে শুরু করে এবং ত্বক ঘষা খেতে শুরু করে তাহলে, এই ধরনের পোশাক পরা এড়িয়ে চলতে হবে।


Kendua.com

পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুতে যাত্রীবাহী একটি বাস ৬৫০ ফুট গভীর খাদে পড়ে গেছে। এতে অন্তত ২৫ জন নিহত এবং ২১ জন আহত হয়েছেন।

গত রোববার গভীর রাতে কাজামার্কার আন্দিয়ান অঞ্চলে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর বাসটি প্রায় ২০০ মিটার (প্রায় ৬৫০ ফুট) গভীরে পড়ে যায় বলে স্থানীয় কর্মকর্তা ওলগা বোবাডিলা আরপিপি রেডিওকে জানিয়েছেন।

 

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেরুর উত্তরাঞ্চলে পাহাড়ি রাস্তা থেকে একটি বাস খাদে পড়ে যাওয়ার পর ২৫ জন নিহত হন। আহত হন অন্তত ২১ জন।

এএফপি বলছে, পেরুতে বাস দুর্ঘটনা খুবই সাধারণ বিষয়। বিশেষ করে রাতে এবং পাহাড়ের হাইওয়েতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এছাড়া দ্রুত গতি, রাস্তার খারাপ অবস্থা, রোড সাইনের অভাব এবং ট্রাফিক নিয়ম-কানুনের দুর্বল প্রয়োগের কারণে পেরুর রাস্তায় প্রায়ই এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।

[random][fbig2][#e74c3c]
Powered by Blogger.