Showing posts with label অপরাধ. Show all posts

Sakib May 06, 2024
কেন্দুয়ায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

প্রাইম ডিজিটাল ইনস্টিটিউটে (বিএম কলেজ)। ছবি: সংগৃহিত

 

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার রামপুর বাজার সংলগ্ন প্রাইম ডিজিটাল ইনস্টিটিউটে (বিএম কলেজ) আয়াপদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মুছলেহার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী স্থানীয় রামনগর গ্রামের আব্দুল মজিদের স্ত্রী আয়শা খাতুন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগের বরাতে জানা গেছে, ২০১৪ সালে আয়শা খাতুনকে আয়াপদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে কাজে যোগদান করান প্রাইম ডিজিটাল ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মুছলেহা। একপর্যায়ে নিয়োগ সম্পন্ন করার কথা বলে অধ্যক্ষ  আয়শা খাতুনের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি নেন এবং এক লাখ টাকা দাবি করেন। পরে তিনি ধারদেনা করে অধ্যক্ষকে ৬০ হাজার টাকা দেন এবং বাকী টাকা কিছু দিন পরে দিবেন বললে অধ্যক্ষ তা মেনে নেন।

এদিকে গত ৬ মাস আগে হঠাৎ করে আয়শা খাতুনকে কাজে না আসার জন্য নিষেধ করেন অধ্যক্ষ মুছলেহা। নিষেধ করার কারণ জানতে চাইলে অধ্যক্ষ আয়শা খাতুনকে বলেন, বয়স বেশি হয়ে গেছে। তাই আয়াপদে নিয়োগ হবে না। এ সময় অধ্যক্ষ মুছলেহা তাকে দুশ্চিন্তা করতে নিষেধ করেন এবং তার ভবিষ্যত গড়ে দিবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু সম্প্রতি আয়শা খাতুন অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ দুর দুর করে তাড়িয়ে দেন।

আয়শা খাতুন বলেন, আমার কোনো সন্তানাদি নাই। স্বামী আরেক বিয়ে করে সংসার করছে। আমি বর্তমানে খুবই একা ও অসহায়। চাকরি পাওয়ার আশায় ৯ বছর বিনা বেতনে কাজ করেছি। ধারদেনা করে ৬০ হাজার টাকাও দিয়েছি। এখন তারা আমাকে হঠাৎ কলেজ থেকে বের করে দিয়েছে। অনেক টাকার বিনিময়ে আমার পরিবর্তে আরেকজনকে নিয়েও নিয়েছে। আমার সাথে অধ্যক্ষ মুছলেহা প্রতারণা করেছে। তাই আমি গত ২৭ মার্চ ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। ৯ বছর বিনা বেতনে কাজ করার ক্ষতিপূরণসহ আমি আমার ৬০ হাজার টাকা ফেরত চাই।

স্থানীয় বাসিন্দা শামছুল আলম তমাল ও আজিবুর রহমান বলেন, আমরা জানি আয়শা খাতুন দীর্ঘ বছর যাবত প্রাইম ডিজিটাল ইনস্টিটিউটে আয়াপদে চাকরি করেন। কিন্তু এখন শুনছি তাকে নাকি চাকরি না দিয়ে কলেজ থেকে বের করে দিয়েছে। বিষয়টা ঠিক হয়নি। এটা খুবই অমানবিক।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যক্ষ মুছলেহা বলেন, আয়শা খাতুনের কাছ থেকে কোনো টাকা নেইনি এবং তার বয়স বেশি হওয়ায় আয়াপদে নিয়োগ হবে না- এটা আমি তাকে শুরুতেই বলেছি। তাকে যতদিন কাজ করিয়েছি, বিনিময়ে টাকাও দিয়েছি। তবুও তিনি আমার বিরুদ্ধে অহেতুক মিথ্যা অভিযোগ করছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে আমি নিজেই তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

Sakib May 06, 2024
কেন্দুয়ায় ১৪শ হাঁসের বাচ্চা মারল দুর্বৃত্তরা, Kendua.com

কেন্দুয়ায় ১৪শ হাঁসের বাচ্চা মারল দুর্বৃত্তরা

 

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় রাতের আঁধারে বকুল মিয়া নামে এক খামারির ১৪০০ হাঁসের বাচ্চা মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালের দিকে উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের বাড়লা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

খামারী বকুল মিয়া বলেন, আমি রাতে হাঁসের সব বাচ্চাগুলোকে সুস্থ দেখে এসেছি। সকালে খামারে গিয়ে দেখি কে বা কারা আমার ১৪০০ হাঁসের বাচ্চা মেরে ফেলেছে।

তিনি বলেন, আমার সাথে কারো কোন শত্রুতা নেই। কিন্তু কারা এই কাজটি করল বুঝতে পারছি না। এতে আমার অনেক বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গেল। এখন আমার সংসার চালানো অনেক কঠিন হয়ে পরবে। আমি এব্যাপারে থানায় অভিযোগ দাখিল করব।

পাইকুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইসলাম উদ্দিন বলেন, এমন ঘটনা খুবই দু:খজনক। আমি চাই যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের উপযুক্ত বিচার হোক।

কেন্দুয়া থানার পেমই তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক সাদ্দাম হোসেন জানান, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী খামারী থানায় এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Sakib May 06, 2024
মদনে মাছ ধরা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত-১, আহত-৪

মদনে মাছ ধরা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত-১, আহত-৪

 

নেত্রকোণা জেলার মদন উপজেলা ফতেপুর ইউনিয়নের ফতেপুর পশ্চিম পাড়া গ্রামের যাত্রাখালী খালের ডোবায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে সবুজ (১০) নামের এক শিশু নিহত এবং আরো ৪ জন আহত হয়েছে। 

ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে নেত্রকোণা জেলার মদন উপজেলা ফতেপুর ইউনিয়নের ফতেপুর পশ্চিম পাড়া গ্রামের যাত্রাখালী খালের পাড়ে।

নিহত সবুজের দাদা ইব্রাহিম মুন্সী বলেন, যাত্রাখালী খালের পাশে আমাদের পারিবারিক একটি ডোবা গত বছর একই গ্রামের হিরন এর কাছে এক বছরের জন্য লিজ দিয়েছিলাম। 

গত কার্তিক মাসে এই সময় সীমা শেষ হয়ে যায়। হিরণ ও তার লোকজন শুক্রবার দুপুরে আমাদের ডোবা সেচে মাছ ধরা শুরু করে। আমরা বাঁধা দিতে গেলে হিরনের লোকজন আমাদের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। 

প্রতিপক্ষের হামলায় আমার নাতি সবুজ ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। নিহত সবুজ ফতেপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের আশেক মিয়ার ছেলে। হামলায় আরো চার জন আহত হয়। আহতরা হলেন, আশেক ( ৪০), হেকিম (৪৫), সোলেমান (২০) ও হৃদয় ( ৩০)।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ঘটনার সাথে জড়িত মল্লিক (৫০), আনচু মিয়া (৬০), চাঁন মিয়া (৪৫)সহ পাঁচ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। 

এ ব্যাপারে মদন থানার অফিসার ইনচার্জ উজ্জ্বল কান্তি সরকারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিপক্ষের হামলায় শিশু নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে তিন জনকে আটক করা হয়েছে। 

শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ঢাকা, ২৯ এপ্রিল
পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ঢাকা, ২৯ এপ্রিলছবি: সংগৃহীত

গুজব ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার সকালে পুলিশ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলাম এই নির্দেশনা দেন।

অতিরিক্ত আইজিপি মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, এই ধরনের কোনো গুজব ছড়ালে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ছাড়া গুজব প্রতিরোধে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ি কোনো অবস্থাতেই চলতে দেওয়া যাবে না। তিনি ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেন।

অপরাধ পর্যালোচনা সভায় হারানো মুঠোফোন উদ্ধারে তৎপরতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন অতিরিক্ত আইজিপি। তিনি বলেন, পুরোনো ফোন কেনাবেচার জায়গায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে হবে।

সভায় ডাকাতির মামলা গুরুত্বসহ তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিচার নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়। এ ছাড়া পুলিশ হত্যা মামলার তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন এবং প্রসিকিউশন কার্যক্রম মনিটর (তদারকি) করার জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এই সভায় সব মহানগর পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপার অনলাইনে অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

গ্রেপ্তারের পর রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে মিল্টন সমাদ্দার
গ্রেপ্তারের পর রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে মিল্টন সমাদ্দারছবি: সংগৃহীত

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ নামে একটি আশ্রয়কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো ‘ভয়ংকর’ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন–অর–রশীদ। ডিবি পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, সেগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা হবে। যদি তিনি এগুলো করে থাকেন, তবে ভয়ংকর অপরাধ করেছেন। প্রমাণ পাওয়া গেলে তাঁকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে আজ বুধবার রাতে ঢাকার মিরপুর থেকে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে ডিবি। পরে রাতেই ঢাকার মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন অতিরিক্ত কমিশনার হারুন–অর–রশীদ। সেখানে মিল্টনের বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে কথা বলেন তিনি।

ঢাকার মিরপুরে ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ নামে একটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন মিল্টন সমাদ্দার। তাঁর ভাষ্য, সেখানে আশ্রয়হীন বৃদ্ধ ও শিশুদের আশ্রয় দেওয়া হয়। সম্প্রতি সাভারে জমি কিনে আশ্রয়কেন্দ্রের স্থায়ী নিবাস বানানো হয়েছে। মিল্টন সমাদ্দার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অসহায় বৃদ্ধ ও শিশুদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে প্রচার চালান। এ-সংক্রান্ত ভিডিও চিত্র দেন। ফেসবুকে তাঁকে অনুসরণ করেন ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ।

সম্প্রতি কিছুদিন ধরে মিল্টনের বিরুদ্ধে নানা প্রতারণার অভিযোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। মিল্টন ফেসবুকে ভিডিও দিয়ে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। এরই মধ্যে তাঁর সঙ্গে কাজ করা এবং সংশ্লিষ্ট কয়েকজন তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনেন।

পুলিশ কর্মকর্তা হারুন–অর–রশীদ বলেন, ‘মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগ উঠেছে। তাঁর প্রতিষ্ঠিত আশ্রয়কেন্দ্রে অসহায় শিশু ও বৃদ্ধদের নিয়ে আসতেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের পর ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে তিনি স্বীকার করেছেন, সেখানে (আশ্রয়কেন্দ্র) অপারেশন থিয়েটার (অস্ত্রোপচারকেন্দ্র) আছে। যদি অপারেশন থিয়েটার থাকে বা হাসপাতাল থাকে, সেটির লাইসেন্স থাকতে হয়। কিন্তু তিনি এ–সংক্রান্ত কোনো লাইসেন্স দেখাতে পারেননি।’

মিল্টন সমাদ্দার আশ্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে বেশির ভাগ লাশ রাতে দাফন করতেন বলে একটি ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা গেছে। এ প্রসঙ্গে ডিবি কর্মকর্তা হারুন–অর–রশীদ বলেন, ‘তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলো, রাতে লাশ দাফন করেন কেন? তিনি জবাব দিয়েছেন, রাতে লাশ দাফন না করলে মানুষ আমাকে (মিল্টন) বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। এটা তিনি (মিল্টন) উত্তর দিয়েছেন। তাঁকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের সময় এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হবে।’

মিল্টন সমাদ্দার
মিল্টন সমাদ্দার
ছবি: সংগৃহীত

মিল্টন সমাদ্দার লাশ দাফনের যে হিসাব দিয়েছেন, সেখানেও গরমিল আছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা হারুন–অর–রশীদ। তিনি বলেন, ‘আমরা এটাও জেনেছি, ইতিমধ্যে তিনি ৯০০ লাশ দাফন করেছেন। কিন্তু ৮৩৫টি লাশের হিসাবে গরমিল পাওয়া যায়। এসব লাশ দাফনের কোনো ডকুমেন্ট (নথি) তাঁর কাছে নেই। তিনি গণমাধ্যমের কাছে স্বীকার করেছেন, নিজেই মৃত্যুসনদ তৈরি করে চিকিৎসকের স্বাক্ষর ও সিল জাল (নকল) করতেন। তাঁর আশ্রমের পাশে একটা মসজিদ আছে, সেখান থেকেও প্রশ্ন উঠেছে, লাশের শরীরে কিডনির পাশে রক্তের দাগ রয়েছে। এসব বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’

মিল্টন সমাদ্দারের দুটি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে জানিয়ে ডিবি কর্মকর্তা হারুন–অর–রশীদ বলেন, ‘তাঁর একটি আশ্রয়কেন্দ্র মিরপুরে এবং অন্যটি সাভারে। তিনি বলেছেন, আশ্রয়কেন্দ্রে ৫০০ থেকে ৭০০ লোক রয়েছে। কিন্তু সেখানে (আশ্রয়কেন্দ্র) খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০–৩০ বা ৪০ জনের বেশি নেই। আমাদের কথা হলো, আমরা তাঁকে নিয়ে (গ্রেপ্তার) এসেছি। কিছু অভিযোগকারী রয়েছে, তাঁরা মামলা করবেন। আমরা তাঁকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করব, কত সংখ্যক মানুষ তাঁর আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়েছিলেন। সেখানে কত সংখ্যক মানুষ মারা গেলেন। তিনি যেখানে অপারেশন থিয়েটার স্থাপন করেছেন, সেখান থেকে কিডনি বিক্রি করেছেন কি না, সেই অভিযোগটিও তদন্ত করা হবে।’

মিল্টন সমাদ্দারের বাড়ি বরিশালের উজিরপুরে জানিয়ে হারুন–অর–রশীদ বলেন, ‘মিল্টনের উত্থান হচ্ছে বাবাকে পেটানোর পর এলাকাবাসী তাঁকে এলাকাছাড়া করে। তারপর শাহবাগে এসে একটি ফার্মেসিতে কাজ করেন। সেখানে ওষুধ চুরির কারণে তাঁকে বের করে দেওয়া হয়। একটা পর্যায়ে কিছু লেখাপড়া করেন। পরে মিঠু হালদার নামের এক নার্সকে বিয়ে করেন। বিয়ে করার পর স্ত্রীকে নিয়ে মিরপুরে ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ নামে একটি আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করেন।’

চোর চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে উদ্ধার করা আগ্নেয়াস্ত্র এবং এসব অবৈধ অস্ত্রের মালিক মো. শাহীন
চোর চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে উদ্ধার করা আগ্নেয়াস্ত্র এবং এসব অবৈধ অস্ত্রের মালিক মো. শাহীনছবি: সংগৃহীত

ঈদের ছুটিতে পুরান ঢাকার ইসলামবাগের একটি বাসায় হওয়া চুরির ঘটনার তদন্তে নেমে চোর চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁদের বেশির ভাগেরই চোর হিসেবে পুলিশের তালিকায় নাম রয়েছে। কিন্তু এই চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে ৫টি অবৈধ অস্ত্র ও ৩৯টি গুলি উদ্ধার করেন তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

অস্ত্রগুলোর মধ্যে চারটি বিদেশি পিস্তল এবং দেশে তৈরি একটি আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। সাধারণ চুরির ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের কাছে এসব অস্ত্র কীভাবে এল, সে প্রশ্ন দেখা দেয় পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে। তদন্তে বেরিয়ে আসে, এক বছর আগে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকার একটি বাসা থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকারের সঙ্গে এসব আগ্নেয়াস্ত্র চুরি করেছিলেন চক্রের সদস্যরা। পরে ওই বাসার মালিক মো. শাহীনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ রোববার বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) খ মহিদ উদ্দিন। তিনি বলেন, শাহীনের বাসায় চুরির ঘটনা ঘটলেও তিনি থানায় কোনো মামলা করেননি। কারণ, অস্ত্রগুলো ছিল অবৈধ।

ঘটনাটি পুলিশের কাছে স্পষ্ট হওয়ার পর ২২ থকে ২৭ এপ্রিল টানা পাঁচ দিন ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে শাহীন ও তাঁর চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য ব্যক্তিরা হলেন মো. রাজীব হোসেন ওরফে রানা (২৮), মো. আবুল হাসান ওরফে সুজন (২৫), মো. পারভেজ নুর (৩৮) ও মানিক চন্দ্র দাস (৩৬)। পুলিশ বলছে, এই চক্রের আরও দুই সদস্য রশিদ মিয়া (৪৬) ও হাসান শাহারিয়ার পাপ্পু (৩৫) পলাতক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রশিদ বিদেশে আছেন। আর দেশে থাকা শাহারিয়ারকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে রাজীবের বিরুদ্ধে ১০টি মামলা, হাসানের বিরুদ্ধে ১টি, মানিকের বিরুদ্ধে ৪টি ও পারভেজের বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে। বর্তমানে তাঁরা পুলিশের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে রয়েছেন।

গত এক বছরে এই অস্ত্রগুলো নানা কৌশলে হাতবদল হয়েছে উল্লেখ করে পুলিশ কর্মকর্তা মহিদ উদ্দিন বলেন, সাধারণত কোনো চক্র যখন গড়ে ওঠে, তখন তারা নানা সরঞ্জাম সংগ্রহ করে বড় ধরনের কাজ করে থাকে। তেমনি এই অস্ত্রগুলোর অপব্যবহারের সুযোগ ছিল। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে, তাতে অস্ত্রগুলো একাধিকবার হাতবদল হয়েছে। কেনা-বেচা হয়েছে। কিন্তু অস্ত্রগুলোর কোনো ধরনের অপব্যবহারের তথ্য পাওয়া যায়নি।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির এই অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, শাহীন এসব অবৈধ অস্ত্র কোথা থেকে সংগ্রহ করেছেন, কী কারণে সংগ্রহ করেছিলেন, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

ছেলের চুরির সহযোগী মা

গত ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ১২ এপ্রিল ইসলামবাগের বাসায় চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. মামুন (৩৪) ও তাঁর মা হাসিনা বেগম (৫৭), মো. মিরাজ হোসেন (৩৫), মো. সায়মন (৩০), অমিত হাসান ইয়াসিন (২১), বরুন (৫০) ও জামিলা খাতুন হ্যাপি (১৮)।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তা মহিদ উদ্দিন বলেন, মামুন দীর্ঘদিন ধরে চকবাজার এলাকায় চুরি করেন। এ কাজে মামুনের অন্যতম সহযোগী তাঁর মা হাসিনা বেগম। তাঁরা স্থানীয়ভাবেই চোর হিসেবে পরিচিত। চুরির মামলায় তাঁরা একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েছেন। মামুনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ২২টি মামলা রয়েছে। চুরির জন্য মামুনের ১০ থেকে ১২ জনের বাহিনী রয়েছে।

৩৩ ভরি সোনা চুরির মূল পরিকল্পনাকারী মোবারককে মোংলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি
৩৩ ভরি সোনা চুরির মূল পরিকল্পনাকারী মোবারককে মোংলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবিছবি: সংগৃহীত

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গত দুই দিন অভিযান চালিয়ে সিঁধেল চোর চক্রের ৩৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬১ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ প্রায় আট লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এ সময় ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন–অর–রশীদ বলেন, ঈদের আগে ও পরে ঢাকা মহানগরে কয়েকটি সিঁধেল চুরির ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় কয়েকটি মামলা হয়। এরপর চোর ধরতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে ডিবি।

হারুন–অর–রশীদ আরও বলেন, সিঁধেল চুরির ঘটনায় গত ৮ এপ্রিল ওয়ারী থানায় একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী। মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৮ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিলের মধ্যে যেকোনো সময় অভয় দাস লেনের একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলার বাসায় গ্রিল কেটে ঢুকে সাড়ে ৩৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৩০০ ডলার চুরি হয়। এ সময় বাসায় কেউ ছিল না। মামলার পর ডিবির ওয়ারী অঞ্চলের দল ঘটনাস্থলসহ আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তদন্ত করে চোরদের শনাক্ত করে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন–অর–রশীদ। ঢাকা, ২ মে
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন–অর–রশীদ। ঢাকা, ২ মে
ছবি: সংগৃহীত

এরপর বাগেরহাটের মোংলা থানার পশুর নদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চুরির মূল পরিকল্পনাকারী মো. মোবারক ওরফে মগাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। অপরদিকে নেত্রকোনা থেকে চুরির অভিযোগে রাকিব মিয়া নামের আরেক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। চুরি করা স্বর্ণালংকার ও ডলার বিক্রির টাকা দিয়ে মোবারক ও রাকিব তাঁদের আরও আটজন বন্ধু মিলে কক্সবাজার বেড়াতে যান। আর মোবারক তাঁর এক বান্ধবীকে একটি মুঠোফোন কিনে দেন। এ ছাড়া চুরির সঙ্গে জড়িত আরও ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ২০ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। তাঁরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন–অর–রশীদ।

হারুন-অর-রশীদ আরও বলেন, ধানমন্ডির একটি বাসায় গ্রিল কেটে চুরির ঘটনায় গত ১৯ এপ্রিল ধানমন্ডি মডেল থানায় আরেকটি মামলা হয়। ওই বাসা থেকে ৪১ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৩৭ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়। মামলাটি তদন্তের সময় ডিবির রমনা বিভাগের ধানমন্ডি দল অনুসন্ধান ও সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে। এরপর ২৬ এপ্রিল ঢাকাসহ কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় অভিযান চালিয়ে চুরির ঘটনায় জড়িত গিয়াস উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চুরি করা স্বর্ণালংকার, নগদ ৭ লাখ টাকা ও চুরিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়।

এ ছাড়া সিঁধেল চোরদের গ্রেপ্তারে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে ডিবি মতিঝিল বিভাগ ১৪ জন, লালবাগ বিভাগ ৩ জন, গুলশান বিভাগ ৩ জন ও মিরপুর বিভাগ ২ জনকে গ্রেপ্তার করে।

Sakib May 18, 2014
কেন্দুয়ায় মোবাইল চুরির ঘটনা জানাজানি হওয়ার জের ধরে হামলা ভাংচুরের অভিযোগ

মোবাইল চুরির ঘটনা জানাজানি হওয়ার জের ধরে হামলা ভাংচুরের অভিযোগ

 

একটি মোবাইল চুরির বিষয়টি জানা জানি হওয়ার পর গ্রাম্য সালিশিতে সত্য সাক্ষ্য প্রদান করায় স্বাক্ষীদ্বয়ের উপর হামলা দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে কেন্দুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া গ্রামের মৃত সমর আলীর ছেলে মো: আক্কাছ মিয়া ও পাইকুড়া গ্রামের মৃত তুফানির ছেলে জাহেদ কেন্দুয়া থানায় ১৬ জনের বিরোদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে জানা যায় একটি মোবাইল চুরির ঘটনা জানাজানি হয়ে যাওয়ায় এ নিয়ে গ্রাম সালিশি বসে। ওই গ্রাম সালিশিতে আক্কাছ মিয়া ও কামাল সত্য সাক্ষ্য প্রদান করায় তাদেরকে পথে ঘাটে অপমানসহ দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে করে আসছিলো ওই গ্রামের মৃত জাফর আলী ফকিরের ছেলে ফারুক গংরা। এরই মধ্যে গত ১৫ ই এপ্রিল দেশীয় অস্ত্রে শস্ত্রে সজিত হয়ে আক্কাছ ও
অন্যান্য লোকদের উপর পরিকল্পিত হামলা চালায়। আক্কাছ মিয়া অভিযোগ করে বলেন হামলাকারীরা তার মনোহারী দোকানপাট ভাংচুর করে এবং কিছু নগদ টাকাও নিয়ে যায়।

এ ঘটনা মিমাংসার লক্ষ্যে গত ১৬ই এপ্রিল স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও কমিউনিটি পুলিশের পক্ষ্য থেকে উদ্যোগ করা করা হয়। কিন্তু আক্কাছ মিয়ার অভিযোগ মিমাংসার প্রস্তাব পেয়ে তারা সালিশেতে বসতে রাজি থাকলেও প্রতিপক্ষ্যের জাহেদ, ফারুক, ইসলাম উদ্দিন গংরা সালিশে বসার আগের দিনেই আক্কাছ মিয়া ও তাদের লোকদের উপর হামলা চালায়। এলোপাতারি হামলায় আক্কাছ ও তার গ্রুপের লোকজন গুরুতর আহত হয়। আক্কাছ এই ঘটনার জন্য দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রদানের দাবী জানান।

এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আলী হোসেন পিপিএম বলেন, ঘটনা ঘটার পর আমরা সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করতে চেয়েছিলাম কিন্তু এক পক্ষ যদি মিমাংসায় বসতে রাজি হয়ে পরবর্তীতে গ্রাম সালিশ বৈঠকের আগেই প্রতিপক্ষের লোকদের উপর হামলা চালায় সে ক্ষেত্রে আইনী কঠিন প্রদক্ষেপ ছাড়া আর কী করা আছে? মিমাংসার প্রস্তাব না মানার কারণে আর মিমাংসা হয়নি। তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে ফারুকের সাথে যোগাযোগের চেষ্ঠা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

[random][fbig2][#e74c3c]
Powered by Blogger.