Showing posts with label আর্ন্তজাতিক. Show all posts

নিজস্ব প্রতিনিধি August 07, 2024

 ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে দেশের পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণ ও ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ১৫ সদস্যের একটি দল গতকাল সন্ধ্যা ছয়টায় বঙ্গভবনে যায়। এর দেড় ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন তিন বাহিনীর প্রধানগণ। বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণ ও ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের দীর্ঘ বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠক শেষে রাত সোয়া ১২টার দিকে বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের পক্ষে সেখানে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, তাঁরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম প্রস্তাব করেছেন। রাষ্ট্রপতি তাতে সম্মতি দিয়েছেন। এ ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের বাকি সদস্য কারা হবেন, সে বিষয়ে ১৫ জনের নামের একটি তালিকা তাঁরা দিয়েছেন। যেখানে নাগরিক সমাজসহ ছাত্র প্রতিনিধত্ব রয়েছে। খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে এই তালিকা নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এটি চূড়ান্ত হবে। তাঁরা আশা করছেন, ২৪ ঘণ্টা বা দ্রুততম সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চূড়ান্ত হবে।

সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এই সরকার গঠন করতে যাচ্ছি। এই সময়ে এটাকে বিভিন্নভাবে সাংবিধানিক বৈধতা দেওয়ার সুযোগ আছে। নিয়ম আছে সেটা অনুসরণ করা হবে। সরকারের মেয়াদ এখনো ঠিক করা হয়নি।’ বঙ্গভবনে বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খানও উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গতকালই ভোরে এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম প্রস্তাব করেছিলেন ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

আজ বুধবার কিংবা কাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ড. ইউনূস দায়িত্ব নিতে পারেন বলে সরকারি সূত্রগুলো বলছে। তবে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দুই দিন ধরে দেশে কার্যত কোনো সরকার নেই। ফলে ঢাকাসহ সারা দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে।

পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এবং বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা স্বল্পতম সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের তাগিদ দিয়ে আসছিলেন।

বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চসহ বিভিন্ন দল ও জোট যারা গত সোমবার রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছে, তাদের ড. ইউনূসের ব্যাপারে সম্মতি আছে বলে দলগুলোর সূত্রে জানা গেছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্ররা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম প্রস্তাব করায় বিষয়টা আলোচনায় আসে।

দায়িত্ব নেবেন ড. ইউনূস

ইউনূস সেন্টারের পক্ষ থেকে গতকাল গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে, মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নেবেন। ড. ইউনূস বিবিসিকে বলেছেন, ‘যে শিক্ষার্থীরা এত ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাঁরা যখন এই কঠিন সময়ে আমাকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেছেন, তাহলে আমি কীভাবে তা প্রত্যাখ্যান করি?’

ড. ইউনূস বর্তমানে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে আছেন। আজ কিংবা আগামীকাল তিনি দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে। এরপর তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানের দায়িত্ব নিতে পারেন। তবে সরকারের অন্য উপদেষ্টারাও একই সঙ্গে দায়িত্ব নেবেন, নাকি পরে দায়িত্ব নেবেন, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

Muhammad Yunus - Wikipedia

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদস্যসংখ্যা কত হবে, কারা এতে জায়গা পাবেন—এ নিয়ে রাজনৈতিক মহল ও দেশের মানুষের মধ্যে নানা জল্পনাকল্পনা আছে। বিভিন্ন তালিকাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এগুলোর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।

বিভিন্ন দলের নেতারা বলছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস যেহেতু সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নেবেন, ফলে সরকারে আর কারা থাকবেন, সে ব্যাপারে তাঁর মতামতও প্রয়োজন হবে।

এ ক্ষেত্রে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কদের বিশেষ ভূমিকা থাকবে বলেও আলোচনা আছে। গুরুত্ব পেতে পারে সেনাবাহিনীর মতামতও।

কারা আসতে পারেন সরকারে

বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, গণতন্ত্র মঞ্চসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা রাষ্ট্রপতি ও তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে সোমবার দুই দফা বৈঠক করেন। দলগুলোর সূত্র বলছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে পেশাজীবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আইনজীবী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, সামরিক-বেসামরিক সাবেক আমলা ও ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণ থাকতে পারে।

এখন পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে সদ্য ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্রদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ করেননি রাষ্ট্রপতি কিংবা সেনাবাহিনীর প্রধান।

২০১১ সালে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাদ দেওয়া হয়। এর আগে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তি প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্যরা উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিতেন। এবারও সেই কাঠামো অনুসরণ করা হতে পারে। রাষ্ট্রপতি গতকাল সংসদ ভেঙে দিয়েছেন। এখন দেশে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নেই। ফলে নতুন যে সরকার গঠিত হবে, এর প্রধানসহ অন্যরা অনির্বাচিতই হবেন।

সোমবার দুপুরের পর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এর মধ্য দিয়ে তাঁর টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। তিনি এখন ভারতের দিল্লিতে অবস্থান করছেন।

নিজস্ব প্রতিনিধি December 28, 2014
Image not found

ছবি: সংগৃহীত  

সাগর থেকে মাছ ধরে ফেরার পথে মিয়ানমারের নৌ বাহিনীর ছোঁড়া গুলিতে কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের ২ জেলে আহত হয়েছেন। আহতদের একজনকে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হলেও অপরজনকে গুরুতর অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বঙ্গোপসাগর ও নাফনদীর মোহনাস্থ নাইকংদিয়া এলাকায় এই গুলি বষর্ণের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি।

আহত জেলেরা হলেন, টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপের উত্তর পাড়ার আলী আহমদের ছেলে মোহাম্মদ ইসমাইল (২০) ও দক্ষিণ পাড়ার সিদ্দিক আহমদের ছেলে মোহাম্মদ ফারুক (২৫)।

টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি জানিয়েছেন, এফবি মায়ের দোয়া নামের একটি ফিশিং ট্রলার সাগর থেকে মাছ ধরে কূলে ফেরার সময় মিয়ানমারের একটি জাহাজ থেকে ছোঁড়া গুলিতে ২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের প্রথমে টেকনাফ হাসপাতালে আনা হলে একজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

টেকনাফ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রনয় রুদ্র জানান, আহতদের মধ্যে ইসমাইল সামান্য আহত। তাকে টেকনাফে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। অপরজন ফারুকের ৩টি গুলি লেগেছে। হাত ও পায়ে লাগা গুলিতে গুরুতর হওয়ায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হচ্ছে।

ট্রলারের মাঝি মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, সেন্ট মার্টিন সংলগ্ন সাগরে মাছ ধরা শেষে শাহপরীর দ্বীপ ঘাটে ফিরছিলাম। এসময় নাইক্ষ্যংদিয়া সংলগ্ন অংশে মিয়ানমার নৌবাহিনীর একটি জাহাজ আমাদের অতিক্রম করছিল। ওই জাহাজ থেকে হঠাৎ আমাদের ট্রলার লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে আমাদের দুইজন জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

মাঝি ইউসুফ আরও বলেন, ‘আমরা নাফনদের বাংলাদেশের জলসীমায় ছিলাম এবং হাত উঁচু করে, বাংলাদেশী পতাকা দেখিয়ে তাদের গুলি না করতে ইশারা করছিলাম। এরপরও তারা মানেনি।’

টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. সুরাইয়া ইয়াছমিন জানান, আহতদের মধ্যে ইসমাইল সামান্য আহত। তাকে টেকনাফে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। অপর জন ফারুকের ৩টি গুলি লেগেছে। হাত ও পায়ে লাগা গুলিতে গুরুতর হওয়ায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হচ্ছে।

[img featured="1" src="https://dainikamadershomoy.com/_cdn/images/large/2024/04/06/news_1712404588647.webp"/]
[img featured="1" src="https://dainikamadershomoy.com/_cdn/images/large/2024/04/21/news_1713689259288.webp"/]
[img featured="1" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEglBfrxpHD-D0expKFN6N_BsMrfqLP-u2Nh_kMCepmf2uweTyFRJRabODdVyjvfVVLFP87zJ1ho-vMaSVv-qLuznr2TQnvgSUTCgsr_kIyfxibgGBzQRUXcRynMzpb2YANDntwBzlaOFUP-/s1600-rw/google-glass-700x357.jpg"/]

নিজস্ব প্রতিনিধি September 10, 2014
ছয়জন প্রার্থী বাম থেকে খগেন মুর্মু, মহম্মদ সেলিম, ঈশা খান চৌধুরী, খলিলুর রহমান, আবু তাহের ও শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী
ছয়জন প্রার্থী বাম থেকে খগেন মুর্মু, মহম্মদ সেলিম, ঈশা খান চৌধুরী, খলিলুর রহমান, আবু তাহের ও শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী
ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

তৃতীয় দফা লোকসভা নির্বাচন হবে ৭ মে। প্রথম দুটি পর্বে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল দ্বিমুখী। আর এবার হচ্ছে ত্রিমুখী লড়াই।

তৃতীয় পর্বে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে ৪টিতে নির্বাচন হবে। এই চার আসনকে কংগ্রেসের ঘাঁটি হিসেবে ধরা হয়। তবে এখন এসব আসনে কংগ্রেসের প্রভাব অনেকটা কমে এসেছে। কংগ্রেসের ঘাঁটিতে লড়াই হচ্ছে ত্রিমুখী। প্রার্থী চার দল ও অন্যান্য দল এবং স্বতন্ত্র মিলিয়ে ৫৭ জন। লড়াই হবে তিন দল ও জোটের। একদিকে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি, অন্যদিকে কংগ্রেস-বাম দলের জোট।

লড়াইয়ের ক্ষেত্র তিনটি হলো উত্তর মালদা, দক্ষিণ মালদা, মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর আসন। এ চার আসনের এলাকা মূলত একসময়ের কংগ্রেস–প্রভাবিত। মালদহের কংগ্রেস নেতা গণি খান চৌধুরী ছিলেন এখানকার এক নামী নেতা ও কিংবদন্তি। রেলমন্ত্রী থাকাকালে তিনিই কলকাতায় এনেছিলেন পাতালরেল। দিয়েছিলেন বহু বেকারের চাকরি।

অন্যদিকে আরেকটি ইতিহাসখ্যাত আসন হলো মুর্শিদাবাদ। বাংলার এককালের রাজধানী। নবাব সিরাজের স্মৃতিবাহী। সেই আসনেও এবার লড়াই জোরদার হবে। তৃণমূল বিজেপি ছাড়া এ আসনে এবার লড়ছেন সিপিএম নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য ও সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি লড়ছেন কংগ্রেস-বাম দলের জোটের প্রার্থী হয়ে।

এই কংগ্রেস গড়ের উত্তর মালদা আসনে এবার লড়ছেন তৃণমূলের প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নবাগত। সাবেক আইপিএস পুলিশ কর্মকর্তা। কংগ্রেসের হয়ে লড়ছেন মোস্তাক আলম, আর বিজেপির প্রার্থী হয়ে লড়ছেন বিদায়ী সংসদ সদস্য খগেন মুর্মু।
দক্ষিণ মালদায় লড়ছেন তৃণমূলের শাহনেওয়াজ আলী রায়হান, কংগ্রেসের ঈশা খান চৌধুরী। গণি খান চৌধুরীর বংশধর ঈশা খান। এই আসনের বিদায়ী সংসদ সদস্য হলেন ঈশা খানের বাবা আবু হাসেম খান চৌধুরী। বিজেপির প্রার্থী হয়ে লড়ছেন শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী।

মুর্শিদাবাদে লড়ছেন তৃণমূলের আবু তাহের খান, বিজেপির গৌরী শঙ্কর ঘোষ এবং সিপিএমের মহম্মদ সেলিম। সেলিম লড়ছেন কংগ্রেস-বাম দলের জোট প্রার্থী হিসেবে। আর জঙ্গিপুর আসনে লড়ছেন তৃণমূলের বিদায়ী সংসদ সদস্য খলিলুর রহমান, বিজেপির ধনঞ্জয় ঘোষ আর কংগ্রেসের মুর্তজা হোসেন। ফলে এই চার আসনে লড়াই হচ্ছে মূলত ত্রিমুখী। তৃণমূল, বিজেপি ও কংগ্রেস-বাম জোট প্রার্থীদের মধ্যে। গত নির্বাচনে এই চার আসনের মধ্যে দুই আসনে জিতেছিল তৃণমূল, একটি করে আসনে জিতেছিল কংগ্রেস ও বিজেপি।

২০১৯ সালের নির্বাচনে এই চার আসনে জিতেছিলেন যথাক্রমে মালদহ উত্তর আসনে বিজেপির খগেন মুর্মু। পেয়েছিলেন ৫ লাখ ৯ হাজার ৫২৪ ভোট। হারিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মৌসম বেনজীর নূরকে। দক্ষিণ মালদহ আসনে জিতেছিলেন কংগ্রেসের আবু হাসেম খান চৌধুরী। পেয়েছিলেন ৪ লাখ ৪৪ হাজার ২৭০ ভোট। হারিয়ে দিয়েছিলেন বিজেপির প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীকে। মুর্শিদাবাদ আসনে জিতেছিলেন তৃণমূলের আবু তাহের খান। পেয়েছিলেন ৬ লাখ ৪ হাজার ৩৪৬ ভোট। পরাজিত করেছিলেন কংগ্রেসের আবু হেনাকে। আর জঙ্গিপুর আসনে জিতেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান। পেয়েছিলেন ৫ লাখ ৬২ হাজার ৮৩৮ ভোট। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিজেপির নারী প্রার্থী মাহফুজা খাতুন ।

এবার এই চার আসনে মূলত লড়াই হবে ত্রিমুখী। তৃণমূল, বিজেপি এবং কংগ্রেস-বাম জোট প্রার্থীদের মধ্যে। তবে এবার মুর্শিদাবাদ আসনে কংগ্রেস-বাম জোটের প্রার্থী মহম্মদ সেলিম জোর লড়াইয়ে থাকছেন। যদিও এই ৪ আসনের ওপর এবিপি আনন্দ ও সি-ভোটার সাম্প্রতিক এক জনমত সমীক্ষায় বলেছে, মালদহ উত্তরে খগেন মুর্মু, মালদহ দক্ষিণে ঈশা খান চৌধুরী, মুর্শিদাবাদে আবু তাহের এবং জঙ্গিপুরে খলিলুর রহমানের জয়ের সম্ভাবনা। অর্থাৎ ২০১৯ সালের ফলাফলই পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলে ওই সমীক্ষায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিনিধি July 23, 2014
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের স্থায়ী পর্যবেক্ষক রিয়াদ মনসুর ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ (ডানে) বৈঠক করেন
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের স্থায়ী পর্যবেক্ষক রিয়াদ মনসুর ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ (ডানে) বৈঠক করেনছবি: পিআইডি

আন্তর্জাতিক ফোরামে ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের স্থায়ী পর্যবেক্ষক রিয়াদ মনসুর। গতকাল শুক্রবার গাম্বিয়ায় স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি এ অনুরোধ জানান।

আজ শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ওআইসির ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। গতকাল ছিল সম্মেলনের প্রাক্‌-প্রস্তুতিমূলক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সভা। সেই সভার ফাঁকে রিয়াদ মনসুরের সঙ্গে বৈঠকটি হয়।

বৈঠকে রিয়াদ মনসুর ফিলিস্তিনের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান। জবাবে হাছান মাহমুদ ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনের কথা তাঁকে অবহিত করেন।

ফিলিস্তিনি সাধারণ জনগণের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসন স্থায়ীভাবে নিরসনের লক্ষ্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ওআইসির সদস্যদেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন হাছান মাহমুদ।

বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, সৌদি আরবে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ও ওআইসিতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, গাম্বিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত নাইজেরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদুর রহমান এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ অনুবিভাগের মহাপরিচালক ওয়াহিদা আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিনিধি July 09, 2014
ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের ঘিরে রাখে পুলিশ। অস্টিন, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪
ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের ঘিরে রাখে পুলিশ। অস্টিন, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ছবি: রয়টার্স

‘ঘটনাটা আমার স্বাভাবিক মনে হয়নি’, বলছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আলিশবা জাভেদ। যুক্তরাষ্ট্রের অস্টিনে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের ক্যাম্পাসে যখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ৩০ জনের একটি দল ঢুকছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে নিজের অনুভূতি কেমন ছিল, সে সম্পর্কে জানাচ্ছিলেন তিনি।

জাভেদ ও তাঁর কয়েক শ সহপাঠী ক্যাম্পাসে চুনাপাথরের ৯৪ মিটার উঁচু টাওয়ারের ছায়ার নিচে জড়ো হয়েছিলেন। গাজায় ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধের বিরুদ্ধে ক্লাস বর্জন কর্মসূচির অংশ হিসেবেই সেখানে সমবেত হওয়া তাঁদের।

আন্দোলনরত এই শিক্ষার্থীরা আশা করছিলেন, ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহকারী মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সম্পর্কচ্ছেদ করবে। সেটি না হয়ে উল্টো দেখা গেল, ক্যাম্পাসে ক্রমেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি বেড়ে চলেছে।

জাভেদের হিসাবে, ক্যাম্পাসে আগে থেকেই অন্তত ৫০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিলেন। ওই দিন তাঁদের সঙ্গে যোগ দেয় ৩০ জনের মতো দলটি। তারা সজ্জিত ছিল দাঙ্গা পুলিশের পোশাকে। তিনি বলেন, তাঁদের বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণই ছিল। কিন্তু ভেতরে ছিল টানটান উত্তেজনা। পুলিশ সদস্যরাও তাঁদের দিকে এগোতে শুরু করেন।
২২ বছর বয়সী এই শিক্ষার্থী বলছিলেন, ‘এটিই ছিল প্রথম মুহূর্ত, যখন আমি সত্যি ভয় পেয়ে যাই।’

ক্যাম্পাসে বর্ণবাদী ভাবধারার কিছু মানুষ রয়েছেন। তাঁরা কথা বলতে দিতে চান না। আছেন জেনোফোবিক (বিদেশিদের ব্যাপারে অহেতুক ভয় বা ঘৃণা পোষণ) মনোভাবের মানুষও। তাঁরা তা স্বীকার করতে চান না। আছেন বাদামি বর্ণের বিক্ষোভকারীরাও। এসবই পুলিশকে মারমুখী হয়ে উঠতে উৎসাহ জোগাচ্ছে।
—হিবা ফারুকি, ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের আন্দোলনরত শিক্ষার্থী

২৪ এপ্রিল দিনটিতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে শুরু হয় দুই পক্ষের সংঘর্ষ। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের দৃশ্যগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে অনলাইনে। একই সময় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও চলছিল অনুরূপ বিক্ষোভ।

টেক্সাসবাসীর ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ দেখানোর সুযোগ অন্যদের মতো নয়। তাঁদের সামনে রয়েছে ভিন্ন ধরনের এক চ্যালেঞ্জ। ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ ঠেকাতে এই অঙ্গরাজ্যের সরকারের হাতে আইন রয়েছে। তারা সেটি প্রয়োগও করে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চলছে বিবাদ।

২০১৭ সালে অঙ্গরাজ্যটির গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট এক আইনে সই করেন। এ আইনে ইসরায়েলকে বয়কট করা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পরে আইনটি আরও কঠোর করার পদক্ষেপ নেয় স্থানীয় সরকার।
অ্যাবট বর্তমানে চলা বিক্ষোভকে ‘ঘৃণাভরা’ ও ‘ইহুদিবিদ্বেষী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। বিক্ষোভকারী ও তাঁদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ভুল ধারণার জন্ম দিচ্ছে এই বক্তব্য।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আশা করছিলেন, ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহকারী মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সম্পর্কচ্ছেদ করবে। সেটি না হয়ে উল্টো দেখা গেল, ক্যাম্পাসে ক্রমেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি বেড়ে চলেছে।

এর বাইরে, চলতি বছরের শুরুতে একটি আইন কার্যকর করেছে টেক্সাস সরকার। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ আইনে তাদের ‘ডাইভারসিটি, ইকুইটি ও ইনক্লুশন (ডিইআই)’ দপ্তর বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়।

বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়কর্মী আল–জাজিরাকে বলেছেন, ওই আইনের কারণে ডিইআই কর্মীরা চলে যেতে বাধ্য হওয়ায় ক্যাম্পাসগুলোতে এখন আগের চেয়ে কম নিরাপদ হয়ে পড়েছেন নানা বর্ণের শিক্ষার্থীরা।

‘সংখ্যালঘুদের তাড়াতে সহিংসতার ব্যবহার’

সব বাধা উপেক্ষা করে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে তাঁদের বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন।

২৯ এপ্রিল এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে তাঁদের ওপর পিপার স্প্রে ও প্রচণ্ড শব্দ সৃষ্টিকারী যন্ত্র ব্যবহার করে পুলিশ। এ সময় তারা বিক্ষোভকারীদের ঘিরে ফেলে ও চিৎকার করতে করতে অনেককে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায়।

হিবা ফারুকি ২১ বছর বয়সী শিক্ষার্থী। জানাচ্ছিলেন তাঁর অভিজ্ঞতা, বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে তিনি আহত হন। তাঁর হাঁটু থেকে রক্ত ঝরছিল।

ভীষণভাবে আহত না হওয়ায় হিবা নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করেন। তিনি বলেন, তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজে থেকে পুলিশ ডেকেছে, আবার আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসায় চিকিৎসক ডেকেছে, বিষয়টি ভেবে হকচকিত তিনি।

ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের ক্যাম্পাসে বসানো হয় প্রতিবন্ধকতা। অস্টিন, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪  
ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের ক্যাম্পাসে বসানো হয় প্রতিবন্ধকতা। অস্টিন, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪
ছবি: রয়টার্স

হিবা ফারুকি আরও বলেন, ‘ক্যাম্পাসে বর্ণবাদী ভাবধারার কিছু মানুষ রয়েছেন। তাঁরা কথা বলতে দিতে চান না। আছেন জেনোফোবিক (বিদেশিদের ব্যাপারে অহেতুক ভয় বা ঘৃণা পোষণ) মনোভাবের মানুষও। তাঁরা তা স্বীকার করতে চান না। আছেন বাদামি বর্ণের বিক্ষোভকারীরাও। এসবই পুলিশকে মারমুখী হয়ে উঠতে উৎসাহ জোগাচ্ছে।’

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত থাকায় শিক্ষার্থী, আইনজীবী ও পরামর্শকেরা বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হওয়ার কথা জানিয়েছেন। আল–জাজিরাকে তাঁরা বলেন, টেক্সাস সরকার তাঁদের ধ্যানধারণা বদলাতে বাধ্য করছে ও সরকারের স্পষ্ট বৈরিতার শিকার হচ্ছেন তাঁরা।

হিবা বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের তাড়াতে সহিংসতাকে ব্যবহার করছে টেক্সাস সরকার।’


নিজস্ব প্রতিনিধি June 16, 2014
Kendua.com

পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুতে যাত্রীবাহী একটি বাস ৬৫০ ফুট গভীর খাদে পড়ে গেছে। এতে অন্তত ২৫ জন নিহত এবং ২১ জন আহত হয়েছেন।

গত রোববার গভীর রাতে কাজামার্কার আন্দিয়ান অঞ্চলে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর বাসটি প্রায় ২০০ মিটার (প্রায় ৬৫০ ফুট) গভীরে পড়ে যায় বলে স্থানীয় কর্মকর্তা ওলগা বোবাডিলা আরপিপি রেডিওকে জানিয়েছেন।

 

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেরুর উত্তরাঞ্চলে পাহাড়ি রাস্তা থেকে একটি বাস খাদে পড়ে যাওয়ার পর ২৫ জন নিহত হন। আহত হন অন্তত ২১ জন।

এএফপি বলছে, পেরুতে বাস দুর্ঘটনা খুবই সাধারণ বিষয়। বিশেষ করে রাতে এবং পাহাড়ের হাইওয়েতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এছাড়া দ্রুত গতি, রাস্তার খারাপ অবস্থা, রোড সাইনের অভাব এবং ট্রাফিক নিয়ম-কানুনের দুর্বল প্রয়োগের কারণে পেরুর রাস্তায় প্রায়ই এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।

[random][fbig2][#e74c3c]
Powered by Blogger.