Showing posts with label জাতীয়. Show all posts

Sakib May 12, 2024
ফলাফলে শিক্ষার্থীদের উল্লাস। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা, ১২ মে
ফলাফলে শিক্ষার্থীদের উল্লাস। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা, ১২ মেছবি: খালেদ সরকার

২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ শিক্ষার্থী।

জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী ৯৮ হাজার ৭৭৬ জন। ছাত্র ৮৩ হাজার ৩৫৩ জন।

এবারের এসএসসি-সমমানের পরীক্ষার ফলাফল আজ রোববার প্রকাশ করা হয়েছে। এসএসসি-সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক শূন্য ৪।

আজ সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের তথ্য তুলে দেওয়া হয়। সেখানেই তিনি ফলাফল প্রকাশ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, বেলা ১১টায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় ফলাফল প্রকাশ করা হয়। অনলাইনেও ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল সংগ্রহ করা যাচ্ছে।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিল এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়।

১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এ বছর ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন পরীক্ষার্থী ১৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭৯ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন দাখিল পরীক্ষার্থী ২ লাখ ৪২ হাজার ৩১৪ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ জন। 

রেজাল্ট দেখতে ক্লিক- রেজাল্ট

Sakib May 06, 2024
কেন্দুয়ায় ১৪শ হাঁসের বাচ্চা মারল দুর্বৃত্তরা, Kendua.com

কেন্দুয়ায় ১৪শ হাঁসের বাচ্চা মারল দুর্বৃত্তরা

 

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় রাতের আঁধারে বকুল মিয়া নামে এক খামারির ১৪০০ হাঁসের বাচ্চা মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালের দিকে উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের বাড়লা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

খামারী বকুল মিয়া বলেন, আমি রাতে হাঁসের সব বাচ্চাগুলোকে সুস্থ দেখে এসেছি। সকালে খামারে গিয়ে দেখি কে বা কারা আমার ১৪০০ হাঁসের বাচ্চা মেরে ফেলেছে।

তিনি বলেন, আমার সাথে কারো কোন শত্রুতা নেই। কিন্তু কারা এই কাজটি করল বুঝতে পারছি না। এতে আমার অনেক বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গেল। এখন আমার সংসার চালানো অনেক কঠিন হয়ে পরবে। আমি এব্যাপারে থানায় অভিযোগ দাখিল করব।

পাইকুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইসলাম উদ্দিন বলেন, এমন ঘটনা খুবই দু:খজনক। আমি চাই যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের উপযুক্ত বিচার হোক।

কেন্দুয়া থানার পেমই তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক সাদ্দাম হোসেন জানান, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী খামারী থানায় এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Sakib May 06, 2024
সন্ধ্যা নামলেই এলইডির তীব্র আলো ঘটছে দুর্ঘটনা: চোখের মারাত্মক ক্ষতি

সন্ধ্যা নামলেই এলইডির তীব্র আলো ঘটছে দুর্ঘটনা : চোখের মারাত্মক ক্ষতি

 

রিকশা-ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ নিষিদ্ধ যানবাহনের হেডলাইট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যাধিক উজ্জ্বল ও সাদা আলোর এলইডি লাইট। যা একটু কাঁপলেই অপরদিকে থাকা যানবাহন চালকসহ পথচারীদের চোখ ঝাঁপসা করতে যতেষ্ঠ। মুহুর্তে যেনো সব অন্ধ। আর  এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

এমনটাই নিত্যচিত্র এখন দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার আঞ্চলিক সড়ক, মহাসড়কসহ গ্রামীণ সড়কের।

উপজেলা প্রশাসন কিংবা পৌরসভার উদ্যোগেও নেয়া হয়না এসব নিষিদ্ধ লাইটের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ। ফলে যে যার মতো যেকোনো যানবাহনে ব্যবহার করছে ক্ষতিকারক এই এলইডি লাইট।

চক্ষু চিকিৎসকদের মতে, সহনীয় মাত্রার বেশি আলোকরশ্মি উৎপন্ন করায় এলইডি লাইট সরাসরি চোখের রেটিনায় আঘাত করে। এতে কর্নিয়াসহ দৃষ্টি শক্তির মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।

জানা যায়, বর্তমানে দুর্ঘটনা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যাটারিচালিত ভ্যান, ইজিবাইক, ইঞ্জিনচালিত নছিমন, করিমন ও পাগলু গাড়ির সাদা লাইটের আলো। অবৈধ যান হিসেবে খ্যাত এসব যানবাহনের হেডলাইটের সাদা আলোয় চলাচল করতে চরম সমস্যা হচ্ছে পথচারীদের। প্রতিদিন একটু সন্ধ্যা হলেই অবৈধ যানের চালকেরা তাদের সুবিধার্থে এলইডি লাইট জ্বালিয়ে সড়কে চলাচল করছেন। এলইডি আলোর রশ্মি এতই বেশি যে তার বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহনের চালক বা পথচারীদের সরাসরি চোখে পড়ে। এ সময় চোখে দেখতে না পেয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা।

ফুলবাড়ী জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক চন্দ্রনাথ গুপ্ত বলেন, সন্ধ্যার পর পথ চলাচলের সময় এলইডি লাইটের কারণে চোখে কিছু দেখা যায় না। দুর্ঘটনার মূল কারণ এখন এসব নিষিদ্ধ এলইডি লাইট। এদিকগুলোতে সংশ্লিষ্টদের কোনো নজর নেই। তাদের নজরদারী অত্যান্ত জরুরী হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল কাইয়ুম বলেন, অবৈধ এসব যানবাহনের আলোর গতি সাধারণ আলোর চেয়ে অনেক বেশি। এ জাতীয় লাইটের আলো সামনে পড়লে দুই-তিন মিনিট চোখে কিছুই দেখা যায় না। তা ছাড়া বেশির ভাগ সময় লাইটগুলো উঁচু (হাই) করে দেওয়া থাকে।

এতে চালক ও সাধারণ মানুষের পথ চলতে চরম অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। এ কারণে সড়ক পারাপারের সময় প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনা। বিষয়টি জরুরিভাবে প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।

ইজিবাইকের চালক মো. ঝিনুক বলেন, ইজিবাইক কেনার সময় গাড়ির সঙ্গে যে লাইটটি ছিল সেটি ভালো ছিল। কিন্তু সেটি নষ্ট হওয়ার পর স্থানীয় দোকানদারেরা বর্তমানে লাগানো এলইডি লাইট বিক্রি করেছেন। এটির আলো একটু বেশি চোখে ধরে।  

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোস্তাফিজার রহমান বলেন, পাগলু, নসিমন, করিমন, রিকশাভ্যানসহ যা আছে এগুলোর মহাসড়কে চলাচলের কোনো আইন নেই। এসব যানবাহন তো অবৈধ। এসব যানবাহনসহ অন্য যেগুলোতে এলইডি লাইট লাগানো আছে, সেগুলো বন্ধ করার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমান বলেন, যানবাহনে ব্যবহৃত এলইডি লাইট মানুষেরচোখের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। এই লাইটের প্রভাবে সরাসরি চোখের রেটিনার কর্মক্ষমতা কমে যায়। ফলে চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে শুরু করে।

ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. আল কামাহ্ তমাল বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে এলইডি লাইট ব্যবহার বন্ধ করার জন্য বিধিমোতাবেক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Sakib May 06, 2024
অন্ধ বাউল প্রদীপ পালের পাশে কেন্দুয়ার ইউএনও

অন্ধ বাউল প্রদীপ পালের বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী প্রদীপ পালের হাতে তুলে দেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ


মন্দিরার তালে তালে জীবন চলে অন্ধ বাউল প্রদীপ চন্দ্র পালের । তিন দিন ব্যাপী জালাল মেলার গানে ভাগ্য বদল হতে চলছে প্রদীপ পালের পরিবারের। নগরে বন্দরে হাটে বাজারে গান গেয়ে সংসার চলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নগর বাউল প্রদীপ চন্দ্র পালের। পিতা তপন চন্দ্র পালের মৃত্যুর পর মা বাসনা রানী পালকে সাথে নিয়ে চলে প্রদীপের জীবন সংসার।

আজ থেকে প্রায় ৪০ বছর আগে হাতে তুলে নেন এক জোড়া মন্দিরা বা জুড়ি। অন্ধ বাউল প্রদীপ বিভিন্ন হাট বাজারে গিয়ে মন্দিরা বাজিয়ে বাজিয়ে মানুষকে গান শুনান, এই গান শুনে মানুষও মানবিক কারণে তাকে ১০ টাকা, ৫ টাকা, ২০ টাকা কিংবা ৫০ টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেন। ওই টাকা দিয়েই চাল, ডাল, মাছ, তরিতরকারি নিয়ে বাড়ি ফিরেন প্রদীপ।

অন্ধ বাউল প্রদীপ পালের গান শুনে মুগ্ধ হয়ে তার অফিসে এভাবেই জড়িয়ে ধরেন ইউএনও ইমদাদুল হক তালুকদার

অন্ধ বাউল প্রদীপ পালের গান শুনে মুগ্ধ হয়ে তার অফিসে এভাবেই জড়িয়ে ধরেন ইউএনও ইমদাদুল হক তালুকদার

প্রায় ২৫ বছর আগে ঈশ^রগঞ্জ উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়ের টংটঙ্গিয়া গ্রামের মৃত হরেন্দ্র চন্দ্র দাসের কন্যা আন্না রানীর সাথে বিয়ের পিড়িতে বসেন তিনি। বিয়ের পর দুই কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বড় কন্যা তৃপ্তি রানী পাল ঈশ^রগঞ্জ উপজেলার  মাইঝবাগ পাছপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে। ছোট কন্যা কৈশী রানী পাল সান্দিকোনা স্কুল এন্ড কলেজে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে।

প্রদীপ পালের বয়সের কথা জানতে চাইলে সোজা কথায় উত্তর দিয়ে বলেন, ১৯৭১ সনের সংগ্রামের তিন বছরের বড় আমি। ১ ভাই এবং ৮ বোনের মধ্যে তিনিই বড়। বাবা না থাকায় বোনদের বিয়ের দায়িত্ব পড়ে প্রদীপ পালের কাধে। জন্মান্ধ প্রদীপ পাল ১ জোড়া মন্দিরা হাতে নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন ঘর থেকে। এই মন্দিরা বাজিয়ে বাজিয়ে নগরে বন্দরে হাটে বাজারে গান পরিবেশন করেন তিনি। এই উপার্জিত অর্থ দিয়েই ৮ বোনের বিয়ে দেন।

অন্ধ বাউল শিল্পী প্রদীপ চন্দ্র পালের পরিবারের স্বচ্ছতা ফেরাতে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ তার বাড়িতে ছুটে যান

অন্ধ বাউল শিল্পী প্রদীপ চন্দ্র পালের পরিবারের স্বচ্ছতা ফেরাতে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ তার বাড়িতে ছুটে যান

মানবিক সমাজের লোকজন প্রদীপ পালের প্রতি সদয় হয়ে তাকে আর্থিক ভাবে  সহযোগিতাও করেন। মানুষের আন্তরিক সহযোগিতা তার পরিবার কোন মতে চলে আসছিল। জীবন ও সমাজের সাথে যুদ্ধ করে এগিয়ে চলছেন নাগরিক বাউল প্রদীপ পাল। কিন্তু কখনও কোনদিন হতাশ হননি তিনি। তার পৈতৃক ভিটার মধ্যে ১২ শতাংশ ভূমি রয়েছে। কিন্তু অর্থাভাবে সেই ভিটেটে বসবাসের জন্য একটি ঘর করতে পারছিলেন না।

লোক শিল্পী আব্দুল কদ্দুছ বয়াতি ও বিভিন্ন গনমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে খবর পান তথকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মইনুদ্দিন খন্দকার। তিনি খোজ খবর নিয়ে প্রদীপ পালের ভিটেটে সরকারী খরচে একটি আধা পাকা ঘর করে দেন। কিন্তু ঘরে বিদ্যুৎ , পানি, টয়লেটের ব্যবস্থা না থাকায় অন্য এক বাড়িতে আশ্রয়ে থাকেন তিনি। এভাবেই সুখ দুঃখে খেয়ে না খেয়ে কোনমতে চলছে প্রদীপের সংসার।

চলতি বছরের গত ২৫, ২৬, ২৭ এপ্রিল কেন্দুয়ায় অনুুষ্ঠিত হয় জালাল মেলা। মরনোত্তর একুশে পদক পাপ্ত-২০২৪ আন্তসন্ধানী মরমী বাউল সাধক জালাল উদ্দিন খাঁর ১৩০ তম জন্মদিন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত জালাল মেলায় আমন্ত্রিত হয়ে অন্যান্য বাউলদের সাথে মেলায় গান পরিবেশন করতে আসেন প্রদীপ চন্দ্র পাল।

মেলা উদযাপন কমিটির আহবায়ক কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদারের নজরে পড়েন প্রদীপ পাল। তিনি প্রদীপ পালের গান শুনে মুগ্ধ হয়ে তার পরিবারের যাবতীয় দায়দায়িত্ব উপজেলা প্রশাসনের কাধে তুলে নেন। গত ২ মে বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি আলপথ দিয়ে হেটে ছুটে যান নগর বাউল প্রদীপ চন্দ্রের বাড়িতে। কথা বলেন পরিবারের সকল সদস্যদের সাথে।

এসময় তার সাথে ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: রাজিব হোসেন, নেত্রকোণা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কেন্দুয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম মো: মুজিবুর রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: আজিজুর রহমান সহ স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীরা। পরিবারের সমস্যার কথা শুনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার ঘোষনা দিয়ে বলেন, আজ থেকে প্রদীপ চন্দ্র পালের আর কোন দুশ্চিন্তা করতে হবে না। তিনি সচ্ছল জীবন যাপন করবেন। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রদীপ পালের হাতে একটি খাদ্য সামগ্রীর বস্তা তুলে দেন।

এছাড়া তিনি ১০ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ, নলকূপ স্থাপনের ব্যবস্থা, একটি টয়লেট নির্মাণের পূর্ণ আশ^াস দেন। তাছাড়া দুই কন্যা যে দুটি বিদ্যালয়ে অধ্যায়ন করে সেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে চিঠি পাঠান যাতে করে প্রদীপ পালের কন্যারা বিনা পয়সায় লেখাপড়া, স্কুল ড্রেস, উপবৃত্তি, শিক্ষা উপকরণ বিনা মূল্যে পেতে পারে। অপর দিকে প্রদীপ পালের স্ত্রী আন্না রানী পালকে উপজেলা সদরে মাসব্যাপী সেলাই প্রশিক্ষণ দিয়ে তাকে একটি সেলাই মেশিন দিয়ে সাবলম্বী হওয়ার পথ ধরিয়ে দেবেন।

স্থানীয় সংস্কৃতি কর্মীদের দাবির প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রতিদিনের সংসার পরিচালনার জন্য সাহিতপুর বাজারে প্রদীপ পাল কে একটি মুদি দোকান স্থাপন করে দেবেন। যাতে এই দোকানের আয় দিয়ে তার সংসার চলে। এসব ঘোষনার পর প্রদীপ পাল বলেন, অনেক ইউএনও স্যার দেখেছি কিন্তু কেউই এভাবে আমার বাড়িতে খোজ খবর নিতে আসেননি।

পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মো: মুজিবুর রহমানের সাথে শনিবার বিকালে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সম্ভবত উপজেলা প্রশাসন থেকে আগামীকাল বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদনটি পাব। আবেদন পাওয়ার পর ৭ দিনের মধ্যেই আমরা প্রদীপ পালের বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে বাড়িতে আলো জ¦ালিয়ে দেবো।

স্থানীয় সংস্কৃতি কর্মীরা বলেন, আমরা অনেক কৃতজ্ঞ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পদক্ষেপের ফলে প্রদীপ পালের পরিবারটি অন্ধকার ছেড়ে আলোর পথ ধরে এগিয়ে যাবে।



Sakib May 06, 2024
আটপাড়ায় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু

আটপাড়ায় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু

 

নেত্রকোনার আটপাড়ায় হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে দিলোয়ার মিয়া (৩৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

আজ সোমবার সকালে উপজেলার স্বরমুশিয়া হাওরে বজ্রপাতে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

নিহত কৃষক দিলোয়ার মিয়া উপজেলার স্বরমুশিয়া গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আটপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাওহিদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওই কৃষক সকালে নিজের জমির ধান কাটতে গেলে বজ্রপাতে আহত হন।

পরে অন্যরা উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিস্তা সেচক্যানেলের উন্নয়ন কাজের জন্য সড়কের দুই পাশের গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রংপুরের তারাগঞ্জের দৌলতপুরে
তিস্তা সেচক্যানেলের উন্নয়ন কাজের জন্য সড়কের দুই পাশের গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রংপুরের তারাগঞ্জের দৌলতপুরে
ছবি: প্রথম আলো

প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ মানুষ। একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নেয়। গাছ না থাকলে তাপমাত্রা বাড়ে। একটি এলাকার আয়তন অনুযায়ী নির্ধারিত সংখ্যক গাছ থাকা প্রয়োজন। রংপুরের তারাগঞ্জে সে অনুযায়ী গাছের সংখ্যা অনেক কম। অথচ বর্তমানে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে এ উপজেলায় তিস্তা সেচ ক্যানেলের পাঁচ কিলোমিটার অংশের গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় লোকজন ও পরিবেশবাদীরা।

বন বিভাগ বলছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড তিস্তা সেচ ক্যানেলের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য চাপ দেওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গাছগুলো কেটে ফেলছে। পাউবোর কর্মকর্তারাও গাছ কাটার কথা স্বীকার করে বলেছেন, সেচ ক্যানেলের ওই অংশে নতুন করে গাছ লাগানো হবে।

তারাগঞ্জ উপজেলা বন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, কোনো এলাকার মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকার কথা থাকলেও তারাগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে তিন ভাগেরও কম বনভূমি। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বনায়ন বৃদ্ধির লক্ষ্যে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কেল্লাবাড়ি থেকে তারাগঞ্জ উপজেলার মিনিটের স-মিল পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে গাছ লাগায় বন বিভাগ। সমিতির মাধ্যমে উপকারভোগী নির্ধারণ করে গাছগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এসব গাছ কেটে ফেলা হলে এ এলাকার বনভূমি ১ শতাংশের নিচে পৌঁছাবে। সবকিছু জানার পরও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উন্নয়নমূলক কাজে গাছগুলো কেটে ফেলার জন্য দরপত্র আহ্বান বন বিভাগ। ইতিমধ্যে চার ভাগের তিন ভাগ গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।

উপকারভোগী, ঠিকাদার ও বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সম্প্রতি সেচ ক্যানেলের পাঁচ কিলোমিটারে লাগানো দেড় সহস্রাধিক গাছ বিক্রি করা হয়। ২২ লাখ ৫৫ হাজার ৯৫০ টাকায় দরপত্রের মাধ্যমে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে গাছগুলো বিক্রি করা হয়। গাছ বিক্রির ৫৫ শতাংশ টাকা উপকারভোগী, পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০ শতাংশ, বন বিভাগ ১০ শতাংশ, সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ ৫ শতাংশ এবং বাকি ১০ শতাংশ গাছ বিক্রির টাকা দিয়ে পুনরায় বনায়ন করার নিয়ম।

আজ সরেজমিনে দেখা যায়, রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের তিস্তা সেচ ক্যানেলের তারাগঞ্জ সেতুর কাছে থেকে কেল্লাবাড়ি পর্যন্ত দুই পাশের সব গাছ কাটা হচ্ছে। শ্রমিকের তাপপ্রবাহের মধ্যে গাছগুলো কেটে ট্রলিতে নিয়ে যাচ্ছেন। যেসব গাছ এখনো কাটা হয়নি, সেগুলোর ছায়ায় বসে শ্রমিক ও পথচারীরা বিশ্রাম নিচ্ছেন।

তিস্তা সেচক্যানেলের উন্নয়ন কাজের জন্য সড়কের দুই পাশের গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রংপুরের তারাগঞ্জের দৌলতপুরে
তিস্তা সেচক্যানেলের উন্নয়ন কাজের জন্য সড়কের দুই পাশের গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রংপুরের তারাগঞ্জের দৌলতপুরে
ছবি: প্রথম আলো

সেখানে কথা হয় পাশের দৌলতপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের সঙ্গে। তারাগঞ্জ তিস্তা সেচ ক্যানেল সেতু থেকে তাঁর বাড়ির দূরত্ব ৫০০ মিটার। মিজানুর রহমান আক্ষেপ করেন, ‘সউগ গাছ কাটি সড়কটাক নাড়িয়া (গাছশূন্য) বানাইছে। তাপোতে নিকাশ খড়ে যাওছে (নিশ্বাস নিতে কষ্টে হচ্ছে), মাটিত পাও থোয়া যাওছে না। বাড়ি থাকি এতোকোনা জায়গা হাটি আসনু, তাতে শরীর কুলাওছে না। কয়দিন আগোতও দুপুরে রাস্তাটা দিয়া হাঁটি গেইলে গাওত বাতাস নাগছিল, এ্যালা খালি আগুন ধরা রইদ নাগোছে। গাছগুলো না কাটলে কি হইল হয়।’

আরেক পথচারী অনন্তপুর গ্রামের ডালিম রায় বলেন, ‘বড় গাছগুলা কাটি ছোট গাছগুলো থুইলেও ছায়া পাইনো হয়। চলাচল করতে রইদ থাকি বাঁচনো হয়। কিন্তু এরা সড়কটাক মরুভূমি বানে থুইল। ফির কদ্দিন গাছ নাগাইবে, তাক কদ্দিন বড় হইবে, তারপর ছায়া পামো। তত দিন রইদোত পুড়ি মরি।’

গাছ কাটা শ্রমিক দলের সরদার শরিফুল ইসলাম বলেন, সোমবার পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে দুই কিলোমিটারের ৭২০টি গাছ কাটা হয়েছে। বাকি গাছগুলো দু–এক দিনের মধ্যে কাটা হবে।

কথা হয় ক্যানেলের পাশে তারাগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী লিমা আক্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সবুজে ভরা সড়কটিতে প্রাণ ভরে নিশ্বাস নিতাম। কলেজ যাওয়ার পথে রোদ-বৃষ্টিতে লুকাতাম। কিন্তু এখন শুধু সূর্যের কড়া তাপ ছাড়া আর কিছু পাওয়া যাবে না।’

তিস্তা সেচ ক্যানেলের গা ঘেঁষে তারাগঞ্জ সরকারি কলেজ, শিশুনিকেতন, তারাগঞ্জ ও/এ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। এ ছাড়া এক কিলোমিটারে মধ্যে আর পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।

তারাগঞ্জ ও/এ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ক্যানেলের দুই ধারে গাছ দেখলে চোখ জুড়িয়ে যেত। হাজারো গাছের ছায়াতলে আশপাশের আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১০টি গ্রামের শত শত শিক্ষার্থী ক্যানেলের সড়ক ধরে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করত। কিন্তু এখন সব কটি গাছ কেটে ফেলায় তাদের চলাচলে কষ্ট হবে।’

তারাগঞ্জের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আমরাও পারি’র সভাপতি আজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘দেড় লাখ মানুষের জন্য মাত্র ৩ শতাংশ বনায়ন যথেষ্ট নয়। তার ওপর কলকারখানার ধোঁয়া-বাতাস দূষিত করছে। এরই মধ্যে দেশে টানা এক মাসের বেশি প্রচণ্ড তাপমাত্রায় বন বিভাগ গাছগুলো উজাড় করছে। এটা অন্যায়, তারাগঞ্জের মানুষের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে। গাছগুলো কাটা বন্ধ করা এখন সময়ের দাবি।’

জানতে চাইলে গাছ ঠিকাদার তৌহিদুল ইসলাম জুয়েল মুঠোফোনে বলেন, ‘টেন্ডারের মাধ্যমে আড়াই মাস আগে গাছগুলো কিনেছি। তাই কাটছি সমস্যা কী? টেন্ডার দেওয়ার সময় বন বিভাগের চিন্তা করা উচিত ছিল। আপনার বন বিভাগের সঙ্গে কথা বলেন।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারাগঞ্জ উপজেলা বন কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান রোকন বলেন, তিস্তা সেচ ক্যানেলের তারাগঞ্জের পাঁচ কিলোমিটার অংশের পানি উন্নয়ন বোর্ড উন্নয়নমূলক কাজ করছে। তাঁরা (পাউবো) গাছগুলো কাটার জন্য বারবার চাপ দিচ্ছিল। তাই ঠিকাদাররা গাছ কাটছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডে সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। আবার সেখানে গাছ লাগানো হবে। তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত ১ হাজার ৫৪৪টি গাছ বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

তারাগঞ্জের ইউএনও রুবেল রানা বলেন, ‘তাপপ্রবাহের মধ্যে গাছগুলো না কাটার জন্য বন বিভাগকে বলেছি।’

এ বিষয়ে কথা হলে পরিবেশবাদী ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদ বলেন, ক্যানেলে দুই দিকে যে পরিমাণ গাছ কেটেছে, সেটাই পরিবেশের ক্ষতি। বাকি যে গাছগুলো আছে, সেগুলোকে কীভাবে টিকিয়ে রাখা যায় সেই পরিকল্পনা নেওয়া উচিত।

এই বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সৈয়দপুর কার্যালয়ের উপপ্রকৌশলী রাউফুল হাসান মুঠোফোনে বলেন, তিস্তা সেচ ক্যানেলে উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। সে কারণে গাছগুলো কাটা হচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী গাছগুলো কাটার সময়ও হয়েছে। চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ফের গাছ লাগানো হবে।

পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ঢাকা, ২৯ এপ্রিল
পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ঢাকা, ২৯ এপ্রিলছবি: সংগৃহীত

গুজব ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার সকালে পুলিশ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলাম এই নির্দেশনা দেন।

অতিরিক্ত আইজিপি মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, এই ধরনের কোনো গুজব ছড়ালে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ছাড়া গুজব প্রতিরোধে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ি কোনো অবস্থাতেই চলতে দেওয়া যাবে না। তিনি ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেন।

অপরাধ পর্যালোচনা সভায় হারানো মুঠোফোন উদ্ধারে তৎপরতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন অতিরিক্ত আইজিপি। তিনি বলেন, পুরোনো ফোন কেনাবেচার জায়গায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে হবে।

সভায় ডাকাতির মামলা গুরুত্বসহ তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিচার নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়। এ ছাড়া পুলিশ হত্যা মামলার তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন এবং প্রসিকিউশন কার্যক্রম মনিটর (তদারকি) করার জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এই সভায় সব মহানগর পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপার অনলাইনে অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

রাজধানীর গাবতলী পশুর হাট
রাজধানীর গাবতলী পশুর হাটছবি: প্রথম আলো

রাজধানীর ‘গাবতলী গবাদিপশুর হাট’ ইজারার দরপ্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হয়েছিলেন চলচ্চিত্র প্রযোজক ও অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ওরফে ডিপজল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে ইজারামূল্যের পুরো টাকা পরিশোধ করেননি। এরই মধ্যে হাট দখলে নিয়ে তাঁর কর্মীদের দিয়ে হাসিল আদায় করছেন তিনি।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কর্মকর্তারা বলছেন, পুরো টাকা পরিশোধ না করায় ডিপজলকে এখনো কার্যাদেশ প্রদান ও হাট হস্তান্তর করা হয়নি। তাঁদের দাবি, হাটে করপোরেশনের নিজস্ব কর্মীরা হাসিল আদায় করছেন।

গাবতলী পশুর হাটের ইজারা দিতে (বাংলা ১৪৩১ সনের জন্য) গত ২ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞপ্তি দেয় ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগ। দরপত্রে অংশ নেওয়া দুই ব্যক্তির মধ্যে ডিপজলের প্রস্তাবিত ইজারামূল্য ছিল সর্বোচ্চ, ১৭ কোটি ১২ লাখ ১৫ হাজার টাকা। আর আগের ইজারাদার লুৎফর রহমান দর দিয়েছিলেন ১৬ কোটি ২০ লাখ টাকা।

হাটের ইজারাসংক্রান্ত কিংবা ডিপজলের টাকা পরিশোধ না করেই হাট দখলে নেওয়ার মতো অনিয়মগুলো লুকাতে সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তা ও অন্য কর্মীদের রাখঢাক করার বিষয়টি ছিল স্পষ্ট। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উত্তর সিটির ঊর্ধ্বতন দুই কর্মকর্তা জানান, বিভাগীয় প্রধান হিসেবে মাহে আলমের সুযোগ ছিল ডিপজলের জামানত বাজেয়াপ্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার।

দরপত্র যাচাই শেষে সর্বোচ্চ দরদাতা ডিপজলকে ইজারামূল্যের সঙ্গে অন্যান্য ফি পরিশোধ করতে গত ২১ মার্চ চিঠি দেয় ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগ। চিঠিতে দরপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া জামানতের ৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা বাদে আরও ১৭ কোটি ২৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকা সাত কার্যদিবসের মধ্যে পরিশোধ করতে বলা হয়।

কিন্তু ডিপজল নির্ধারিত সময়ে পুরো টাকা পরিশোধ না করে গত ৩১ মার্চ উত্তরের মেয়র বরাবর টাকা জমা দেওয়ার সময় বাড়ানোর আবেদন করেন। সময় চান হাট হস্তান্তরের আগের দিন, অর্থাৎ গত ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত (চৈত্র মাসের ৩০ তারিখ)। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যেও পুরো টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হন ডিপজল।

টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে দরদাতার জামানত বাজেয়াপ্ত করার বিষয় দরপত্র বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ ছিল। বিজ্ঞপ্তির ১২ নম্বরে উল্লেখ আছে, দরপত্র গৃহীত হওয়ার ৭ দিনের মধ্যে দরমূল্য (জামানত বাদে বাকি টাকা), অনুমোদিত দরের ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর, ১০ শতাংশ আয়কর, ইজারামূল্যের ওপর ৫ শতাংশ জামানত (ফেরতযোগ্য) পে-অর্ডার করে জমা দিতে হবে। ব্যর্থ হলে দরপত্রের সঙ্গে দেওয়া দরমূল্যের ৩০ শতাংশ জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত করা হবে।

করি নাই (টাকা পরিশোধ), করব। এটা আমি সিটি করপোরেশনকে বলব। আপনি কে? আমি টাকা পরিশোধ করি বা করি না, এটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
ডিপজল, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও অভিনেতা

সব মিলিয়ে হাটের ইজারা পেতে ডিপজলের পরিশোধ করার প্রয়োজন ছিল ২২ কোটি ৪০ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। কিন্তু সিটি করপোরেশন ডিপজলের জামানত বাজেয়াপ্ত করেনি।

হাট দখল করে হাসিল আদায়

রাজধানীর গাবতলী পশুর হাট  
রাজধানীর গাবতলী পশুর হাট
ছবি: প্রথম আলো

গত ২৯ এপ্রিল দুপুরে গাবতলী হাটে গিয়ে দেখা যায়, ডিপজলের নিয়োজিত কর্মীরা হাট পরিচালনা করছেন। পশু কিনতে আসা ব্যবসায়ী, কসাই ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আদায় করছেন হাসিলের টাকাও। সেখানে করপোরেশনের কর্মীদের কাউকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়নি।

হাটের প্রবেশপথে হাসিল আদায় করার নির্মাণাধীন কক্ষের দেয়ালে ছিল একটি ব্যানার টানানো। তাতে লেখা, ইজারাসূত্রে মালিক ‘আলহাজ মনোয়ার হোসেন ডিপজল’। পাশের আরেকটি কক্ষে হাসিল আদায় করছিলেন এক ব্যক্তি।

দেওয়ান মোহাম্মদ ইকরাম হোসেন নামের ওই ব্যক্তি নিজেকে ডিপজলের ভাতিজা বলে পরিচয় দেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, হাটের বর্তমান ইজারাদার তাঁর চাচা ডিপজল। সিটি করপোরেশন গত ১৫ এপ্রিল তাঁদের কাছে হাট বুঝিয়ে দিয়েছে। ওই দিন থেকেই তাঁরা হাসিল আদায় করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সম্পত্তি বিভাগের একজন কর্মী প্রথম আলোকে জানান, ডিপজলের লোকেরাই হাট চালাচ্ছেন। হাটে হাসিল আদায়ের বিষয়ে তাঁদের কাউকে কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি।  

তথ্য প্রদানে অসহযোগিতা

ইজারার তথ্য জানতে গত বুধবার এই প্রতিবেদক যান উত্তর সিটির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মাহে আলমের কাছে। তিনি কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি। পরে জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসেনের মাধ্যমে লিখিত প্রশ্ন পাঠানো হয়। জনসংযোগ কর্মকর্তাকেও তিনি কোনো তথ্য দেননি।

হাট ইজারা নিতে ডিপজল মোট কত টাকা পরিশোধ করেছেন, কত টাকা এখনো বকেয়া আছে, কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে কি না, কবে হাট বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, বকেয়া টাকা পরিশোধে কত দিনের সময় দেওয়া হয়েছে—এসব তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছিল।

হাটের ইজারাসংক্রান্ত কিংবা ডিপজলের টাকা পরিশোধ না করেই হাট দখলে নেওয়ার মতো অনিয়মগুলো লুকাতে সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তা ও অন্য কর্মীদের রাখঢাক করার বিষয়টি ছিল স্পষ্ট। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উত্তর সিটির ঊর্ধ্বতন দুই কর্মকর্তা জানান, বিভাগীয় প্রধান হিসেবে মাহে আলমের সুযোগ ছিল ডিপজলের জামানত বাজেয়াপ্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার।  

হাট হস্তান্তরে আদালতের নির্দেশ

নির্ধারিত সময়ে ডিপজল পুরো টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে গত ৪ এপ্রিল ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম ও প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মাহে আলমের কাছে হাট ইজারা নিতে আবেদন করেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা লুৎফর রহমান। আবেদনে তিনি ডিপজলের দেওয়া সর্বোচ্চ দরটাই পরিশোধ করে ইজারা নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু করপোরেশন থেকে কোনো সাড়া পাননি তিনি।

পরে উচ্চ আদালতে হাটের ইজারা নিয়ে একটি রিট করেন লুৎফর রহমান। গত ২৩ এপ্রিল রিটের নিষ্পত্তি করেন আদালত। আদেশে লুৎফর রহমানকে সর্বোচ্চ দর ১৭ কোটি ১২ লাখ ১৫ হাজার টাকা জমা দেওয়ার অনুমতি দিতে এবং ১৪৩১ সনের জন্য তাঁর কাছে হাটটি হস্তান্তর করতে বলা হয়। রিটের বিবাদী উত্তর সিটির মেয়র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তাকে এ নির্দেশ দেন আদালত।

লুৎফর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আদালতের রায়ের অনুলিপি ও হাটের জন্য ব্যাংক পে-অর্ডারের সঙ্গে একটি আবেদন নিয়ে গত ৩০ এপ্রিল তিনি সিটি করপোরেশনে গিয়েছিলেন। মেয়র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা—কোনো দপ্তরেই তাঁর আবেদন গ্রহণ করা হয়নি।


নির্মাণাধীন হাসিল আদায় কক্ষ  
নির্মাণাধীন হাসিল আদায় কক্ষ
ছবি: প্রথম আল

উত্তর সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ইজারাদারকে এখনো কার্যাদেশ দেওয়া হয়নি। কারণ, কিছু টাকা বাকি আছে। ওই টাকা যত দ্রুত সম্ভব পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। অবিলম্বে টাকা জমা না দিলে তাঁকে হাট ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করা হবে। হাটটি বর্তমানে খাস আদায় পদ্ধতিতে পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

ডিপজলের হাট দখল ও তাঁর কর্মীদের মাধ্যমে পরিচালনা করার বিষয়টি জানানো হলে মীর খায়রুল আলম বলেন, ‘আমাদের লোক হাসিল আদায় করছে। দৈনিক ভিত্তিতে টাকা জমা হচ্ছে। যদি ওই রকম কিছু হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই বিষয়টি দেখা হবে।’ আদালতের রায়সংক্রান্ত কোনো কাগজ তাঁরা পাননি বলেও জানান তিনি।

এদিকে কার্যাদেশ ছাড়াই হাট দখল ও পরিচালনার বিষয়ে বক্তব্য জানতে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ও সন্ধ্যায় একাধিকবার ডিপজলের মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। পরিচয় দিয়ে খুদে বার্তাও পাঠানো হয়। পরে প্রতিবেদককে ফোন করে তিনি গতকাল শনিবার এফডিসিতে সরাসরি দেখা করে কথা বলবেন বলে জানান।


গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ডিপজলের মুঠোফোনে আবারও বার্তা পাঠিয়ে গতকাল দেখা করার সময় জানতে চাওয়া হয়। তবে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। তাই গতকাল সকাল ১০টার কিছু পর তাঁর মুঠোফোনে কল করে সময় জানতে চান এই প্রতিবেদক। তখন তিনি জানান, এফডিসির সভা স্থগিত করা হয়েছে। তাই তিনি সেখানে যাবেন না।

পরে হাটের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে উত্তেজিত হয়ে ডিপজল বলেন, ‘গাবতলী হাট নিয়ে আপনার কিসের দরকার? সিটি করপোরেশন জানে, আমি দিছি (ইজারার টাকা) কি দেই নাই। আমার টাকা ক্লিয়ার।’ এ সময় উত্তেজিত হয়ে ‘রাখেন টেলিফোন’ বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি।

পুরো বক্তব্য জানতে ডিপজলকে আবার ফোন করা হয়। তখন তিনি বলেন, ‘করি নাই (টাকা পরিশোধ), করব। এটা আমি সিটি করপোরেশনকে বলব। আপনি কে? আমি টাকা পরিশোধ করি বা করি না, এটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার।’



The old man peered from under his green leaf at the danger, and stood as quietly as the boy. For a few seconds this mutual scrutinizing went on; then, the bear betraying a growing irritability, the boy, with a movement of his head, indicated that the old man must step aside from the trail and go down the embankment. The boy followed, going backward, still holding the bow taut and ready. They waited till a crashing among the bushes from the opposite side of the embankment told them the bear had gone on. The boy grinned as he led back to the trail.

"A big un, Granser," he chuckled.

The old man shook his head.

"They get thicker every day," he complained in a thin, undependable falsetto. "Who'd have thought I'd live to see the time when a man would be afraid of his life on the way to the Cliff House. When I was a boy, Edwin, men and women and little babies used to come out here from San Francisco by tens of thousands on a nice day. And there weren't any bears then. No, sir. They used to pay money to look at them in cages, they were that rare."

"What is money, Granser?"

Before the old man could answer, the boy recollected and triumphantly shoved his hand into a pouch under his bear-skin and pulled forth a battered and tarnished silver dollar. The old man's eyes glistened, as he held the coin close to them.

"I can't see," he muttered. "You look and see if you can make out the date, Edwin."

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে আজ শনিবার দুপুরে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন মির্জা আব্বাস
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে আজ শনিবার দুপুরে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন মির্জা আব্বাসছবি: প্রথম আলো

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না দেওয়াকে আরেকটা ফাঁদ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বর্তমান সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ফাঁদ পেতেছিলেন, বিএনপিকে নির্বাচনে নেবেন। কিন্তু বিএনপি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না, সেই নির্বাচনের প্রয়োজন বাংলাদেশে নেই।’

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশীদের মুক্তির দাবিতে এ কর্মসূচি আয়োজন করে হাবিবুর রশীদ মুক্তি পরিষদ।

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে পারেন, রাজতন্ত্র ঘোষণা দিতে পারেন, কিন্তু নির্বাচনের কথা আপনাদের মুখে মানায় না। ৭ জানুয়ারি কি লোকজন ভোট দিতে গিয়েছিল? এবারও (উপজেলা নির্বাচনে) যাবে না।’

উপজেলা নির্বাচনে নিজেরাই নিজেদের প্রার্থীদের দাঁড়াতে দিচ্ছে না এমন কয়েকটি ঘটনার উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিএনপি দাঁড়ালে কী অবস্থা হতো! আমাদের সিদ্ধান্ত সঠিক আছে, সঠিক থাকবে।’

বর্তমানে ‘স্বৈরশাসন’ চলছে অভিযোগ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘জনরোষের মুখে একদিন না একদিন এই সরকারের পতন ঘটবেই। এটা কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। গ্রেপ্তার করে বিশ্বে কোনো আন্দোলন থামানো গেছে বলে জানা নেই।’

বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা আরও বলেন, ‘আমরা আন্দোলন করছি, আন্দোলন হবে, মুক্ত হবে দেশ—আমি দেখতে পারব কি না, জানি না। কিন্তু কেউ না কেউ আসবে দেশকে মুক্ত করার জন্য। আমাদের নেতা তারেক রহমান একদিন দেশে ফেরত আসবেন। জনরোষের মুখে এই সরকারের যখন পতন হবে, তখন তিনি দেশে ফেরত আসবেন, নেতৃত্ব দেবেন দেশকে।’


আজ দেশের ‘করুণ অবস্থা’ সম্পর্কে আওয়ামী লীগ ছাড়া সবাই জানে বলে মনে করেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি জানেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা। তাঁর বাসায় প্রতিদিন কমবেশি ৫০–১০০ জন আসেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কেউ বলে আমার বাবা জেলে, কেউ বলে সন্তান জেলে, কেউ বলে ভাই জেলে, কেউ বলে স্বামী জেলে।’

খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য ‘যুদ্ধ করতে করতে মৃত্যুর পথে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন’ বলে মনে করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘তাঁকে মুক্তি দিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে বলেছি। তাঁর অবস্থা ভালো নয়। তাঁরা (ক্ষমতাসীন দলের নেতারা) বলেন আইন নেই। আইন থাকবে না কেন? রাশেদ খান মেননকে বিদেশে পাঠানো হয় নাই? আ স ম আবদুর রবকে বিদেশে পাঠানো হয় নাই? আ স ম রবকে বন্দী অবস্থায় বিদেশে পাঠানো হয়েছিল।’


খালেদা জিয়া দেশের সর্বনাশ করে গেছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তা ঠিকঠাক করছেন—ক্ষমতাসীন দলের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘কী ঠিক করছেন, জানা নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের দিকে নজর দেন, টাকাপয়সা নাই।

কয়েকজন লোকের দিকে নজর দেন, পেট বড় হয়ে গেছে। হাজার হাজার, লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। ওই উন্নয়ন চুরির উন্নয়ন, দেশের মানুষ মেনে নেবে না।’
সরকারকে উৎখাত করা নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বক্তব্যের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আমরা তো সরকার দেখি না। এই সরকারকে উৎখাত করা বা রাখার দায়দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না। জনগণ যখন মনে করবে, তখন লাঠি দিয়ে এই সরকারকে ফেলে দেবে।’

কর্মসূচিতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দলের নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ একসাথে চালাতে হবে। না হলে হাবিবুর রশীদের মতো অনেককে জেলে যেতে হবে। সুশাসন, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে সর্বশেষ লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্যসচিব রফিকুল আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না প্রমুখ।

পূর্বধলায় ওষুধ কোম্পানির গাড়ির ধাক্কায় মাছ ব্যবসায়ী নিহত

পূর্বধলায় ওষুধ কোম্পানির গাড়ির ধাক্কায় মাছ ব্যবসায়ী নিহত

 

নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার লালমিয়ার বাজার নামক স্থানে ওষুধ কোম্পানির গাড়ির ধাক্কায় রিয়াজ উদ্দিন (৬৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি আঞ্চলিক মহাসড়কের নারায়নডহর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রিয়াজ উদ্দিন জারিয়া ইউনিয়নের বাড়হা পশ্চিম পাড়া এলাকার মৃত শেখ জামির উদ্দিনের ছেলে। রিয়াজ উদ্দিন পেশায় একজন মাছ ব্যবসায়ী ছিলেন।

জানা যায়, রোববার উপজেলার নারায়নডহর এলাকা থেকে মাছ কিনে তার নিজের ভ্যানে করে বাড়ি ফিরছিলেন। এমন সময় পেছন থেকে এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের একটি পিক-আপ তাকে ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওষুধ কোম্পানির পিক-আপটিও জব্দ করা হয়েছে।

কেন্দুয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক শিশুর মৃত্যুনেত্রকোণার কেন্দুয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আফরিন নামের এক বছরের কন্যা শিশুর মৃত্যু মারা গেছে।

আজ শনিবার (৪ মে) দুপুরের উপজেলার চেংজানা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশু আফরিন উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের খায়রুল ইসলামের মেয়ে।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ঘরের মোটরের জোড়া লাগানো তারে শিশুটি হাত দিলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। বাড়ির লোকজন শিশুটিকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে সান্দিকোনা ইউপির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক ও দুঃখজনক।

কেন্দুয়া থানার ওসি এনামুল হক জানান, বিদ্যুৎপৃষ্টে চেংজানা গ্রামে আফরিন নামের এক শিশু মারা গেছে। এ ব্যাপারে থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


Sakib May 18, 2014
কেন্দুয়ায় মোবাইল চুরির ঘটনা জানাজানি হওয়ার জের ধরে হামলা ভাংচুরের অভিযোগ

মোবাইল চুরির ঘটনা জানাজানি হওয়ার জের ধরে হামলা ভাংচুরের অভিযোগ

 

একটি মোবাইল চুরির বিষয়টি জানা জানি হওয়ার পর গ্রাম্য সালিশিতে সত্য সাক্ষ্য প্রদান করায় স্বাক্ষীদ্বয়ের উপর হামলা দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে কেন্দুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া গ্রামের মৃত সমর আলীর ছেলে মো: আক্কাছ মিয়া ও পাইকুড়া গ্রামের মৃত তুফানির ছেলে জাহেদ কেন্দুয়া থানায় ১৬ জনের বিরোদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে জানা যায় একটি মোবাইল চুরির ঘটনা জানাজানি হয়ে যাওয়ায় এ নিয়ে গ্রাম সালিশি বসে। ওই গ্রাম সালিশিতে আক্কাছ মিয়া ও কামাল সত্য সাক্ষ্য প্রদান করায় তাদেরকে পথে ঘাটে অপমানসহ দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে করে আসছিলো ওই গ্রামের মৃত জাফর আলী ফকিরের ছেলে ফারুক গংরা। এরই মধ্যে গত ১৫ ই এপ্রিল দেশীয় অস্ত্রে শস্ত্রে সজিত হয়ে আক্কাছ ও
অন্যান্য লোকদের উপর পরিকল্পিত হামলা চালায়। আক্কাছ মিয়া অভিযোগ করে বলেন হামলাকারীরা তার মনোহারী দোকানপাট ভাংচুর করে এবং কিছু নগদ টাকাও নিয়ে যায়।

এ ঘটনা মিমাংসার লক্ষ্যে গত ১৬ই এপ্রিল স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও কমিউনিটি পুলিশের পক্ষ্য থেকে উদ্যোগ করা করা হয়। কিন্তু আক্কাছ মিয়ার অভিযোগ মিমাংসার প্রস্তাব পেয়ে তারা সালিশেতে বসতে রাজি থাকলেও প্রতিপক্ষ্যের জাহেদ, ফারুক, ইসলাম উদ্দিন গংরা সালিশে বসার আগের দিনেই আক্কাছ মিয়া ও তাদের লোকদের উপর হামলা চালায়। এলোপাতারি হামলায় আক্কাছ ও তার গ্রুপের লোকজন গুরুতর আহত হয়। আক্কাছ এই ঘটনার জন্য দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রদানের দাবী জানান।

এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আলী হোসেন পিপিএম বলেন, ঘটনা ঘটার পর আমরা সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করতে চেয়েছিলাম কিন্তু এক পক্ষ যদি মিমাংসায় বসতে রাজি হয়ে পরবর্তীতে গ্রাম সালিশ বৈঠকের আগেই প্রতিপক্ষের লোকদের উপর হামলা চালায় সে ক্ষেত্রে আইনী কঠিন প্রদক্ষেপ ছাড়া আর কী করা আছে? মিমাংসার প্রস্তাব না মানার কারণে আর মিমাংসা হয়নি। তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে ফারুকের সাথে যোগাযোগের চেষ্ঠা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

[random][fbig2][#e74c3c]
Powered by Blogger.