চোর চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে উদ্ধার করা আগ্নেয়াস্ত্র এবং এসব অবৈধ অস্ত্রের মালিক মো. শাহীন
চোর চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে উদ্ধার করা আগ্নেয়াস্ত্র এবং এসব অবৈধ অস্ত্রের মালিক মো. শাহীনছবি: সংগৃহীত

ঈদের ছুটিতে পুরান ঢাকার ইসলামবাগের একটি বাসায় হওয়া চুরির ঘটনার তদন্তে নেমে চোর চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁদের বেশির ভাগেরই চোর হিসেবে পুলিশের তালিকায় নাম রয়েছে। কিন্তু এই চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে ৫টি অবৈধ অস্ত্র ও ৩৯টি গুলি উদ্ধার করেন তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

অস্ত্রগুলোর মধ্যে চারটি বিদেশি পিস্তল এবং দেশে তৈরি একটি আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। সাধারণ চুরির ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের কাছে এসব অস্ত্র কীভাবে এল, সে প্রশ্ন দেখা দেয় পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে। তদন্তে বেরিয়ে আসে, এক বছর আগে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকার একটি বাসা থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকারের সঙ্গে এসব আগ্নেয়াস্ত্র চুরি করেছিলেন চক্রের সদস্যরা। পরে ওই বাসার মালিক মো. শাহীনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ রোববার বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) খ মহিদ উদ্দিন। তিনি বলেন, শাহীনের বাসায় চুরির ঘটনা ঘটলেও তিনি থানায় কোনো মামলা করেননি। কারণ, অস্ত্রগুলো ছিল অবৈধ।

ঘটনাটি পুলিশের কাছে স্পষ্ট হওয়ার পর ২২ থকে ২৭ এপ্রিল টানা পাঁচ দিন ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে শাহীন ও তাঁর চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য ব্যক্তিরা হলেন মো. রাজীব হোসেন ওরফে রানা (২৮), মো. আবুল হাসান ওরফে সুজন (২৫), মো. পারভেজ নুর (৩৮) ও মানিক চন্দ্র দাস (৩৬)। পুলিশ বলছে, এই চক্রের আরও দুই সদস্য রশিদ মিয়া (৪৬) ও হাসান শাহারিয়ার পাপ্পু (৩৫) পলাতক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রশিদ বিদেশে আছেন। আর দেশে থাকা শাহারিয়ারকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে রাজীবের বিরুদ্ধে ১০টি মামলা, হাসানের বিরুদ্ধে ১টি, মানিকের বিরুদ্ধে ৪টি ও পারভেজের বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে। বর্তমানে তাঁরা পুলিশের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে রয়েছেন।

গত এক বছরে এই অস্ত্রগুলো নানা কৌশলে হাতবদল হয়েছে উল্লেখ করে পুলিশ কর্মকর্তা মহিদ উদ্দিন বলেন, সাধারণত কোনো চক্র যখন গড়ে ওঠে, তখন তারা নানা সরঞ্জাম সংগ্রহ করে বড় ধরনের কাজ করে থাকে। তেমনি এই অস্ত্রগুলোর অপব্যবহারের সুযোগ ছিল। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে, তাতে অস্ত্রগুলো একাধিকবার হাতবদল হয়েছে। কেনা-বেচা হয়েছে। কিন্তু অস্ত্রগুলোর কোনো ধরনের অপব্যবহারের তথ্য পাওয়া যায়নি।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির এই অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, শাহীন এসব অবৈধ অস্ত্র কোথা থেকে সংগ্রহ করেছেন, কী কারণে সংগ্রহ করেছিলেন, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

ছেলের চুরির সহযোগী মা

গত ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ১২ এপ্রিল ইসলামবাগের বাসায় চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. মামুন (৩৪) ও তাঁর মা হাসিনা বেগম (৫৭), মো. মিরাজ হোসেন (৩৫), মো. সায়মন (৩০), অমিত হাসান ইয়াসিন (২১), বরুন (৫০) ও জামিলা খাতুন হ্যাপি (১৮)।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তা মহিদ উদ্দিন বলেন, মামুন দীর্ঘদিন ধরে চকবাজার এলাকায় চুরি করেন। এ কাজে মামুনের অন্যতম সহযোগী তাঁর মা হাসিনা বেগম। তাঁরা স্থানীয়ভাবেই চোর হিসেবে পরিচিত। চুরির মামলায় তাঁরা একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েছেন। মামুনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ২২টি মামলা রয়েছে। চুরির জন্য মামুনের ১০ থেকে ১২ জনের বাহিনী রয়েছে।

৩৩ ভরি সোনা চুরির মূল পরিকল্পনাকারী মোবারককে মোংলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি
৩৩ ভরি সোনা চুরির মূল পরিকল্পনাকারী মোবারককে মোংলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবিছবি: সংগৃহীত

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গত দুই দিন অভিযান চালিয়ে সিঁধেল চোর চক্রের ৩৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬১ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ প্রায় আট লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এ সময় ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন–অর–রশীদ বলেন, ঈদের আগে ও পরে ঢাকা মহানগরে কয়েকটি সিঁধেল চুরির ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় কয়েকটি মামলা হয়। এরপর চোর ধরতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে ডিবি।

হারুন–অর–রশীদ আরও বলেন, সিঁধেল চুরির ঘটনায় গত ৮ এপ্রিল ওয়ারী থানায় একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী। মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৮ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিলের মধ্যে যেকোনো সময় অভয় দাস লেনের একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলার বাসায় গ্রিল কেটে ঢুকে সাড়ে ৩৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও ৩০০ ডলার চুরি হয়। এ সময় বাসায় কেউ ছিল না। মামলার পর ডিবির ওয়ারী অঞ্চলের দল ঘটনাস্থলসহ আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তদন্ত করে চোরদের শনাক্ত করে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন–অর–রশীদ। ঢাকা, ২ মে
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন–অর–রশীদ। ঢাকা, ২ মে
ছবি: সংগৃহীত

এরপর বাগেরহাটের মোংলা থানার পশুর নদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চুরির মূল পরিকল্পনাকারী মো. মোবারক ওরফে মগাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। অপরদিকে নেত্রকোনা থেকে চুরির অভিযোগে রাকিব মিয়া নামের আরেক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। চুরি করা স্বর্ণালংকার ও ডলার বিক্রির টাকা দিয়ে মোবারক ও রাকিব তাঁদের আরও আটজন বন্ধু মিলে কক্সবাজার বেড়াতে যান। আর মোবারক তাঁর এক বান্ধবীকে একটি মুঠোফোন কিনে দেন। এ ছাড়া চুরির সঙ্গে জড়িত আরও ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ২০ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। তাঁরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন–অর–রশীদ।

হারুন-অর-রশীদ আরও বলেন, ধানমন্ডির একটি বাসায় গ্রিল কেটে চুরির ঘটনায় গত ১৯ এপ্রিল ধানমন্ডি মডেল থানায় আরেকটি মামলা হয়। ওই বাসা থেকে ৪১ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৩৭ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়। মামলাটি তদন্তের সময় ডিবির রমনা বিভাগের ধানমন্ডি দল অনুসন্ধান ও সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে। এরপর ২৬ এপ্রিল ঢাকাসহ কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় অভিযান চালিয়ে চুরির ঘটনায় জড়িত গিয়াস উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চুরি করা স্বর্ণালংকার, নগদ ৭ লাখ টাকা ও চুরিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়।

এ ছাড়া সিঁধেল চোরদের গ্রেপ্তারে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে ডিবি মতিঝিল বিভাগ ১৪ জন, লালবাগ বিভাগ ৩ জন, গুলশান বিভাগ ৩ জন ও মিরপুর বিভাগ ২ জনকে গ্রেপ্তার করে।

The old man peered from under his green leaf at the danger, and stood as quietly as the boy. For a few seconds this mutual scrutinizing went on; then, the bear betraying a growing irritability, the boy, with a movement of his head, indicated that the old man must step aside from the trail and go down the embankment. The boy followed, going backward, still holding the bow taut and ready. They waited till a crashing among the bushes from the opposite side of the embankment told them the bear had gone on. The boy grinned as he led back to the trail.

"A big un, Granser," he chuckled.

The old man shook his head.

"They get thicker every day," he complained in a thin, undependable falsetto. "Who'd have thought I'd live to see the time when a man would be afraid of his life on the way to the Cliff House. When I was a boy, Edwin, men and women and little babies used to come out here from San Francisco by tens of thousands on a nice day. And there weren't any bears then. No, sir. They used to pay money to look at them in cages, they were that rare."

"What is money, Granser?"

Before the old man could answer, the boy recollected and triumphantly shoved his hand into a pouch under his bear-skin and pulled forth a battered and tarnished silver dollar. The old man's eyes glistened, as he held the coin close to them.

"I can't see," he muttered. "You look and see if you can make out the date, Edwin."

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের স্থায়ী পর্যবেক্ষক রিয়াদ মনসুর ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ (ডানে) বৈঠক করেন
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের স্থায়ী পর্যবেক্ষক রিয়াদ মনসুর ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ (ডানে) বৈঠক করেনছবি: পিআইডি

আন্তর্জাতিক ফোরামে ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের স্থায়ী পর্যবেক্ষক রিয়াদ মনসুর। গতকাল শুক্রবার গাম্বিয়ায় স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি এ অনুরোধ জানান।

আজ শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ওআইসির ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। গতকাল ছিল সম্মেলনের প্রাক্‌-প্রস্তুতিমূলক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সভা। সেই সভার ফাঁকে রিয়াদ মনসুরের সঙ্গে বৈঠকটি হয়।

বৈঠকে রিয়াদ মনসুর ফিলিস্তিনের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান। জবাবে হাছান মাহমুদ ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনের কথা তাঁকে অবহিত করেন।

ফিলিস্তিনি সাধারণ জনগণের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসন স্থায়ীভাবে নিরসনের লক্ষ্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ওআইসির সদস্যদেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন হাছান মাহমুদ।

বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, সৌদি আরবে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ও ওআইসিতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, গাম্বিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত নাইজেরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদুর রহমান এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ অনুবিভাগের মহাপরিচালক ওয়াহিদা আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে আজ শনিবার দুপুরে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন মির্জা আব্বাস
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে আজ শনিবার দুপুরে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন মির্জা আব্বাসছবি: প্রথম আলো

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না দেওয়াকে আরেকটা ফাঁদ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বর্তমান সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ফাঁদ পেতেছিলেন, বিএনপিকে নির্বাচনে নেবেন। কিন্তু বিএনপি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না, সেই নির্বাচনের প্রয়োজন বাংলাদেশে নেই।’

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশীদের মুক্তির দাবিতে এ কর্মসূচি আয়োজন করে হাবিবুর রশীদ মুক্তি পরিষদ।

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে পারেন, রাজতন্ত্র ঘোষণা দিতে পারেন, কিন্তু নির্বাচনের কথা আপনাদের মুখে মানায় না। ৭ জানুয়ারি কি লোকজন ভোট দিতে গিয়েছিল? এবারও (উপজেলা নির্বাচনে) যাবে না।’

উপজেলা নির্বাচনে নিজেরাই নিজেদের প্রার্থীদের দাঁড়াতে দিচ্ছে না এমন কয়েকটি ঘটনার উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিএনপি দাঁড়ালে কী অবস্থা হতো! আমাদের সিদ্ধান্ত সঠিক আছে, সঠিক থাকবে।’

বর্তমানে ‘স্বৈরশাসন’ চলছে অভিযোগ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘জনরোষের মুখে একদিন না একদিন এই সরকারের পতন ঘটবেই। এটা কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। গ্রেপ্তার করে বিশ্বে কোনো আন্দোলন থামানো গেছে বলে জানা নেই।’

বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা আরও বলেন, ‘আমরা আন্দোলন করছি, আন্দোলন হবে, মুক্ত হবে দেশ—আমি দেখতে পারব কি না, জানি না। কিন্তু কেউ না কেউ আসবে দেশকে মুক্ত করার জন্য। আমাদের নেতা তারেক রহমান একদিন দেশে ফেরত আসবেন। জনরোষের মুখে এই সরকারের যখন পতন হবে, তখন তিনি দেশে ফেরত আসবেন, নেতৃত্ব দেবেন দেশকে।’


আজ দেশের ‘করুণ অবস্থা’ সম্পর্কে আওয়ামী লীগ ছাড়া সবাই জানে বলে মনে করেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি জানেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা। তাঁর বাসায় প্রতিদিন কমবেশি ৫০–১০০ জন আসেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কেউ বলে আমার বাবা জেলে, কেউ বলে সন্তান জেলে, কেউ বলে ভাই জেলে, কেউ বলে স্বামী জেলে।’

খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য ‘যুদ্ধ করতে করতে মৃত্যুর পথে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন’ বলে মনে করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘তাঁকে মুক্তি দিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে বলেছি। তাঁর অবস্থা ভালো নয়। তাঁরা (ক্ষমতাসীন দলের নেতারা) বলেন আইন নেই। আইন থাকবে না কেন? রাশেদ খান মেননকে বিদেশে পাঠানো হয় নাই? আ স ম আবদুর রবকে বিদেশে পাঠানো হয় নাই? আ স ম রবকে বন্দী অবস্থায় বিদেশে পাঠানো হয়েছিল।’


খালেদা জিয়া দেশের সর্বনাশ করে গেছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তা ঠিকঠাক করছেন—ক্ষমতাসীন দলের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘কী ঠিক করছেন, জানা নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের দিকে নজর দেন, টাকাপয়সা নাই।

কয়েকজন লোকের দিকে নজর দেন, পেট বড় হয়ে গেছে। হাজার হাজার, লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। ওই উন্নয়ন চুরির উন্নয়ন, দেশের মানুষ মেনে নেবে না।’
সরকারকে উৎখাত করা নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বক্তব্যের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আমরা তো সরকার দেখি না। এই সরকারকে উৎখাত করা বা রাখার দায়দায়িত্ব বিএনপি বহন করে না। জনগণ যখন মনে করবে, তখন লাঠি দিয়ে এই সরকারকে ফেলে দেবে।’

কর্মসূচিতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দলের নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ একসাথে চালাতে হবে। না হলে হাবিবুর রশীদের মতো অনেককে জেলে যেতে হবে। সুশাসন, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে সর্বশেষ লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্যসচিব রফিকুল আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না প্রমুখ।

রাতে সুরা মুলক পাঠের ফজিলত ও গুরুত্ব

সুরা মুলক পবিত্র কোরআনের ৬৭তম সুরা। এটি মক্কায় অবতীর্ণ। এর ২ রুকু, ৩০ আয়াত। আল্লাহ সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী এবং সর্বশক্তিমান। তিনি মানুষকে দিয়েছেন দেখার ও শোনার শক্তি ও বিবেক। অথচ তারা অল্পই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।

এ সুরা পাঠের ফজিলত সীমাহীন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোরআনে এমন একটি সুরা আছে, যার আয়াত ৩০টি। এই সুরা যে পাঠ করবে, সেই ব্যক্তির জন্য সুরাটি সুপারিশ করবে এবং তাঁকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। সুরাটি হলো তাবারাকাল্লাজি বিয়াদিহিল মুলকু (সুরা মুলক)। (সুনানে আত-তিরমিজি, ২৮৯১)

প্রতি রাতের যেকোনো সময় সুরা মুলক তিলাওয়াত করা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। তিরমিজি শরিফের ২,৮৯২ নম্বর হাদিস অনুযায়ী, রাসুলুল্লাহ (সা.) সুরা আস-সাজদা ও সুরা মুলক তিলাওয়াত না করে কোনো দিন ঘুমাতেন না।

তার মানে এই নয় যে সুরাটি দিনে পড়া যাবে না। যেকোনো সময়ই পড়া যাবে, তবে রাতে বিশেষ জিকির হিসেবে এ সুরা পড়া উত্তম। সুরাটি নামাজের সঙ্গে পড়াও ভালো। মুখস্থ না থাকলে দেখে দেখে অর্থ বুঝে পড়লে বিশেষ সওয়াব পাওয়া যায়।


সুরা মুলকের ছয়টি ভাগ:

প্রথম ভাগ ১ থেকে ৪ আয়াত—এ অংশে আছে আল্লাহর ক্ষমতার বর্ণনা।

দ্বিতীয় ভাগ ৫ থেকে ১৫ আয়াত—এ অংশে জাহান্নাম ও জান্নাতের প্রসঙ্গ।

তৃতীয় ভাগ ১৬ থেকে ২২ আয়াত—এখানে আছে অত্যাসন্ন বিপদের বার্তা।

চতুর্থ ভাগ ২৩ থেকে ২৪ আয়াত—সে বিপদে প্রস্তুতির সময় নিয়ে প্রশ্ন।

পঞ্চম ভাগ ২৫ থেকে ২৭ আয়াত—সে বিপদ কবে ঘটবে, তা নিয়ে মানুষের কৌতূহল?

শেষ ভাগ ২৮ থেকে ৩০ আয়াত—আল্লাহর বিপরীতে মানুষের দুর্বলতা।

সুরার বিষয়বস্তু

সুরাটিতে বলা হয়েছে, বিশ্বজগতের কর্তৃত্ব ও রাজত্ব সবই আল্লাহর। আরও বলা হয়েছে বিশ্বজগৎ সৃষ্টির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। সৃষ্টিজগতের ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত সূক্ষ্ম ও নিখুঁত।

সুরাটিতে আছে তারকারাজি সৃষ্টির রহস্যের কথা, কিয়ামতের দিন অবিশ্বাসীদের অবস্থা এবং তাদের চিন্তা ও গবেষণা করার দাওয়াত এবং বুদ্ধিবৃত্তিকে কাজে লাগানোর আহ্বান।

সুরাটির নামের মধ্যেই এর বিষয়বস্তু ও মর্মার্থ সুস্পষ্ট হয়েছে। আরবি মুলক মানে সার্বভৌমত্ব। আসমান ও জমিনে সার্বভৌমত্বের একমাত্র অধিকারী যে আল্লাহ, তা এ সুরায় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সুরাটির শুরুতেই আল্লাহ তাঁর পরম সার্বভৌম কর্তৃত্বের কথা ঘোষণা করেছেন।

দ্বিতীয় আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, ‘যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য যে কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম। তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।’ এতে বোঝা যায়, জীবনের মতো মৃত্যুও স্বতন্ত্র একটি সৃষ্টি। এ আয়াত থেকে আরও স্পষ্ট বোঝা যায় যে যিনি মৃত্যু সৃষ্টি করেছেন, তিনি অবশ্যই মৃত্যু থেকে মুক্ত। অর্থাৎ মৃত্যু তাঁর ওপর কার্যকর হতে পারে না।


৩ ও ৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তিনি স্তরে স্তরে সাজিয়ে সাত আকাশ সৃষ্টি করেছেন। করুণাময় আল্লাহর সৃষ্টিতে তুমি কোনো খুঁত দেখতে পাবে না। আবার তাকিয়ে দেখো, কোনো ত্রুটি দেখতে পাও কি না। তারপর তুমি বারবার তাকাও, তোমার দৃষ্টি ব্যর্থ ও ক্লান্ত হয়ে ফিরে আসবে।’ এখানে আল্লাহ তাঁর সৃষ্টিতে কোনো খুঁত বা অসংগতি আছে কি না, তা বারবার খুঁজে দেখতে বলেছেন। কারণ, প্রথমবার মানুষ যখন অবাক হয়ে কোনো কিছু দেখে, তখন কোনো ত্রুটি বা অসংগতি তার চোখে পড়ে না। বারবার অনুসন্ধানী দৃষ্টি দিয়ে আল্লাহ সৃষ্টির অসংগতি খুঁজে দেখার আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। নিটোল সৃষ্টির কোনো অসংগতি না দেখতে পেয়ে মানুষের দৃষ্টি ক্লান্ত হয়ে ফিরে আসবে।

এরপর পঞ্চম আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আমি নিম্নতম আকাশকে প্রদীপমালায় সুশোভিত করেছি এবং তাদের ক্ষেপণীয় বস্তু করেছি শয়তানের ওপর নিক্ষেপ করার জন্য। আর আমি তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছি জ্বলন্ত আগুনের শাস্তি।’ এ আসমানকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করা হয়েছে, তেমনি এগুলোকে আক্রমণের মাধ্যমও করা হয়েছে। অর্থাৎ আল্লাহর এই সৃষ্টির মধ্যে কোমলতা ও কঠোরতা পাশাপাশি রয়েছে।

১৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, তিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে প্রশস্ত করেছেন, অতএব তোমরা দিগদিগন্তে বিচরণ ও তাঁর দেওয়া জীবনের উপকরণ থেকে আহার করো। পুনরুত্থানের পর তাঁরই কাছে ফিরতে হবে।


১৬. তোমরা কি এ কথা ভেবে নিশ্চিন্ত আছ যে, আকাশে যিনি রয়েছেন তিনি তোমাদেরকে নিয়ে হঠাৎ করে মাটিকে ধসিয়ে দেবেন না, আর তা থরথর ক'রে কাঁপতে থাকবে না? ১৭. বা তোমরা কি নিশ্চিন্ত আছ যে, আকাশে যিনি রয়েছেন তিনি তোমাদের ওপর কঙ্কর-ঝঞ্ঝা বইয়ে দেবেন না? তখন তোমরা জানতে পারবে কী কঠোর ছিল আমার সতর্কবাণী। ১৮. ওদের আগে যারা এসেছিল তারা মিথ্যা আরোপ করেছিল, তাই কী কঠিন হয়েছিল ওদের ওপর আমার শাস্তি!

১৯. ওরা কি ওদের ওপরে উড়ন্ত পাখিদের লক্ষ করে না, যারা পাখা মেলে ও বন্ধ করে? করুণাময় আল্লাহই তাদেরকে স্থির রাখেন। তিনি তো সব বিষয়ই ভালো করে দেখেন।

২০. করুণাময় আল্লাহ্ ছাড়া তোমাদের কি কোনো সেনাবাহিনী আছে যারা তোমাদেরকে সাহায্য করবে? অবিশ্বাসীরা তো বিভ্রান্তিতে রয়েছে। ২১. তিনি যদি জীবনের উপকরণ সরবরাহ বন্ধ ক'রে দেন, তবে এমন কে আছে যে তোমাদেরকে তা দেবে? ওরা তো অবাধ্যতা ও সত্যবিমুখতায় অটল রয়েছে। ২২. যে-ব্যক্তি মুখে ভর দিয়ে চলে সে কি ঠিক পথে চলে, নাকি সে-ব্যক্তি যে সোজা হয়ে সরল পথে চলে?

২৩. বলো, 'তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন আর তোমাদেরকে দিয়েছেন দেখার ও শোনার শক্তি এবং অন্তঃকরণ।' অথচ তোমরা অল্পই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। ২৪. বলো, 'তিনিই পৃথিবীতে তোমাদের বংশবিস্তার করেন আর তাঁরই কাছে তোমরা সমবেত হবে।’

২৫. ওরা বলে, 'তোমরা যদি সত্যবাদী হও, তবে বলো এ-প্রতিশ্রুতি কবে পালন করা হবে?' ২৬. বলো, 'এর জ্ঞান কেবল আল্লাহরই আছে, আমি তো স্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র।'

২৭. যখন শাস্তি আসন্ন দেখবে তখন অবিশ্বাসীদের মুখ ম্লান হয়ে পড়বে আর ওদেরকে বলা হবে, 'এ-ই তো তোমরা চেয়েছিলে।'

২৮. বলো, 'তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি আল্লাহ্ আমাকে ও আমার সঙ্গীদেরকে ধ্বংস করেন বা আমাদের প্রতি দয়া করেন (তাতে ওদের কী), কে ওদেরকে মারাত্মক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?' ২৯. বলো, 'তিনি করুণাময়, আমরা তাঁর ওপর বিশ্বাস রাখি ও তাঁরই ওপর নির্ভর করি। শীঘ্রই তোমরা জানতে পারবে, কে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়েছে।'

৩০. বলো, 'তোমরা ভেবে দেখেছ কি, যদি পানি মাটির নিচে তোমাদের নাগালের বাইরে চলে যায়, তবে কে তোমাদের জন্য পানি বইয়ে দেবে?’

(সুরা মুলক , কোরানশরিফ: সরল বঙ্গানুবাদ, অনুবাদ: মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, প্রথমা প্রকাশন)


ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের ঘিরে রাখে পুলিশ। অস্টিন, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪
ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের ঘিরে রাখে পুলিশ। অস্টিন, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ছবি: রয়টার্স

‘ঘটনাটা আমার স্বাভাবিক মনে হয়নি’, বলছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আলিশবা জাভেদ। যুক্তরাষ্ট্রের অস্টিনে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের ক্যাম্পাসে যখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ৩০ জনের একটি দল ঢুকছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে নিজের অনুভূতি কেমন ছিল, সে সম্পর্কে জানাচ্ছিলেন তিনি।

জাভেদ ও তাঁর কয়েক শ সহপাঠী ক্যাম্পাসে চুনাপাথরের ৯৪ মিটার উঁচু টাওয়ারের ছায়ার নিচে জড়ো হয়েছিলেন। গাজায় ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধের বিরুদ্ধে ক্লাস বর্জন কর্মসূচির অংশ হিসেবেই সেখানে সমবেত হওয়া তাঁদের।

আন্দোলনরত এই শিক্ষার্থীরা আশা করছিলেন, ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহকারী মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সম্পর্কচ্ছেদ করবে। সেটি না হয়ে উল্টো দেখা গেল, ক্যাম্পাসে ক্রমেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি বেড়ে চলেছে।

জাভেদের হিসাবে, ক্যাম্পাসে আগে থেকেই অন্তত ৫০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিলেন। ওই দিন তাঁদের সঙ্গে যোগ দেয় ৩০ জনের মতো দলটি। তারা সজ্জিত ছিল দাঙ্গা পুলিশের পোশাকে। তিনি বলেন, তাঁদের বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণই ছিল। কিন্তু ভেতরে ছিল টানটান উত্তেজনা। পুলিশ সদস্যরাও তাঁদের দিকে এগোতে শুরু করেন।
২২ বছর বয়সী এই শিক্ষার্থী বলছিলেন, ‘এটিই ছিল প্রথম মুহূর্ত, যখন আমি সত্যি ভয় পেয়ে যাই।’

ক্যাম্পাসে বর্ণবাদী ভাবধারার কিছু মানুষ রয়েছেন। তাঁরা কথা বলতে দিতে চান না। আছেন জেনোফোবিক (বিদেশিদের ব্যাপারে অহেতুক ভয় বা ঘৃণা পোষণ) মনোভাবের মানুষও। তাঁরা তা স্বীকার করতে চান না। আছেন বাদামি বর্ণের বিক্ষোভকারীরাও। এসবই পুলিশকে মারমুখী হয়ে উঠতে উৎসাহ জোগাচ্ছে।
—হিবা ফারুকি, ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের আন্দোলনরত শিক্ষার্থী

২৪ এপ্রিল দিনটিতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে শুরু হয় দুই পক্ষের সংঘর্ষ। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের দৃশ্যগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে অনলাইনে। একই সময় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও চলছিল অনুরূপ বিক্ষোভ।

টেক্সাসবাসীর ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ দেখানোর সুযোগ অন্যদের মতো নয়। তাঁদের সামনে রয়েছে ভিন্ন ধরনের এক চ্যালেঞ্জ। ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ ঠেকাতে এই অঙ্গরাজ্যের সরকারের হাতে আইন রয়েছে। তারা সেটি প্রয়োগও করে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চলছে বিবাদ।

২০১৭ সালে অঙ্গরাজ্যটির গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট এক আইনে সই করেন। এ আইনে ইসরায়েলকে বয়কট করা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পরে আইনটি আরও কঠোর করার পদক্ষেপ নেয় স্থানীয় সরকার।
অ্যাবট বর্তমানে চলা বিক্ষোভকে ‘ঘৃণাভরা’ ও ‘ইহুদিবিদ্বেষী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। বিক্ষোভকারী ও তাঁদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ভুল ধারণার জন্ম দিচ্ছে এই বক্তব্য।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আশা করছিলেন, ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহকারী মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সম্পর্কচ্ছেদ করবে। সেটি না হয়ে উল্টো দেখা গেল, ক্যাম্পাসে ক্রমেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি বেড়ে চলেছে।

এর বাইরে, চলতি বছরের শুরুতে একটি আইন কার্যকর করেছে টেক্সাস সরকার। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ আইনে তাদের ‘ডাইভারসিটি, ইকুইটি ও ইনক্লুশন (ডিইআই)’ দপ্তর বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়।

বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়কর্মী আল–জাজিরাকে বলেছেন, ওই আইনের কারণে ডিইআই কর্মীরা চলে যেতে বাধ্য হওয়ায় ক্যাম্পাসগুলোতে এখন আগের চেয়ে কম নিরাপদ হয়ে পড়েছেন নানা বর্ণের শিক্ষার্থীরা।

‘সংখ্যালঘুদের তাড়াতে সহিংসতার ব্যবহার’

সব বাধা উপেক্ষা করে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে তাঁদের বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন।

২৯ এপ্রিল এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে তাঁদের ওপর পিপার স্প্রে ও প্রচণ্ড শব্দ সৃষ্টিকারী যন্ত্র ব্যবহার করে পুলিশ। এ সময় তারা বিক্ষোভকারীদের ঘিরে ফেলে ও চিৎকার করতে করতে অনেককে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায়।

হিবা ফারুকি ২১ বছর বয়সী শিক্ষার্থী। জানাচ্ছিলেন তাঁর অভিজ্ঞতা, বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে তিনি আহত হন। তাঁর হাঁটু থেকে রক্ত ঝরছিল।

ভীষণভাবে আহত না হওয়ায় হিবা নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করেন। তিনি বলেন, তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিজে থেকে পুলিশ ডেকেছে, আবার আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসায় চিকিৎসক ডেকেছে, বিষয়টি ভেবে হকচকিত তিনি।

ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের ক্যাম্পাসে বসানো হয় প্রতিবন্ধকতা। অস্টিন, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪  
ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের ক্যাম্পাসে বসানো হয় প্রতিবন্ধকতা। অস্টিন, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪
ছবি: রয়টার্স

হিবা ফারুকি আরও বলেন, ‘ক্যাম্পাসে বর্ণবাদী ভাবধারার কিছু মানুষ রয়েছেন। তাঁরা কথা বলতে দিতে চান না। আছেন জেনোফোবিক (বিদেশিদের ব্যাপারে অহেতুক ভয় বা ঘৃণা পোষণ) মনোভাবের মানুষও। তাঁরা তা স্বীকার করতে চান না। আছেন বাদামি বর্ণের বিক্ষোভকারীরাও। এসবই পুলিশকে মারমুখী হয়ে উঠতে উৎসাহ জোগাচ্ছে।’

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত থাকায় শিক্ষার্থী, আইনজীবী ও পরামর্শকেরা বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হওয়ার কথা জানিয়েছেন। আল–জাজিরাকে তাঁরা বলেন, টেক্সাস সরকার তাঁদের ধ্যানধারণা বদলাতে বাধ্য করছে ও সরকারের স্পষ্ট বৈরিতার শিকার হচ্ছেন তাঁরা।

হিবা বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের তাড়াতে সহিংসতাকে ব্যবহার করছে টেক্সাস সরকার।’


পূর্বধলায় ওষুধ কোম্পানির গাড়ির ধাক্কায় মাছ ব্যবসায়ী নিহত

পূর্বধলায় ওষুধ কোম্পানির গাড়ির ধাক্কায় মাছ ব্যবসায়ী নিহত

 

নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার লালমিয়ার বাজার নামক স্থানে ওষুধ কোম্পানির গাড়ির ধাক্কায় রিয়াজ উদ্দিন (৬৫) নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি আঞ্চলিক মহাসড়কের নারায়নডহর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রিয়াজ উদ্দিন জারিয়া ইউনিয়নের বাড়হা পশ্চিম পাড়া এলাকার মৃত শেখ জামির উদ্দিনের ছেলে। রিয়াজ উদ্দিন পেশায় একজন মাছ ব্যবসায়ী ছিলেন।

জানা যায়, রোববার উপজেলার নারায়নডহর এলাকা থেকে মাছ কিনে তার নিজের ভ্যানে করে বাড়ি ফিরছিলেন। এমন সময় পেছন থেকে এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের একটি পিক-আপ তাকে ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওষুধ কোম্পানির পিক-আপটিও জব্দ করা হয়েছে।

যেভাবে ভারতে শাড়ি থেকে দ্রুত ছড়াচ্ছে ক্যান্সা*র! - YouTube

[২] শাড়ি ক্যান্সার শুধুমাত্র ভারতে দেখা যায়, কারণ ভারতে নারীরা সবচেয়ে বেশি শাড়ি পরেন। শুধু শাড়ি নয়, আরও অনেক ধরনের জামাকাপড় আছে যা ভুলভাবে পরলে ক্যান্সার হতে পারে, ডাক্তারি ভাষায় একে বলে স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা।

[৩] দিল্লির পিএসআরআই হাসপাতালের ক্যান্সার সার্জন ডাঃ বিবেক গুপ্তা বলেছেন, গবেষণায় বিষয়টি উঠে এসেছে যে, দীর্ঘ সময় ধরে পেটিকোটের দড়ি বাঁধা থাকে বলে ওই অংশে কালশিটে পড়ে যায় কারও কারও। দীর্ঘ দিন ধরে এমনটা হতে থাকলে ঘা পর্যন্ত হতে পারে আর সেখান থেকেই এই ক্যনসারের সূত্রপাত হয়।

[৪] গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় নারীদের মধ্যে পাওয়া মোট ক্যান্সারের মধ্যে ১ শতাংশ ক্ষেত্রেই শাড়ির ক্যান্সার। মুম্বাইয়ের আরএন কুপার হাসপাতালেও এ নিয়ে গবেষণা হয়েছে। শাড়ি ছাড়াও ধুতিও ছিল এই গবেষণায়। এই শাড়ি ক্যান্সারের নামটি মুম্বই হাসপাতালের ডাক্তাররা দিয়েছিলেন যখন এরকম কেস প্রথম সেখানে দেখা যায়। সেসময় এই ধরণের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন ৬৮ বছর বয়সী এক নারী, যিনি ১৩ বছর বয়স থেকে শাড়ি পরেছিলেন।

Advertisement: 1:58

[৫] গবেষণা থেকে বলা হচ্ছে, যদি কাপড় থেকে ত্বকে দাগ সৃষ্টি করে তাহলে তা পরা এড়িয়ে চলতে হবে। যদি ত্বক কোনও পোশাক পরার কারণে লাল হয়ে যায় তবে এটি পরা যাবে না। যদি শ্বাসকষ্ট হতে শুরু করে এবং ত্বক ঘষা খেতে শুরু করে তাহলে, এই ধরনের পোশাক পরা এড়িয়ে চলতে হবে।


[random][fbig2][#e74c3c]
Powered by Blogger.