নিজস্ব প্রতিনিধি October 22, 2014 5
আবহাওয়া অধিদপ্তর
আবহাওয়া অধিদপ্তরছবি: অধিদপ্তরের ফেসবুক থেকে নেওয়া

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ বৃহস্পতিবার চলতি মে মাসের আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দিয়েছে। অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান এ পূর্বাভাস দেন। সেখানে মে মাসের গরম, তাপপ্রবাহ বৃষ্টি , নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড়—এসব নানা বিষয়ে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মে মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিই হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে তিনটি মৃদু ও মাঝারি এবং এক থেকে দুটি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকবে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

সদ্য শেষ হওয়া এপ্রিল মাসজুড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। এমন অবস্থা গত ৭৬ বছরে হয়নি বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল।

তবে মে মাসের তাপমাত্রা এপ্রিল মাসের চেয়ে কিছুটা কম থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান। তিনি আজ প্রথম আলোকে বলেন,  মে মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা একটু বেশি থাকতে পারে। তবে তা এপ্রিলের মতো অবস্থায় যাবে না। তাপপ্রবাহ এত দীর্ঘ সময় ধরে থাকবে না।

মে মাসে তিন থেকে পাঁচ দিন হালকা ধরনের কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আর দুই থেকে তিন দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি ও তীব্র কালবৈশাখী হতে পারে।

চলতি মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। মাসের মাঝামাঝি সময়ে একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলেও এ বার্তায় বলা হয়েছে।

এ মাসে দেশের উত্তরাঞ্চল বা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের (সিলেটসহ হাওর অঞ্চলে) নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়তে পারে। কিছু কিছু জায়গায় তা বিপদ সীমা অতিক্রম করতে পারে।

মে মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের হার ২৭৭ দশমিক ৩ মিলিমিটার। তবে গত এপ্রিল মাসে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ৮১ ভাগ কম বৃষ্টি হয়েছে।  ঢাকায় বৃষ্টি কম হয়েছে ৯১ শতাংশ। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে এপ্রিলে কোনো বৃষ্টিই হয়নি।

নিজস্ব প্রতিনিধি October 19, 2014 3
আজমেরী হক বাঁধন। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে
আজমেরী হক বাঁধন। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

গত বছরই আজমেরী হক বাঁধন অভিনীত ওয়েব ফিল্ম ‘খুফিয়া’ প্রশংসা কুড়িয়েছে। বিশাল ভারদ্বাজের সিনেমাটির আগে বাংলাদেশি অভিনেত্রীকে দেখা যায় সৃজিত মুখার্জির সিরিজ ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’-তে। এবার ভারতে তৃতীয় প্রকল্পকে দেখা যাবে বাঁধনকে।

আজ পশ্চিমবঙ্গের দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের প্রিন্ট সংস্করণের এক প্রতিবেদনের সূত্রে জানা গেছে, প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের অ্যান্থোলজি সিনেমা ‘ফেয়ার অ্যান্ড আগলি’-তে অভিনয় করবেন বাঁধন।

আজমেরী হক বাঁধন। ফেসবুক থেকে
আজমেরী হক বাঁধন। ফেসবুক থেকে

প্রতিবেদনে আরও জানা গেছে, সিনেমাটিতে অভিনয়ের ব্যাপারে সম্প্রতি জানিয়েছেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী। শুটিংয়ের জন্য ভারতে যাওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন তিনি।

এই অ্যান্থোলজি সিনেমায় আরও থাকছেন শাকিব আইয়ুব। যাঁকে ‘ফারজি’, ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-এর মতো সিরিজ ও সিনেমায় দেখা গেছে।

আজমেরী হক বাঁধন। ফেসবুক থেকে
আজমেরী হক বাঁধন। ফেসবুক থেকে

অ্যান্থোলজি সিনেমাটিতে থাকছে পাঁচটি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা। এসব সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন দেবপ্রসাদ হালদার, পার্নো মিত্র, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, কৌশিক সেন প্রমুখ।

জানা গেছে, এর মধ্যেই অ্যান্থোলজি সিনেমাটির কয়েকটি সিনেমার শুটিং হয়ে গেছে।
এ ছাড়া গত মাসেই বাঁধন শেষ করেছেন রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের ‘মাস্টার’ সিনেমার কাজ। বাঁধন অভিনীত আরেক সিনেমা ‘এশা মার্ডার’ পবিত্র ঈদুল আজহায় মুক্তি পাওয়ার কথা।

নিজস্ব প্রতিনিধি October 15, 2014
শাকিব ও তাঁর পরিবার প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বুবলী

চিত্রনায়ক শাকিব খানের দাবি, অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী দুজনই তাঁর কাছে এখন অতীত। নানা সময়ে দুজনই টেলিভিশন, অনলাইন, প্রিন্টসহ নানা জায়গায় শাকিব খানকে জড়িয়ে কথা ওঠে। বাচ্চাদের সামনে রেখে দুজনই শাকিব প্রসঙ্গে এনে নানা কথা বলেন তাঁরা। গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি হন দুই তারকা। দুজনের এমন ঘটনায় নানা সময়ে শাকিব নাকি বিরক্ত! বিরক্ত হন তাঁর পরিবারের সদস্যরাও।

গত ঈদে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে শাকিব খানের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে অনেক তথ্যই দিয়েছেন বুবলী। একবার বলছেন, ‘আইনগতভাবে আমি এখনো শাকিব খানের বৈধ স্ত্রী।’ শাকিবের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটানোসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন এই নায়িকা। গণমাধ্যমে বুবলীর এমন মন্তব্যের পর বিরক্তি প্রকাশ করেছেন শাকিব খান ও তাঁর পরিবার। যদিও এ নিয়ে সরাসরি কথা বলতে শোনা যায়নি। সম্প্রতি শোনা গেছে, বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শাকিব; ছেলের জন্য পাত্র দেখছেন পরিবারের সদস্যরা।
এসব প্রসঙ্গে অপু বিশ্বাস ও বুবলী দুজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। অপু আপাতত কথা বলতে চাননি। জানিয়েছেন শিগগিরই কথা বলবেন তিনি।

রোববার সন্ধ্যায় বুবলীর সঙ্গে কথা হয়। প্রথম আলোকে বলেন,‘আমার নিজেকে বা নিজের সিনেমাকে আলোচনায় রাখার জন্য কারও নাম বা কাহিনি বলতে হয় না। কারণ, আমার এবং আমার সিনেমার জন্য গণমাধ্যমকর্মীরা, সিনেমার টিম এবং আমার দর্শকেরাই যথেষ্ট। বরং আপনারা দেখছেন কারা আলোচনায় থাকার জন্য একের পর এক সিরিজ নিউজ করে আমার নাম নিয়ে যেকোনো প্রোগ্রাম বা সাক্ষাৎকারে কথা বলেই যাচ্ছে বছরের পর বছর।’

ছেলে বীরকে নিয়ে শাকিব ও বুবলী
ছেলে বীরকে নিয়ে শাকিব ও বুবলী
ফাইল ছবি/বুবলীর ফেসবুক পেজ থেকে

তবে শাকিব খান বা তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে নানা অভিযোগের ব্যাপারে এই নায়িকার বক্তব্য, ‘নিউজটি দেখেছি। অনেক অভিযোগ। দেখুন নিউজে ঘনিষ্ঠ সূত্র, পরিবারের এক সদস্য, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক—এসব সূত্রেই বা কী কথা বলব? নির্দিষ্ট কারও নাম বা কথা থাকলে কথা বলতে সুবিধা হতো। অভিযোগ ধরে ধরে বলা যেত।’

প্রকাশিত খবরের অভিযোগের ব্যাপারে বুবলী আরও বলেন, ‘আমি আমার সিনেমা মুক্তির প্রমোশনাল প্রোগ্রামে যখন অংশগ্রহণ করি, তখন আমার সিনেমার পাশাপাশি অনেক বিষয় চলে আসে সংবাদকর্মীদের প্রশ্নে। তখন আমি সবাইকে যথেষ্ট সম্মান দিয়ে প্রশ্নের প্রাসঙ্গিক উত্তর দিই। কোথাও কাউকে অসম্মান করে অপ্রাসঙ্গিক কথা বলি না। এখন কেউ সম্মান দেওয়া হজম করতে না পারলে জোর করে আর সম্মান দেব না। তাহলে যাঁরা যেসব ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন, সেসব আর থাকবে না।’

প্রকাশিত খবরে শাকিবের পরিবার থেকে আরও দাবি করা হয়েছে, আপনি নাকি শাকিব খানের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে মিথ্যাচার করেন। কী বলবেন—এ ব্যাপারে  বুবলী বলেন, ‘আমি এখন পর্যন্ত আমাদের সম্পর্কের বিষয়ে কোনোই মিথ্যাচার করিনি, যা নিয়ে আমি ওপেন চ্যালেঞ্জ করতে পারি। আর মিথ্যাচার করে আমার কী লাভ হবে আপনারাই বলুন? আপনাদের দোয়ায় আমি নিজেই প্রতিষ্ঠিত। চাঁদের মতো আমার সন্তান শেহজাদ আছে। আমার বাবা–মায়ের ভালোবাসা আছে আমার সঙ্গে। তাই আমার জীবনে তো নতুন করে চাওয়া–পাওয়ার কিছুই নেই।’

শাকিব খান ও বুবলী অভিনয় করেছেন ‘বিদ্রোহী’ ছবিতে। ছবি: ফেসবুক থেকে
শাকিব খান ও বুবলী অভিনয় করেছেন ‘বিদ্রোহী’ ছবিতে। ছবি: ফেসবুক থেকে

সবশেষ ঈদে একটি বেসরকারি টিভিতে শাকিবকে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন বুবলী, এতে শাকিবের পরিবার মারাত্মক চটেছে! এ কারণে বুবলীকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সন্তান শেহজাদের অজুহাতে তিনি যেন শাকিবের বাসা বা অফিসে না আসেন।
এ ব্যাপারে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘দেখুন, আমাকে ওই বাসায় আমন্ত্রণ জানানো হয় বলেই আমি যাই। তাঁর বাসায় যাওয়া না যাওয়া, মানা করা বা না করা, এটা যেমন শুধু শাকিব খানের সিদ্ধান্ত হতে পারে,  তেমনি আমি যাব কি যাব না, এটা আমারও সিদ্ধান্ত হতে পারে। কারণ, আমাদের সন্তান আছে, আমার সন্তানের নিরাপত্তা আমার কাছে সবার আগে। কেউ চাইলেই তো আমি আমার সন্তানকে একা কোথাও ছাড়ব না।’
তবে কথা প্রসঙ্গে অপুকে ইঙ্গিত করে বুবলী বলেন, ‘বাবা, মা হিসেবে শেহজাদের জন্য আমরা কী করব, কী বলব, কীভাবে একত্রে সময় কাটাব, ওটাও আমাদের একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। এটা নিয়েও যখন অন্য কেউ অনধিকার চর্চা করেন, নানান ব্যাখ্যা দেন, তখন খুব হাস্যকর লাগে।’

শাকিব পরিবারের দাবি, ভবিষ্যতে শাকিব খানকে নিয়ে মিথ্যাচার করলে, পরিবার থেকে আপনার বিরুদ্ধে মামলায় যেতে পারে—এমন কথাও শাকিব পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে। কী বলবেন? এ প্রসঙ্গে বুবলী বলেন, ‘ভবিষ্যতে কেন? আমি চাই এখনই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক, তাহলে আমি যে কোনো মিথ্যাচার করিনি, ওটাও আমি প্রমাণসহ আইনিভাবে তুলে ধরতে পারব।’

‘লিডার: আমিই বাংলাদেশ’ ছবির ‘সুরমা সুরমা’ গানের শুটিংয়ে শাকিব খান ও বুবলী
‘লিডার: আমিই বাংলাদেশ’ ছবির ‘সুরমা সুরমা’ গানের শুটিংয়ে শাকিব খান ও বুবলী
ছবি : পরিচালকের সৌজন্যে

এদিকে খবরে প্রকাশিত হয়েছে, শাকিবকে নিয়ে অপু ও বুবলীর চর্চা, কথাবার্তা, সমাজ ও আত্মীয়স্বজনের কাছে হেয় হতে হয় বলে মনে করেন শাকিব ও তাঁর পরিবার। তাই পরিবার থেকে চলতি বছরই শাকিবের বিয়ের আয়োজন করছে। প্রসঙ্গটি বুবলীর সামনে আনা হলে বিষয়টি নিয়ে তিনি বেশি কিছু বলতে চাননি। শুধু বলেন, ‘তার এই বিষয়ে কথা বলার কোনো ইচ্ছা নেই। তার এই কথা এত এত বছর ধরে এতবার শুনেছি যে কিছুদিন পর তার সন্তান শেহজাদও এই প্রশ্ন শুনে বলবে “নো কমেন্টস”।’

নিজস্ব প্রতিনিধি October 13, 2014
তিস্তা সেচক্যানেলের উন্নয়ন কাজের জন্য সড়কের দুই পাশের গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রংপুরের তারাগঞ্জের দৌলতপুরে
তিস্তা সেচক্যানেলের উন্নয়ন কাজের জন্য সড়কের দুই পাশের গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রংপুরের তারাগঞ্জের দৌলতপুরে
ছবি: প্রথম আলো

প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ মানুষ। একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নেয়। গাছ না থাকলে তাপমাত্রা বাড়ে। একটি এলাকার আয়তন অনুযায়ী নির্ধারিত সংখ্যক গাছ থাকা প্রয়োজন। রংপুরের তারাগঞ্জে সে অনুযায়ী গাছের সংখ্যা অনেক কম। অথচ বর্তমানে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে এ উপজেলায় তিস্তা সেচ ক্যানেলের পাঁচ কিলোমিটার অংশের গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় লোকজন ও পরিবেশবাদীরা।

বন বিভাগ বলছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড তিস্তা সেচ ক্যানেলের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য চাপ দেওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গাছগুলো কেটে ফেলছে। পাউবোর কর্মকর্তারাও গাছ কাটার কথা স্বীকার করে বলেছেন, সেচ ক্যানেলের ওই অংশে নতুন করে গাছ লাগানো হবে।

তারাগঞ্জ উপজেলা বন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, কোনো এলাকার মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকার কথা থাকলেও তারাগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে তিন ভাগেরও কম বনভূমি। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বনায়ন বৃদ্ধির লক্ষ্যে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কেল্লাবাড়ি থেকে তারাগঞ্জ উপজেলার মিনিটের স-মিল পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে গাছ লাগায় বন বিভাগ। সমিতির মাধ্যমে উপকারভোগী নির্ধারণ করে গাছগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এসব গাছ কেটে ফেলা হলে এ এলাকার বনভূমি ১ শতাংশের নিচে পৌঁছাবে। সবকিছু জানার পরও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উন্নয়নমূলক কাজে গাছগুলো কেটে ফেলার জন্য দরপত্র আহ্বান বন বিভাগ। ইতিমধ্যে চার ভাগের তিন ভাগ গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।

উপকারভোগী, ঠিকাদার ও বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সম্প্রতি সেচ ক্যানেলের পাঁচ কিলোমিটারে লাগানো দেড় সহস্রাধিক গাছ বিক্রি করা হয়। ২২ লাখ ৫৫ হাজার ৯৫০ টাকায় দরপত্রের মাধ্যমে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে গাছগুলো বিক্রি করা হয়। গাছ বিক্রির ৫৫ শতাংশ টাকা উপকারভোগী, পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০ শতাংশ, বন বিভাগ ১০ শতাংশ, সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ ৫ শতাংশ এবং বাকি ১০ শতাংশ গাছ বিক্রির টাকা দিয়ে পুনরায় বনায়ন করার নিয়ম।

আজ সরেজমিনে দেখা যায়, রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের তিস্তা সেচ ক্যানেলের তারাগঞ্জ সেতুর কাছে থেকে কেল্লাবাড়ি পর্যন্ত দুই পাশের সব গাছ কাটা হচ্ছে। শ্রমিকের তাপপ্রবাহের মধ্যে গাছগুলো কেটে ট্রলিতে নিয়ে যাচ্ছেন। যেসব গাছ এখনো কাটা হয়নি, সেগুলোর ছায়ায় বসে শ্রমিক ও পথচারীরা বিশ্রাম নিচ্ছেন।

তিস্তা সেচক্যানেলের উন্নয়ন কাজের জন্য সড়কের দুই পাশের গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রংপুরের তারাগঞ্জের দৌলতপুরে
তিস্তা সেচক্যানেলের উন্নয়ন কাজের জন্য সড়কের দুই পাশের গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রংপুরের তারাগঞ্জের দৌলতপুরে
ছবি: প্রথম আলো

সেখানে কথা হয় পাশের দৌলতপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের সঙ্গে। তারাগঞ্জ তিস্তা সেচ ক্যানেল সেতু থেকে তাঁর বাড়ির দূরত্ব ৫০০ মিটার। মিজানুর রহমান আক্ষেপ করেন, ‘সউগ গাছ কাটি সড়কটাক নাড়িয়া (গাছশূন্য) বানাইছে। তাপোতে নিকাশ খড়ে যাওছে (নিশ্বাস নিতে কষ্টে হচ্ছে), মাটিত পাও থোয়া যাওছে না। বাড়ি থাকি এতোকোনা জায়গা হাটি আসনু, তাতে শরীর কুলাওছে না। কয়দিন আগোতও দুপুরে রাস্তাটা দিয়া হাঁটি গেইলে গাওত বাতাস নাগছিল, এ্যালা খালি আগুন ধরা রইদ নাগোছে। গাছগুলো না কাটলে কি হইল হয়।’

আরেক পথচারী অনন্তপুর গ্রামের ডালিম রায় বলেন, ‘বড় গাছগুলা কাটি ছোট গাছগুলো থুইলেও ছায়া পাইনো হয়। চলাচল করতে রইদ থাকি বাঁচনো হয়। কিন্তু এরা সড়কটাক মরুভূমি বানে থুইল। ফির কদ্দিন গাছ নাগাইবে, তাক কদ্দিন বড় হইবে, তারপর ছায়া পামো। তত দিন রইদোত পুড়ি মরি।’

গাছ কাটা শ্রমিক দলের সরদার শরিফুল ইসলাম বলেন, সোমবার পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে দুই কিলোমিটারের ৭২০টি গাছ কাটা হয়েছে। বাকি গাছগুলো দু–এক দিনের মধ্যে কাটা হবে।

কথা হয় ক্যানেলের পাশে তারাগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী লিমা আক্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সবুজে ভরা সড়কটিতে প্রাণ ভরে নিশ্বাস নিতাম। কলেজ যাওয়ার পথে রোদ-বৃষ্টিতে লুকাতাম। কিন্তু এখন শুধু সূর্যের কড়া তাপ ছাড়া আর কিছু পাওয়া যাবে না।’

তিস্তা সেচ ক্যানেলের গা ঘেঁষে তারাগঞ্জ সরকারি কলেজ, শিশুনিকেতন, তারাগঞ্জ ও/এ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। এ ছাড়া এক কিলোমিটারে মধ্যে আর পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।

তারাগঞ্জ ও/এ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ক্যানেলের দুই ধারে গাছ দেখলে চোখ জুড়িয়ে যেত। হাজারো গাছের ছায়াতলে আশপাশের আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১০টি গ্রামের শত শত শিক্ষার্থী ক্যানেলের সড়ক ধরে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করত। কিন্তু এখন সব কটি গাছ কেটে ফেলায় তাদের চলাচলে কষ্ট হবে।’

তারাগঞ্জের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আমরাও পারি’র সভাপতি আজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘দেড় লাখ মানুষের জন্য মাত্র ৩ শতাংশ বনায়ন যথেষ্ট নয়। তার ওপর কলকারখানার ধোঁয়া-বাতাস দূষিত করছে। এরই মধ্যে দেশে টানা এক মাসের বেশি প্রচণ্ড তাপমাত্রায় বন বিভাগ গাছগুলো উজাড় করছে। এটা অন্যায়, তারাগঞ্জের মানুষের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে। গাছগুলো কাটা বন্ধ করা এখন সময়ের দাবি।’

জানতে চাইলে গাছ ঠিকাদার তৌহিদুল ইসলাম জুয়েল মুঠোফোনে বলেন, ‘টেন্ডারের মাধ্যমে আড়াই মাস আগে গাছগুলো কিনেছি। তাই কাটছি সমস্যা কী? টেন্ডার দেওয়ার সময় বন বিভাগের চিন্তা করা উচিত ছিল। আপনার বন বিভাগের সঙ্গে কথা বলেন।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারাগঞ্জ উপজেলা বন কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান রোকন বলেন, তিস্তা সেচ ক্যানেলের তারাগঞ্জের পাঁচ কিলোমিটার অংশের পানি উন্নয়ন বোর্ড উন্নয়নমূলক কাজ করছে। তাঁরা (পাউবো) গাছগুলো কাটার জন্য বারবার চাপ দিচ্ছিল। তাই ঠিকাদাররা গাছ কাটছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডে সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। আবার সেখানে গাছ লাগানো হবে। তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত ১ হাজার ৫৪৪টি গাছ বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

তারাগঞ্জের ইউএনও রুবেল রানা বলেন, ‘তাপপ্রবাহের মধ্যে গাছগুলো না কাটার জন্য বন বিভাগকে বলেছি।’

এ বিষয়ে কথা হলে পরিবেশবাদী ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদ বলেন, ক্যানেলে দুই দিকে যে পরিমাণ গাছ কেটেছে, সেটাই পরিবেশের ক্ষতি। বাকি যে গাছগুলো আছে, সেগুলোকে কীভাবে টিকিয়ে রাখা যায় সেই পরিকল্পনা নেওয়া উচিত।

এই বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সৈয়দপুর কার্যালয়ের উপপ্রকৌশলী রাউফুল হাসান মুঠোফোনে বলেন, তিস্তা সেচ ক্যানেলে উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। সে কারণে গাছগুলো কাটা হচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী গাছগুলো কাটার সময়ও হয়েছে। চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ফের গাছ লাগানো হবে।

নিজস্ব প্রতিনিধি October 12, 2014
শাকিব খানের প্রযোজনায় ‘মায়া’ সিনেমায় কাজ করার কথা ছিল পূজা চেরির
শাকিব খানের প্রযোজনায় ‘মায়া’ সিনেমায় কাজ করার কথা ছিল পূজা চেরিরকোলাজ

এবারের ঈদে মুক্তি পেয়েছে পূজা চেরী-আদর আজাদ অভিনীত ‘লিপস্টিক’। শুরু থেকেই হলসংকট নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন অভিনেতা-অভিনেত্রী। তবে সম্প্রতি অভিনেতা জানিয়েছেন, ‘লিপস্টিক’-এর হলসংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সামনে আরও বাড়বে বলে মনে করেন অভিনেতা। অন্যদিকে ছবিটি নিয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন অভিনেত্রী পূজা চেরীও। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে কথা বলছেন সিনেমার প্রসঙ্গে। এবার মাছরাঙা টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠানে অভিনয়সহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

ঈদে মুক্তি পেয়েছে পূজা চেরি অভিনীত ‘লিপস্টিক’ সিনেমা
ঈদে মুক্তি পেয়েছে পূজা চেরি অভিনীত ‘লিপস্টিক’ সিনেমা
ছবি: ফেসবুক

উৎসবগুলোতে সিনেমা মুক্তিতে কেমন প্রতিক্রিয়া পান অভিনেত্রী? পূজা বলেন, ‘আসলে ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বিভিন্ন উৎসব-পার্বণে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলোতে খুব ভালো ফিডব্যাক আমি পেয়ে আসছি। যদি আমি “নূরজাহান” থেকে শুরু করি তাহলে বলব, শুরু থেকে দর্শকদের মনে খুব সুন্দর জায়গা করতে পেরেছি। আমি আসলে প্রথম দিকে ভয়ে ছিলাম। ভয় বলতে, “পোড়ামন-২” থেকে এসেছে ভয়টা। কারণ, “নূরজাহান” ওই সময় বুঝিনি। কারণ, ভেবেছিলাম ছোট ছিলাম, সিনেমা রিলিজ হচ্ছে, ঠিক আছে। নায়িকা হিসেবে যে অভিষেক, ওটা আসলে আমার মাথায় কাজ করছিল না। এখন পর্যন্ত আসলে সবার খুব প্রশংসা পাচ্ছি। দিন যত যাচ্ছে, অভিনয় দক্ষতাটা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছি। যদিও আমি অতটা ভালো পারি না; কিন্তু চেষ্টা করি।’

অভিনেত্রী পূজা চেরি
অভিনেত্রী পূজা চেরি
পূজা চেরির ফেসবুক পেজ থেকে

এবার অনেকগুলো সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, হলমালিকেরা বলছেন, প্রত্যাশা অনুযায়ী ব্যবসা হচ্ছে না! এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয়, এখন আসলে সবাই একটি উৎসবের পেছনে দৌড়ান। আমার সিনেমা আমি বানিয়েছি, এটা ঈদেই মুক্তি দেব, এর বাইরে রিলিজ দেব না। ১১টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে হলে। এত টাকা খরচ করে সিনেপ্লেক্স-ব্লকবাস্টারে সিনেমা দেখতে চান না। তা-ও যদি থাকে ১১টি সিনেমা। সে কারণে ব্যাপারটা চিন্তা করে এই প্রশ্ন উঠতে পারে। তবে যতটুকুই হচ্ছে, আমার কাছে মনে হয়, এটা ভালো সংকেত। “লিপস্টিক” নিয়ে একজনের কাছ থেকেও নেতিবাচক মন্তব্য পাইনি। “পোড়ামন-২”-এর মতো “লিপস্টিক”ও ধীরে ধীরে হিট হতে পারে। শুধু একটু ধৈর্যের বিষয়।’

‘লিপস্টিক’-এ জায়েদ খানের অভিনয় প্রসঙ্গে পূজা বলেন, ‘তাঁর সঙ্গে অভিনয় করে ভালো লেগেছে। তিনি খুবই ভালো মানুষ। ভালো...। এবার হলে গিয়ে সিনেমা দেখা হয়নি। ব্যস্ত আছি। “লিপস্টিক”-এর জন্য হলে হলে দৌড়াচ্ছি। সামনের ঈদে মুক্তির অপেক্ষায় আছে “মাসুদ রানা”। ওটা নিয়ে ব্যস্ত আছি।’
শাকিব খানের প্রযোজনায় ‘মায়া’ সিনেমায় কেন আপনার জায়গায় ইধিকা পাল? এই প্রসঙ্গে পূজা চেরী বলেন, ‘আমরা আসলে গল্পটা দেখে অভিনয় করি। “মায়া”র গল্পও ভালো। তবে ব্যাটে-বলে মেলেনি। সামনে হয়তো হবে।’

নিজস্ব প্রতিনিধি October 07, 2014
শরিফুল রাজ ও মন্দিরা
শরিফুল রাজ ও মন্দিরাফেসবুক থেকে সংগৃহীত

ইতিহাসনির্ভর সিনেমা ‘কাজলরেখার’ নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন নবাগত নায়িকা মন্দিরা চক্রবর্তী। তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন অভিনেতা শরীফুল রাজ। সিনেমার পরিচালক গুণী নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিম। নিজের অভিনয়গুণে প্রশংসিত হচ্ছেন মন্দিরা। সিনেমার প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন ছবির কলাকুশলীরা।
সম্প্রতি একটি অনলাইনভিত্তিক সংবাদমাধ্যমে কাজলরেখা নিয়ে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মন্দিরা চক্রবর্তী। পাশাপাশি বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয়েরও সোজাসাপ্টা জবাব দেন মন্দিরা। তবে সেগুলোর বেশির ভাগই ছিল নায়ক শরীফুল রাজকে ঘিরে।

মন্দিরাকে প্রশ্ন করা হয়, এবারের ঈদে রাজের তিনটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, তিনটি ছবির তিনজন নায়িকা, তার মধ্যে একজন হচ্ছেন মন্দিরা চক্রবর্তী, কাকে বেশি সময় দিচ্ছেন বুবলীকে না মন্দিরাকে? উত্তরে নায়িকা বলেন, ‘ওর তিনটি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে, তিনটিকেই সমানভাবে সময় দেওয়া উচিত। আমার কাছে মনে হয়, কাজ মানে তিনটিই আমার সন্তানের মতো। একটি একটু বেশি ভালোবাসছি, একটি একটু কম ভালোবাসছি, সে রকম নয়। যখন কাজটা করব, পুরোপুরি চেষ্টা দিয়েই তো আমি করছি। আমার কাছে মনে হয় তিনটিকেই সমানভাবে দেখা উচিত।’
এখন রাজ-মন্দিরাকে নিয়ে নানা কথা হচ্ছে, সুন্দর একটি প্রেমের গসিপ হলে কেমন লাগবে? ‘এটার জন্য আমার প্রস্তুতি ছিল। গসিপটা তো হবেই।’

রাজ-মন্দিরার প্রেমটা কত দিনের? উত্তরে নায়িকা বলেন, ‘এটা কি হওয়ার ছিল? আমরা খুবই ভালো বন্ধু। প্রেমটা হওয়ার সুযোগ নেই আসলে। বলতে পারি সে আমার খুবই ভালো একজন বন্ধু হয়ে উঠেছে। শুটিংয়ের সময় সে আমার বন্ধু ছিল না; কারণ, তখন আমার সঙ্গে তার বেশি কথা হতো না, খুবই কম। আমাদের শুটিং হচ্ছিল ২০২২ সালে। এখন সে যে লাইফটা কাটাচ্ছে, তখন সে এই লাইফে ছিল না। তার তখন সন্তান হয়েছিল, সবকিছু মিলিয়ে সে তাঁর মতো ছিল। তখন মাত্রই আমাদের প্রথম দেখা।

সহকর্মী হিসেবে যতটা কথা বলার দরকার ছিল, ততটা। কিন্তু সিনেমার প্রচারের সময় বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া–আসা। তো থাকে না একজন মানুষের সঙ্গে আপনি নিয়মিত বের হচ্ছেন, কাজে যাচ্ছেন তো আপনার তাঁর সঙ্গে একটি বন্ডিং হয়ে যাবে, এটিই স্বাভাবিক।’

[random][fbig2][#e74c3c]
Powered by Blogger.