Showing posts with label জীবন-যাপন. Show all posts

ঘর ঠান্ডা রাখতে বারান্দায় গাছ রাখুন
ঘর ঠান্ডা রাখতে বারান্দায় গাছ রাখুন
ছবি: অধুনা

গরমের ধরন মনে হচ্ছে বদলে গেছে। যেসব বাড়িতে আগে ফ্যানের বাতাসেই দিব্যি গোটা গ্রীষ্মটা কাটিয়ে দেওয়া যেত, সেসব বাড়ির বাসিন্দারাও আজকাল অনলাইনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্রের (এয়ার কন্ডিশনার, সংক্ষেপে এসি) দামদরের খোঁজ নিচ্ছেন। কিন্তু অনেকের জন্যই এসি এখনো এক বিলাসিতার নাম। প্রচণ্ড গরমে একটু শান্তির জন্য হলেও খুঁজতে হয় বিকল্প ব্যবস্থা। এই গরমে কীভাবে নিজের বাসা ঠান্ডা রাখবেন, সে উপায়ই বাতলে দেওয়া হয়েছে।

বাইরে রোদ উঠলে ঘরে পর্দা টেনে দিন
বাইরে রোদ উঠলে ঘরে পর্দা টেনে দিন
ছবি: অধুনা

সকাল সকাল পর্দা টেনে দিন

সকালের মিঠে রোদ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। তাই সকালে রোদ উঠতে না উঠতেই পর্দা টেনে দিন। এতে করে সহজে ঘরে তাপ ঢুকবে না। ঘরও তুলনামূলক ঠান্ডা থাকবে।

দেয়ালে হালকা রঙের ব্যবহার করলে ঘর ঠান্ডা থাকবে
দেয়ালে হালকা রঙের ব্যবহার করলে ঘর ঠান্ডা থাকবে
ছবি: অধুনা

দেয়ালে হালকা রঙের ব্যবহার

মনে রাখবেন, রং যত গাঢ় হয়, তত আলো শোষিত হয় এবং যত হালকা হয়, তত আলো বেশি প্রতিফলিত হয়। ঘরে যত বেশি আলো শোষিত হয়, তত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাই ঘরের ভেতর যতটা সম্ভব হালকা রং ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এতে করে দিনের বেলা ঘর তাপ ধরে রাখবে না। ফলে আলো চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘর ঠান্ডা হতে শুরু করবে।

ভারী সুতি পর্দা ব্যবহার

জানালায় ভারী সুতি পর্দা ব্যবহার করুন। এ ধরনের পর্দা ঘরে আলো প্রবেশ করতে বাধা দেয়। এ ছাড়া হালকা রঙের বিছানার চাদর ও বালিশের কাভার ব্যবহার করুন। এতে করে বিছানাপত্র তাপ ধরে রাখবে না। ঘরও থাকবে তুলনামূলক ঠান্ডা।

ঘরে যতটা সম্ভব কম আলো জ্বালানো ভালো
ঘরে যতটা সম্ভব কম আলো জ্বালানো ভালো
ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

ঘর রাখুন অন্ধকার

ঘরে আলোর পরিমাণ যত কম থাকে, ঘর তত বেশি ঠান্ডা থাকে। রাতে কাজ করলে চেষ্টা করবেন ঘর যতটা সম্ভব কম আলোকিত রাখতে। টিউবলাইটের পরিবর্তে এলইডি লাইট ব্যবহার করা গেলে ভালো। এতে করে ঘর তুলনামূলক ঠান্ডা থাকবে।

ঘরে রাখতে পারেন ছোট গাছ

ঘরে গাছ রাখলে ঘর ঠান্ডা থাকবে
ঘরে গাছ রাখলে ঘর ঠান্ডা থাকবে
ছবি: খালেদ সরকার

ঘরের ভেতর ছোট্ট একটি গাছ, যেমন ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়, তেমনি তাপমাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। গাছ ঘরের ভেতর জমা হওয়া কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়, ফলে ঘরের তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে। মানিপ্ল্যান্ট, অ্যালোভেরা, অ্যারিকা পাম-জাতীয় গাছ ঘরের সৌন্দর্যবর্ধন ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, উভয় কাজেই বেশ উপকারী।

ভেজা ভেজা করে ঘর মুছুন

ঘরের তাপমাত্রা কম রাখতে একটু ভেজা ভেজা করে ঘর মুছুন। প্রয়োজন হলে একবারের পরিবর্তে ঘর মুছতে পারেন বেশ কয়েকবার। মেঝের পাশাপাশি জানলার কাচও পানি দিয়ে মুছুন। এতে বেশ কিছু সময় ঘর ঠান্ডা থাকবে।

টেবিল বা স্ট্যান্ড ফ্যানের সামনে বরফ

ঘর ঠান্ডা করার অন্যতম কার্যকর উপায় হলো বরফ। টেবিল বা স্ট্যান্ড ফ্যানের সামনে এক বাটি বরফ রাখতে পারেন। এতে করে বরফের ঠান্ডা বাতাস ঘরজুড়ে ঠান্ডা অনুভূতির সৃষ্টি করে। বরফ গলে গেলেও ঘরজুড়ে অনেকক্ষণ ঠান্ডা অনুভূতি বজায় থাকে। তবে লক্ষ রাখবেন, এ সময় যেন ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ থাকে।

তথ্যসূত্র: ফেমিনা ইন্ডিয়া

মেক্সিকো সিটির একটি নার্সিং হোমে কোভিড-১৯–এর টিকা নিচ্ছেন এক নারী
মেক্সিকো সিটির একটি নার্সিং হোমে কোভিড-১৯–এর টিকা নিচ্ছেন এক নারীছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

নারীরা পুরুষদের চেয়ে অপেক্ষাকৃত বেশি সময় বাঁচে, তবে তাদের পুরুষদের তুলনায় বেশি বছর অসুস্থ থাকতে হয়। জনস্বাস্থ্যবিষয়ক সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন থেকে এমন তথ্য জানা গেছে। স্বাস্থ্যগত অবস্থার দিক থেকে নারী ও পুরুষের মধ্যে ব্যবধান বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা নারীর স্বাস্থ্যের উন্নয়নে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

বিশ্বে রোগবালাইয়ের ২০টি শীর্ষস্থানীয় কারণ পরীক্ষার ভিত্তিতে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ হয়েছে। এতে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যগত দিক থেকে নারী ও পুরুষের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যবধান দেখা যায়। গত তিন দশকে নারী ও পুরুষের স্বাস্থ্যগত অবস্থার ব্যবধানগুলো পূরণে সীমিত অগ্রগতি হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, পেশির সমস্যা, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং মাথাব্যথার মতো রোগগুলো বিশেষ করে নারীর শরীরের ওপর প্রভাব ফেলে। এগুলো প্রাণঘাতী না হলেও তা অসুস্থতা ও শারীরিক অক্ষমতা তৈরি করে।

অন্যদিকে পুরুষেরা অনানুপাতিক হারে এমন সব পরিস্থিতির মুখোমুখি হন, যা তাদের অকাল মৃত্যু ঘটায়। যেমন- হৃদ্‌রোগ, শ্বাসযন্ত্র, যকৃতের রোগ, কোভিড-১৯–এর মতো রোগে আক্রান্ত হওয়া এবং সড়ক দুর্ঘটনা।

নারী ও পুরুষের মধ্যে স্বাস্থ্যগত অবস্থার যে ভিন্নতা আছে, তা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায়। এতে নারীরা জীবনভর অপেক্ষাকৃত উচ্চ মাত্রার অসুস্থতা ও শারীরিক অক্ষমতায় ভোগেন। আর এ অবস্থা নিয়েই তারা পুরুষদের চেয়ে বেশি বছর বাঁচেন।

ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড ইভালুয়েশন (আইএইচএমই)-এর গবেষক ড. লুইসা সোরিও ফ্লর এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিবেদনটি স্পষ্ট করে দেখিয়ে দিয়েছে যে গত ৩০ বছরে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত ইস্যুতে বৈশ্বিকভাবে যে অগ্রগতি হয়েছে, তা অসম। নারীরা দীর্ঘ আয়ু পেলেও তারা অপেক্ষাকৃত বেশি বছর অসুস্থ থাকে। যেসব পরিস্থিতির কারণে তাদের অসুস্থতা ও অক্ষমতা তৈরি হয়, তা সামাল দিতে সীমিত অগ্রগতি হয়েছে। যেসব পরিস্থিতির (প্রাণঘাতী নয়) কারণে নারীদের বিশেষ করে বয়স্ক অবস্থায় তাদের যে শারীরিক ও মানসিক কার্যক্ষমতা সীমিত হয়ে পড়ে, তার দিকে নজর দেওয়াটা এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। একইভাবে পুরুষেরা অপেক্ষাকৃত উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন এবং প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হন।’

গবেষণার অংশ হিসেবে পুরুষ ও নারীদের অসুস্থতা ও মৃত্যুর ২০টি কারণ নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বয়স ও অঞ্চল ভেদে নারী ও পুরুষের মধ্যে পার্থক্যগুলো যাচাই করা হয়েছে।

এ গবেষণার জন্য ২০২১ সালে হওয়া গ্লোবাল বারডেন অব ডিজিজ স্টাডির তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এ ক্ষেত্রে স্ত্রীরোগ ও প্রোস্টেট ক্যানসারের মতো লিঙ্গভিত্তিক স্বাস্থ্য অবস্থার তথ্যগুলো নেওয়া হয়নি।  

গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২১ সালে অসুস্থতা ও মৃত্যুর শীর্ষ ২০টি কারণের মধ্যে ১৩টি কারণই পুরুষের মধ্যে বেশি দেখা গেছে। যেমন- কোভিড-১৯, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়া, হৃদ্‌রোগ, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, যকৃতের রোগের মতো সমস্যাগুলো নারীর চেয়ে পুরুষের মধ্যে বেশি দেখা গেছে।

নারীরা যেসব সমস্যায় বেশি ভোগেন, তা হলো—মেরুদণ্ডের নিচের দিকে ব্যথা, বিষণ্নতা, মাথাব্যথা, উদ্বেগ, হাড় ও পেশির সমস্যা, স্মৃতিভ্রম, এইচআইভি। তবে গবেষণা বলছে, এসব কারণে নারীরা অসুস্থতা ও অক্ষমতায় ভুগলেও এতে তাদের অকাল মৃত্যু হয় না।


কেন্দুয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক শিশুর মৃত্যুনেত্রকোণার কেন্দুয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আফরিন নামের এক বছরের কন্যা শিশুর মৃত্যু মারা গেছে।

আজ শনিবার (৪ মে) দুপুরের উপজেলার চেংজানা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশু আফরিন উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের খায়রুল ইসলামের মেয়ে।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ঘরের মোটরের জোড়া লাগানো তারে শিশুটি হাত দিলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। বাড়ির লোকজন শিশুটিকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে সান্দিকোনা ইউপির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক ও দুঃখজনক।

কেন্দুয়া থানার ওসি এনামুল হক জানান, বিদ্যুৎপৃষ্টে চেংজানা গ্রামে আফরিন নামের এক শিশু মারা গেছে। এ ব্যাপারে থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


[random][fbig2][#e74c3c]
Powered by Blogger.