Showing posts with label বিনোদন. Show all posts

Sakib May 04, 2024
ডা. এজাজুল ইসলাম

ঈদুল ফিতরে দেশের শতাধিক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়া ‘রাজকুমার’ এখনো প্রদর্শিত হচ্ছে। দেশের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র আর কানাডার ৭৫টি প্রেক্ষাগৃহেও ছবিটি প্রদর্শিত হচ্ছে। ছবিতে ‘সিগন্যাল ভাই’ নামের একটি চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন ডা. এজাজুল ইসলাম। এর বাইরে অন্যান্য কাজ প্রসঙ্গে অভিনেতার সঙ্গে কথা বলেছেন মনজুর কাদের


কেমন আছেন?

ডা. এজাজুল ইসলাম : ভালো আছি। গাজীপুর চেম্বারে আছি। রোগী দেখার ফাঁকে একটু অবসর পেয়ে খেতে বসলাম।

খাবার শেষ করেন তাহলে, পরে কথা বলি।

ডা. এজাজুল ইসলাম : না না, কথা বলা যাবে। আমি সারা দিন রোগী দেখে, ১০ মিনিটের ছুটি নিয়ে এইমাত্র খেতে বসছি। সামনে ভাত, এক হাতে প্লেট, আরেক হাতে ফোনে কথা বলছি—যেহেতু শুরুতেই অভিনয়ের প্রশংসা করলেন ... সত্যি বলতে, অভিনেতা যদি প্রশংসা শোনে, এমনিতেই পেটটা ভরে যায়। মনে হচ্ছে, ক্ষুধাটা কমে গেল। কথা এখন বলাই যায়। তবে দুঃখটা কী জানেন?

ডা. এজাজুল ইসলাম
ডা. এজাজুল ইসলাম
ছবি : ডা. এজাজের ফেসবুক পেজ


কী দুঃখ বলেন তো শুনি?

ডা. এজাজুল ইসলাম : দুঃখটা হচ্ছে, হুমায়ূন (আহমেদ) স্যার চলে যাওয়ার পর, আমি সিনেপ্লেক্সের দর্শকের কাছে একেবারেই নাই। কোনো ভালো নাটক, ভালো সিনেমায়ও নাই। হুমায়ূন স্যারের মৃত্যুর পর অভিনয় করছি ঠিকই, কিন্তু কোনো বৈচিত্র্য নাই। একই রকম গল্প, একই সবকিছু। এ নিয়ে আমার প্রচণ্ড হতাশাও ছিল। ভালো কাজ করতে পারিনি। এর মধ্যে আমি যত নাটক আর সিনেমায় কাজ করেছি, কেউ ফোন করে বলেনি, আপনার অভিনীত চরিত্রটা ভালো হয়েছে। অভিনয় দুর্দান্ত ছিল। স্যার চলে যাওয়ার পর এই দুঃখ ছিল। ‘রাজকুমার’–এর পরিচালক হিমেল আশরাফের কাছে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নাই, কারণ তিনি আমাকে নতুনভাবে জাগিয়ে তুলেছেন। তাঁর সঙ্গে আমার কোনো পরিচয় নাই, দেখা নাই, সাক্ষাৎ নাই—তবে ছবি নিয়ে প্রথম কথা বলতে যেয়ে বুঝেছি, হুমায়ূন স্যারকে অনেক শ্রদ্ধা করেন, অনেক ভালোবাসেন। আর এই কারণে হয়তো স্যারের হাতে গড়া শিল্পীকে তিনি ব্রেকটা দিয়েছেন। এটা হয়তো তাঁর জন্য কিছু না, কিন্তু আমার জন্য অনেক কিছু। অনেক বছর পর দর্শকের প্রচুর ফোন পাচ্ছি। পরিচালক আর অভিনয়শিল্পীরাও ফোন করছেন। এ রকম ফোনকল পেতাম যখন হুমায়ূন স্যারের নাটক প্রচারিত হলে বা ছবি মুক্তি পেলে।

আপনার কথায় মনে হচ্ছে, হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর হিমেল আশরাফের ‘রাজকুমার’ আপনাকে নতুনভাবে জাগিয়ে তুলল।

ডা. এজাজুল ইসলাম : অবশ্যই। ‘রাজকুমার’ টিমের প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নাই। হিমেল আশরাফ আমাকে সুযোগ দিয়েছেন, এ জন্য তাঁর কাছে আমি কৃতজ্ঞ। বয়সে আমার চেয়ে অনেক ছোট হলেও তাঁর প্রতি অনেক শ্রদ্ধা, কারণ, হুমায়ূন স্যারকে অনেক শ্রদ্ধা করেন।  আমি তো হারায়ে গেছিলাম। হিমেলই আমাকে অনেক দিন পর ‘রাজকুমার’ দিয়ে সব শ্রেণির দর্শকের কাছে নিয়ে এসেছেন। আমার একটা বদভ্যাস, গড়পড়তা কাজ সব সময় ফিরায়ে দেই। আজও দিয়েছি একটা সিরিয়াল। গতকালও দিয়েছি। যেসব কাজ রানিং করছি, সেগুলোও করতে ইচ্ছা করে না।  তৃপ্তি না নিয়ে আর কত কাজ করব! পারা যায় না তো। যেটা হয়, যাই, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়, সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা হয়—ওইটাই ভালো লাগা। কিন্তু অভিনয় করে ভালো লাগা হুমায়ূন স্যারের পর ‘রাজকুমার’–এ পেয়েছি। পরিচালকেরও সেই বিশ্বাস ছিল যে হুমায়ূন আহমেদের শিল্পী, তিনিই চরিত্রটার প্রতি সুবিচার করতে পারবেন।


‘সিগন্যাল ভাই’ চরিত্রের প্রস্তাব প্রথম কীভাবে এসেছিল আপনার কাছে?

ডা. এজাজুল ইসলাম : পরিচালক হিমেল আশরাফের সহকারী অভ্র মাহমুদ ফোন করে এ রকম একটা চরিত্রের কথা বলল। শুনেই আমার বেশ ভালো লাগে। মনে হয়েছে, অনেক ভালো একটা চরিত্র হবে। তারপর বললাম, করব তো। এরপর বলল, যুক্তরাষ্ট্রে ১৫ দিন শুটিং কিন্তু। আমি ভাবলাম, হুমায়ূন স্যারের মৃত্যুর পর অনেক বছর তো চেম্বারও মিস দেই না। এ রকম একটা চরিত্রের জন্য ১৫-২০ দিন সময় বের করাই যায়। চরিত্রটা আমাকে মুগ্ধ করে। এরপর একদিন পরিচালকের সঙ্গে দেখা, তাঁর অফিসে। আড্ডা দিলাম। প্রথম দিনই তাঁর ভাবনাচিন্তায় মুগ্ধ হলাম। হুমায়ূন স্যারের গুণগান শুরু করলেন, এর পর থেকেই তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাও অব্যাহত। তারপর আমাকে পুরো গল্প আর চরিত্রটা শোনালেন। গল্প শুনেই বলেছি, ‘রাজকুমার’ ছবিটি দর্শক দেখবেনই। সেদিন যে তাঁকে খুশি করে বলি নাই, এটা আজ প্রমাণিত। দর্শক তো সিনেপ্লেক্সে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। তিন সপ্তাহ চলছে, শুনেছি এখনো হাউসফুল যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ‘রাজকুমার’ ছবির শুটিংয়ের ফাঁকে ডা. এজাজুল ইসলাম
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ‘রাজকুমার’ ছবির শুটিংয়ের ফাঁকে ডা. এজাজুল ইসলাম
ছবি : ডা. এজাজের ফেসবুক পেজ

এই চরিত্রে অভিনয় করে নিজেকে কতটা এগিয়ে নিতে পেরেছেন বলে মনে করছেন?

ডা. এজাজুল ইসলাম : আমার মনে হয়, ‘রাজকুমার’ দিয়ে আবার অভিনয়ে প্রাণ পেলাম। করার পরও ভাবছিলাম, সারা দেশ ও সারা পৃথিবীর মানুষ ছবিটা দেখে বলবে, ও, এ তো বাঁইচা আছে এখনো, মরে নাই তো। অনেকেই ভাবছিলেন, আমি মারাই গেছি। শুনতে অন্য রকম মনে হলোও, অবস্থাটা তেমনই। যে বাঙালি কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, ইউকে ও মধ্যপ্রাচ্যে থাকেন, তাঁদের সঙ্গে তো আমার দেখা হয় না। তাঁরা তো বাংলাদেশের এসব সিরিয়াল দেখেনও না। এমনটা ভাবতেই পারেন, মারাই গেছি। শুটিংয়ের সময় ও এরপর আমি অনেককে বলেছি, এই ছবি মুক্তি পর ওই সব দেশের বাঙালিরা বলবেন, আরে এই ব্যাটা তো মরে নাই, এই ব্যাটা তো বাঁইচা আছে। (হাসি)।


বলছিলেন, ছবিটি মুক্তির পর অনেকেই ফোন করছেন। ফোনে তাঁদের কাছ থেকে কোন কথাটা বেশি শুনতে হচ্ছে?

ডা. এজাজুল ইসলাম : সবাই বলছেন, এত পরিমিত অভিনয় করছেন, পরিশীলিত অভিনয় করেছেন এবং রিয়েল কমেডিটা করার চেষ্টাও করেছেন। আমরা তো কমেডিটা ঠিকমতো করতে পারি না—ভাঁড়ামি হয়ে যায়, অতি অভিনয়ের দিকে চলে যায়। পরিমিত, পরিশীলিত  কমেডি কিন্তু হয়ই না। একজন পরিচালকও বোঝেন না, হোয়াট ইজ কমেডি।  সবাই ভাবেন যে কমেডি মানে জোকারি। কমেডি মানে ভাঁড়ামি। কমেডিয়ান মানে হচ্ছে জোকার। আসলে কমেডিয়ান যে গ্রেট অ্যাক্টর, সে যে জোকার না, ভাঁড় না, এটা অনেকেই বোঝেন না। হিমেল আশরাফ একটা বাচ্চা ছেলে, কিন্তু তাঁর যে পরিমিতিবোধ, তার যে দুর্দান্ত কমেডি লেখার দক্ষতা, ‘রাজকুমার’–এ অভিনয় করে আমি জীবন ফিরে পেয়েছি আবার। এমন কথাও শুনছি। আমিও এটা মানছি।

বিনোদন অঙ্গনে ডা. এজাজ নামে পরিচিত জনপ্রিয় অভিনেতা এজাজুল ইসলাম
বিনোদন অঙ্গনে ডা. এজাজ নামে পরিচিত জনপ্রিয় অভিনেতা এজাজুল ইসলাম
ছবি: ফেসবুক থেকে
 

নতুন কোনো ছবিতে কাজ করছেন?

ডা. এজাজুল ইসলাম : নতুন ছবির কাজ করছি না। সেদিন ‘রাজকুমার’ দেখা শেষে আমার অভিনয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে, অনিমেষ আইচদা বললেন, নভেম্বরে একটা ছবির শুটিং করবেন। আমার জন্য একটা চরিত্র রাখবেন। তাঁর সেই ছবি অবশ্যই করব।


আপনি তো ব্যস্ত  চিকিৎসক। এরপরও অভিনয়ের জন্য যে সময় বের করেন, তা কোন তাগিদ থেকে?

ডা. এজাজুল ইসলাম : এটা পুরোপুরি শান্তি থেকে। আমি অভিনয় করে শান্তি পাই। রোগী দেখেও শান্তি পাই। আরেকটা কাজ করে শান্তি পাই, তা হচ্ছে সংসার। বাসায় যখন বউ–বাচ্চাদের কাছে ফিরি, তাদের সঙ্গে কথা বলি, অন্য রকম শান্তি কাজ করে। এই তিন মিলিয়ে আমার জীবন। তিনটাতেই আল্লাহপাক আমাকে এখনো শান্তিতে রেখেছেন। অভিনয়ে তো আমি মরে গিয়েছিলাম, হিমেল আশরাফের উছিলায় আল্লাহপাক আমাকে আবার বাঁচিয়ে তুলেছেন।

‘রাজকুমার’ কি সিনেমা হলে গিয়ে দেখেছেন?

ডা. এজাজুল ইসলাম : এখনো দেখিনি। যেভাবে সবার কাছ থেকে শুনেছি, মনে হচ্ছে এখন যদি হলে যাই, তাহলে অন্যান্য দর্শকের ডিস্টার্ব হবে। মনোযোগ দিয়ে ছবি দেখতে পারবেন না। দেখা যাবে, আমাকে দেখে দর্শকেরা ছুটে আসবেন, মনোযোগ দিয়ে ছবিটা দেখার যাঁদের ইচ্ছা, তা তাঁরা পারবেন না। তাই ভেবেছি, ছবিটি দেখব, আরও কিছুদিন দর্শকেরা নির্বিঘ্নে দেখুক, তারপর। আমার পরিবারের মধ্যে বড় মেয়ে অবশ্য ছবিটা দেখেছে।


দেখে কী বলেছে?

ডা. এজাজুল ইসলাম : আমার বড় মেয়ে তো চিকিৎসক। সে সাধারণত হুমায়ূন স্যারের কাজের বাইরে আমার অভিনয়ের প্রশংসা কখনোই করে না। ওরা কয়েকজন মিলে ‘রাজকুমার’ দেখেছে। দেখার পর এই প্রথম হুমায়ূন স্যারের বাইরে কোনো কাজের প্রশংসা করল। বলেছে, ‘“রাজকুমার”–এ তোমার অভিনয় ভালো হইছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ‘রাজকুমার’ ছবির শুটিংয়ের ফাঁকে ডা. এজাজুল ইসলাম
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ‘রাজকুমার’ ছবির শুটিংয়ের ফাঁকে ডা. এজাজুল ইসলাম
ছবি : ডা. এজাজের ফেসবুক পেজ

আপনার পরিবারের খবর বলুন।

ডা. এজাজুল ইসলাম : স্ত্রী, দুই মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে আমার পরিবার। বড় মেয়ে তাসফিয়া এজাজ, ছোট মেয়ে তাসনুভা এজাজ। দুজনই চিকিৎসক। বড় ছেলে শাহ মোহাম্মদ আবদুর রাফেও চিকিৎসক। ছোট ছেলে শাহ মোহম্মদ আবু বাকার সিদ্দিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করে এখন হাঙ্গেরির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল করছে। আর আমার স্ত্রী লুৎফুন নাহার সিদ্দিকা, গৃহিণী, আমাদের সবাইকে আগলে রেখেছে।

ডা. এজাজুল ইসলাম
ডা. এজাজুল ইসলাম

আজমেরী হক বাঁধন। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে
আজমেরী হক বাঁধন। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

গত বছরই আজমেরী হক বাঁধন অভিনীত ওয়েব ফিল্ম ‘খুফিয়া’ প্রশংসা কুড়িয়েছে। বিশাল ভারদ্বাজের সিনেমাটির আগে বাংলাদেশি অভিনেত্রীকে দেখা যায় সৃজিত মুখার্জির সিরিজ ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’-তে। এবার ভারতে তৃতীয় প্রকল্পকে দেখা যাবে বাঁধনকে।

আজ পশ্চিমবঙ্গের দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের প্রিন্ট সংস্করণের এক প্রতিবেদনের সূত্রে জানা গেছে, প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের অ্যান্থোলজি সিনেমা ‘ফেয়ার অ্যান্ড আগলি’-তে অভিনয় করবেন বাঁধন।

আজমেরী হক বাঁধন। ফেসবুক থেকে
আজমেরী হক বাঁধন। ফেসবুক থেকে

প্রতিবেদনে আরও জানা গেছে, সিনেমাটিতে অভিনয়ের ব্যাপারে সম্প্রতি জানিয়েছেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী। শুটিংয়ের জন্য ভারতে যাওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন তিনি।

এই অ্যান্থোলজি সিনেমায় আরও থাকছেন শাকিব আইয়ুব। যাঁকে ‘ফারজি’, ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-এর মতো সিরিজ ও সিনেমায় দেখা গেছে।

আজমেরী হক বাঁধন। ফেসবুক থেকে
আজমেরী হক বাঁধন। ফেসবুক থেকে

অ্যান্থোলজি সিনেমাটিতে থাকছে পাঁচটি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা। এসব সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন দেবপ্রসাদ হালদার, পার্নো মিত্র, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, কৌশিক সেন প্রমুখ।

জানা গেছে, এর মধ্যেই অ্যান্থোলজি সিনেমাটির কয়েকটি সিনেমার শুটিং হয়ে গেছে।
এ ছাড়া গত মাসেই বাঁধন শেষ করেছেন রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের ‘মাস্টার’ সিনেমার কাজ। বাঁধন অভিনীত আরেক সিনেমা ‘এশা মার্ডার’ পবিত্র ঈদুল আজহায় মুক্তি পাওয়ার কথা।

শাকিব ও তাঁর পরিবার প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বুবলী

চিত্রনায়ক শাকিব খানের দাবি, অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী দুজনই তাঁর কাছে এখন অতীত। নানা সময়ে দুজনই টেলিভিশন, অনলাইন, প্রিন্টসহ নানা জায়গায় শাকিব খানকে জড়িয়ে কথা ওঠে। বাচ্চাদের সামনে রেখে দুজনই শাকিব প্রসঙ্গে এনে নানা কথা বলেন তাঁরা। গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি হন দুই তারকা। দুজনের এমন ঘটনায় নানা সময়ে শাকিব নাকি বিরক্ত! বিরক্ত হন তাঁর পরিবারের সদস্যরাও।

গত ঈদে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে শাকিব খানের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে অনেক তথ্যই দিয়েছেন বুবলী। একবার বলছেন, ‘আইনগতভাবে আমি এখনো শাকিব খানের বৈধ স্ত্রী।’ শাকিবের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটানোসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন এই নায়িকা। গণমাধ্যমে বুবলীর এমন মন্তব্যের পর বিরক্তি প্রকাশ করেছেন শাকিব খান ও তাঁর পরিবার। যদিও এ নিয়ে সরাসরি কথা বলতে শোনা যায়নি। সম্প্রতি শোনা গেছে, বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শাকিব; ছেলের জন্য পাত্র দেখছেন পরিবারের সদস্যরা।
এসব প্রসঙ্গে অপু বিশ্বাস ও বুবলী দুজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। অপু আপাতত কথা বলতে চাননি। জানিয়েছেন শিগগিরই কথা বলবেন তিনি।

রোববার সন্ধ্যায় বুবলীর সঙ্গে কথা হয়। প্রথম আলোকে বলেন,‘আমার নিজেকে বা নিজের সিনেমাকে আলোচনায় রাখার জন্য কারও নাম বা কাহিনি বলতে হয় না। কারণ, আমার এবং আমার সিনেমার জন্য গণমাধ্যমকর্মীরা, সিনেমার টিম এবং আমার দর্শকেরাই যথেষ্ট। বরং আপনারা দেখছেন কারা আলোচনায় থাকার জন্য একের পর এক সিরিজ নিউজ করে আমার নাম নিয়ে যেকোনো প্রোগ্রাম বা সাক্ষাৎকারে কথা বলেই যাচ্ছে বছরের পর বছর।’

ছেলে বীরকে নিয়ে শাকিব ও বুবলী
ছেলে বীরকে নিয়ে শাকিব ও বুবলী
ফাইল ছবি/বুবলীর ফেসবুক পেজ থেকে

তবে শাকিব খান বা তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে নানা অভিযোগের ব্যাপারে এই নায়িকার বক্তব্য, ‘নিউজটি দেখেছি। অনেক অভিযোগ। দেখুন নিউজে ঘনিষ্ঠ সূত্র, পরিবারের এক সদস্য, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক—এসব সূত্রেই বা কী কথা বলব? নির্দিষ্ট কারও নাম বা কথা থাকলে কথা বলতে সুবিধা হতো। অভিযোগ ধরে ধরে বলা যেত।’

প্রকাশিত খবরের অভিযোগের ব্যাপারে বুবলী আরও বলেন, ‘আমি আমার সিনেমা মুক্তির প্রমোশনাল প্রোগ্রামে যখন অংশগ্রহণ করি, তখন আমার সিনেমার পাশাপাশি অনেক বিষয় চলে আসে সংবাদকর্মীদের প্রশ্নে। তখন আমি সবাইকে যথেষ্ট সম্মান দিয়ে প্রশ্নের প্রাসঙ্গিক উত্তর দিই। কোথাও কাউকে অসম্মান করে অপ্রাসঙ্গিক কথা বলি না। এখন কেউ সম্মান দেওয়া হজম করতে না পারলে জোর করে আর সম্মান দেব না। তাহলে যাঁরা যেসব ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন, সেসব আর থাকবে না।’

প্রকাশিত খবরে শাকিবের পরিবার থেকে আরও দাবি করা হয়েছে, আপনি নাকি শাকিব খানের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে মিথ্যাচার করেন। কী বলবেন—এ ব্যাপারে  বুবলী বলেন, ‘আমি এখন পর্যন্ত আমাদের সম্পর্কের বিষয়ে কোনোই মিথ্যাচার করিনি, যা নিয়ে আমি ওপেন চ্যালেঞ্জ করতে পারি। আর মিথ্যাচার করে আমার কী লাভ হবে আপনারাই বলুন? আপনাদের দোয়ায় আমি নিজেই প্রতিষ্ঠিত। চাঁদের মতো আমার সন্তান শেহজাদ আছে। আমার বাবা–মায়ের ভালোবাসা আছে আমার সঙ্গে। তাই আমার জীবনে তো নতুন করে চাওয়া–পাওয়ার কিছুই নেই।’

শাকিব খান ও বুবলী অভিনয় করেছেন ‘বিদ্রোহী’ ছবিতে। ছবি: ফেসবুক থেকে
শাকিব খান ও বুবলী অভিনয় করেছেন ‘বিদ্রোহী’ ছবিতে। ছবি: ফেসবুক থেকে

সবশেষ ঈদে একটি বেসরকারি টিভিতে শাকিবকে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন বুবলী, এতে শাকিবের পরিবার মারাত্মক চটেছে! এ কারণে বুবলীকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সন্তান শেহজাদের অজুহাতে তিনি যেন শাকিবের বাসা বা অফিসে না আসেন।
এ ব্যাপারে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘দেখুন, আমাকে ওই বাসায় আমন্ত্রণ জানানো হয় বলেই আমি যাই। তাঁর বাসায় যাওয়া না যাওয়া, মানা করা বা না করা, এটা যেমন শুধু শাকিব খানের সিদ্ধান্ত হতে পারে,  তেমনি আমি যাব কি যাব না, এটা আমারও সিদ্ধান্ত হতে পারে। কারণ, আমাদের সন্তান আছে, আমার সন্তানের নিরাপত্তা আমার কাছে সবার আগে। কেউ চাইলেই তো আমি আমার সন্তানকে একা কোথাও ছাড়ব না।’
তবে কথা প্রসঙ্গে অপুকে ইঙ্গিত করে বুবলী বলেন, ‘বাবা, মা হিসেবে শেহজাদের জন্য আমরা কী করব, কী বলব, কীভাবে একত্রে সময় কাটাব, ওটাও আমাদের একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। এটা নিয়েও যখন অন্য কেউ অনধিকার চর্চা করেন, নানান ব্যাখ্যা দেন, তখন খুব হাস্যকর লাগে।’

শাকিব পরিবারের দাবি, ভবিষ্যতে শাকিব খানকে নিয়ে মিথ্যাচার করলে, পরিবার থেকে আপনার বিরুদ্ধে মামলায় যেতে পারে—এমন কথাও শাকিব পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে। কী বলবেন? এ প্রসঙ্গে বুবলী বলেন, ‘ভবিষ্যতে কেন? আমি চাই এখনই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক, তাহলে আমি যে কোনো মিথ্যাচার করিনি, ওটাও আমি প্রমাণসহ আইনিভাবে তুলে ধরতে পারব।’

‘লিডার: আমিই বাংলাদেশ’ ছবির ‘সুরমা সুরমা’ গানের শুটিংয়ে শাকিব খান ও বুবলী
‘লিডার: আমিই বাংলাদেশ’ ছবির ‘সুরমা সুরমা’ গানের শুটিংয়ে শাকিব খান ও বুবলী
ছবি : পরিচালকের সৌজন্যে

এদিকে খবরে প্রকাশিত হয়েছে, শাকিবকে নিয়ে অপু ও বুবলীর চর্চা, কথাবার্তা, সমাজ ও আত্মীয়স্বজনের কাছে হেয় হতে হয় বলে মনে করেন শাকিব ও তাঁর পরিবার। তাই পরিবার থেকে চলতি বছরই শাকিবের বিয়ের আয়োজন করছে। প্রসঙ্গটি বুবলীর সামনে আনা হলে বিষয়টি নিয়ে তিনি বেশি কিছু বলতে চাননি। শুধু বলেন, ‘তার এই বিষয়ে কথা বলার কোনো ইচ্ছা নেই। তার এই কথা এত এত বছর ধরে এতবার শুনেছি যে কিছুদিন পর তার সন্তান শেহজাদও এই প্রশ্ন শুনে বলবে “নো কমেন্টস”।’

শাকিব খানের প্রযোজনায় ‘মায়া’ সিনেমায় কাজ করার কথা ছিল পূজা চেরির
শাকিব খানের প্রযোজনায় ‘মায়া’ সিনেমায় কাজ করার কথা ছিল পূজা চেরিরকোলাজ

এবারের ঈদে মুক্তি পেয়েছে পূজা চেরী-আদর আজাদ অভিনীত ‘লিপস্টিক’। শুরু থেকেই হলসংকট নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন অভিনেতা-অভিনেত্রী। তবে সম্প্রতি অভিনেতা জানিয়েছেন, ‘লিপস্টিক’-এর হলসংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সামনে আরও বাড়বে বলে মনে করেন অভিনেতা। অন্যদিকে ছবিটি নিয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন অভিনেত্রী পূজা চেরীও। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে কথা বলছেন সিনেমার প্রসঙ্গে। এবার মাছরাঙা টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠানে অভিনয়সহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

ঈদে মুক্তি পেয়েছে পূজা চেরি অভিনীত ‘লিপস্টিক’ সিনেমা
ঈদে মুক্তি পেয়েছে পূজা চেরি অভিনীত ‘লিপস্টিক’ সিনেমা
ছবি: ফেসবুক

উৎসবগুলোতে সিনেমা মুক্তিতে কেমন প্রতিক্রিয়া পান অভিনেত্রী? পূজা বলেন, ‘আসলে ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বিভিন্ন উৎসব-পার্বণে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলোতে খুব ভালো ফিডব্যাক আমি পেয়ে আসছি। যদি আমি “নূরজাহান” থেকে শুরু করি তাহলে বলব, শুরু থেকে দর্শকদের মনে খুব সুন্দর জায়গা করতে পেরেছি। আমি আসলে প্রথম দিকে ভয়ে ছিলাম। ভয় বলতে, “পোড়ামন-২” থেকে এসেছে ভয়টা। কারণ, “নূরজাহান” ওই সময় বুঝিনি। কারণ, ভেবেছিলাম ছোট ছিলাম, সিনেমা রিলিজ হচ্ছে, ঠিক আছে। নায়িকা হিসেবে যে অভিষেক, ওটা আসলে আমার মাথায় কাজ করছিল না। এখন পর্যন্ত আসলে সবার খুব প্রশংসা পাচ্ছি। দিন যত যাচ্ছে, অভিনয় দক্ষতাটা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছি। যদিও আমি অতটা ভালো পারি না; কিন্তু চেষ্টা করি।’

অভিনেত্রী পূজা চেরি
অভিনেত্রী পূজা চেরি
পূজা চেরির ফেসবুক পেজ থেকে

এবার অনেকগুলো সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, হলমালিকেরা বলছেন, প্রত্যাশা অনুযায়ী ব্যবসা হচ্ছে না! এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয়, এখন আসলে সবাই একটি উৎসবের পেছনে দৌড়ান। আমার সিনেমা আমি বানিয়েছি, এটা ঈদেই মুক্তি দেব, এর বাইরে রিলিজ দেব না। ১১টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে হলে। এত টাকা খরচ করে সিনেপ্লেক্স-ব্লকবাস্টারে সিনেমা দেখতে চান না। তা-ও যদি থাকে ১১টি সিনেমা। সে কারণে ব্যাপারটা চিন্তা করে এই প্রশ্ন উঠতে পারে। তবে যতটুকুই হচ্ছে, আমার কাছে মনে হয়, এটা ভালো সংকেত। “লিপস্টিক” নিয়ে একজনের কাছ থেকেও নেতিবাচক মন্তব্য পাইনি। “পোড়ামন-২”-এর মতো “লিপস্টিক”ও ধীরে ধীরে হিট হতে পারে। শুধু একটু ধৈর্যের বিষয়।’

‘লিপস্টিক’-এ জায়েদ খানের অভিনয় প্রসঙ্গে পূজা বলেন, ‘তাঁর সঙ্গে অভিনয় করে ভালো লেগেছে। তিনি খুবই ভালো মানুষ। ভালো...। এবার হলে গিয়ে সিনেমা দেখা হয়নি। ব্যস্ত আছি। “লিপস্টিক”-এর জন্য হলে হলে দৌড়াচ্ছি। সামনের ঈদে মুক্তির অপেক্ষায় আছে “মাসুদ রানা”। ওটা নিয়ে ব্যস্ত আছি।’
শাকিব খানের প্রযোজনায় ‘মায়া’ সিনেমায় কেন আপনার জায়গায় ইধিকা পাল? এই প্রসঙ্গে পূজা চেরী বলেন, ‘আমরা আসলে গল্পটা দেখে অভিনয় করি। “মায়া”র গল্পও ভালো। তবে ব্যাটে-বলে মেলেনি। সামনে হয়তো হবে।’

শরিফুল রাজ ও মন্দিরা
শরিফুল রাজ ও মন্দিরাফেসবুক থেকে সংগৃহীত

ইতিহাসনির্ভর সিনেমা ‘কাজলরেখার’ নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন নবাগত নায়িকা মন্দিরা চক্রবর্তী। তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন অভিনেতা শরীফুল রাজ। সিনেমার পরিচালক গুণী নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিম। নিজের অভিনয়গুণে প্রশংসিত হচ্ছেন মন্দিরা। সিনেমার প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন ছবির কলাকুশলীরা।
সম্প্রতি একটি অনলাইনভিত্তিক সংবাদমাধ্যমে কাজলরেখা নিয়ে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মন্দিরা চক্রবর্তী। পাশাপাশি বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয়েরও সোজাসাপ্টা জবাব দেন মন্দিরা। তবে সেগুলোর বেশির ভাগই ছিল নায়ক শরীফুল রাজকে ঘিরে।

মন্দিরাকে প্রশ্ন করা হয়, এবারের ঈদে রাজের তিনটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, তিনটি ছবির তিনজন নায়িকা, তার মধ্যে একজন হচ্ছেন মন্দিরা চক্রবর্তী, কাকে বেশি সময় দিচ্ছেন বুবলীকে না মন্দিরাকে? উত্তরে নায়িকা বলেন, ‘ওর তিনটি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে, তিনটিকেই সমানভাবে সময় দেওয়া উচিত। আমার কাছে মনে হয়, কাজ মানে তিনটিই আমার সন্তানের মতো। একটি একটু বেশি ভালোবাসছি, একটি একটু কম ভালোবাসছি, সে রকম নয়। যখন কাজটা করব, পুরোপুরি চেষ্টা দিয়েই তো আমি করছি। আমার কাছে মনে হয় তিনটিকেই সমানভাবে দেখা উচিত।’
এখন রাজ-মন্দিরাকে নিয়ে নানা কথা হচ্ছে, সুন্দর একটি প্রেমের গসিপ হলে কেমন লাগবে? ‘এটার জন্য আমার প্রস্তুতি ছিল। গসিপটা তো হবেই।’

রাজ-মন্দিরার প্রেমটা কত দিনের? উত্তরে নায়িকা বলেন, ‘এটা কি হওয়ার ছিল? আমরা খুবই ভালো বন্ধু। প্রেমটা হওয়ার সুযোগ নেই আসলে। বলতে পারি সে আমার খুবই ভালো একজন বন্ধু হয়ে উঠেছে। শুটিংয়ের সময় সে আমার বন্ধু ছিল না; কারণ, তখন আমার সঙ্গে তার বেশি কথা হতো না, খুবই কম। আমাদের শুটিং হচ্ছিল ২০২২ সালে। এখন সে যে লাইফটা কাটাচ্ছে, তখন সে এই লাইফে ছিল না। তার তখন সন্তান হয়েছিল, সবকিছু মিলিয়ে সে তাঁর মতো ছিল। তখন মাত্রই আমাদের প্রথম দেখা।

সহকর্মী হিসেবে যতটা কথা বলার দরকার ছিল, ততটা। কিন্তু সিনেমার প্রচারের সময় বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া–আসা। তো থাকে না একজন মানুষের সঙ্গে আপনি নিয়মিত বের হচ্ছেন, কাজে যাচ্ছেন তো আপনার তাঁর সঙ্গে একটি বন্ডিং হয়ে যাবে, এটিই স্বাভাবিক।’

গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে ঘরের জিনিসপত্র। ঢাকার ধামরাই পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মোকামটোলা এলাকায়
গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে ঘরের জিনিসপত্র। ঢাকার ধামরাই পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মোকামটোলা এলাকায়ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার ধামরাই উপজেলায় গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে ধামরাই পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মোকামটোলা এলাকায় ইব্রাহিম হোসেনের চারতলা ভবনের নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় দগ্ধ চারজনকে উদ্ধার করে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

দগ্ধ চারজন হলেন ফ্ল্যাটের ভাড়াটে নুরুল ইসলাম নান্নু মিয়া (৫৫), তাঁর স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫০), মেয়ে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী নিশরাত জাহান সাথী (২২) ও ছেলে এইচএসসি পরীক্ষার্থী আল হাদী সোহাগ (১৮)।

স্বজনেরা জানান, সাহ্‌রির জন্য রান্না করতে রান্নাঘরে যান সুফিয়া বেগম। তিনি গ্যাসের চুলা জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে পুরো ফ্ল্যাটে জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে তাঁরা চারজন দগ্ধ হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে ধামরাই ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ফ্ল্যাটের আসবাবসহ বেশ কিছু মালামাল পুড়ে গেছে।

ধামরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, তিতাসের গ্যাসের আবাসিক সংযোগের পাশাপাশি গ্যাস–সংকটের সময় তাঁরা সিলিন্ডার গ্যাসও ব্যবহার করতেন। গ্যাস সিলিন্ডার, নাকি আবাসিক গ্যাস সংযোগের গ্যাস থেকে এ ঘটনা ঘটেছে, তা তদন্ত করার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি। আগুনে বাসাটির প্রায় দুই লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, আগুনে নুরুল ইসলাম নান্নু মিয়ার শরীরের ৪৮ শতাংশ, সুফিয়া বেগমের ৮০ শতাংশ, নিশরাত জাহান সাথীর ১৬ শতাংশ ও আল হাদী সোহাগের ৩৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, অপরজনের অবস্থাও শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না। তাঁদের সবাইকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

[random][fbig2][#e74c3c]
Powered by Blogger.